বাইসাইকেল প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বাইসাইকেল প্রাইস ইন বাংলাদেশ ২০২৪
বাইসাইকেল ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই একটি প্রিয় ব্যক্তিগত যানবাহন। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও যারা অল্প দূরত্বের গন্তব্যে নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী। বাইসাইকেল কেবল যাতায়াতের জন্যই নয়, এটি একটি কার্যকরী ব্যায়াম মাধ্যমও। যারা নিয়মিত সময়ের অভাবে শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন না, তারা এখন নিজেদের যাতায়াতের সময় কিছুটা ব্যায়াম সেরে নিতে বাইসাইকেলের দিকে ঝুঁকছেন। বাইসাইকেল ব্যবহার করে আপনি যেমন সহজে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন, তেমনি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও করতে পারবেন।
তাহলে, চলুন একটি বাইসাইকেল কেনার সহজ গাইডলাইন সম্পর্কে জেনে নিই:
1. প্রথমেই আপনার প্রয়োজন নির্ধারণ করুন: আপনি কেন বাইসাইকেল কিনতে চান? দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য, ব্যায়ামের জন্য, নাকি দুটোই? আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক মডেলটি বেছে নিন।
2. সঠিক সাইজ নির্বাচন করুন: বাইসাইকেলের সঠিক সাইজ নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার উচ্চতা ও আরামদায়ক রাইডিংয়ের জন্য সঠিক সাইজের বাইসাইকেল নির্বাচন করুন।
3. ফ্রেম ম্যাটেরিয়াল: বাইসাইকেলের ফ্রেম ম্যাটেরিয়াল বিবেচনা করুন। অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম হালকা ও সাশ্রয়ী, যেখানে কার্বন ফ্রেম হালকা এবং অধিক স্থায়ী হয়ে থাকে।
4. গিয়ার সিস্টেম: গিয়ার সিস্টেম আপনার রাইডিং অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে। তাই বিভিন্ন ধরনের পথের জন্য বিভিন্ন গিয়ারের বাইসাইকেল পাওয়া যায়। তাই বাইসাইকেল কেনার আগে সঠিক গিয়ার সিস্টেম নির্বাচন করুন।
5. ব্রেকিং সিস্টেম: নিরাপদ রাইডিংয়ের জন্য ভালো ব্রেকিং সিস্টেম অপরিহার্য। ডিস্ক ব্রেক, রিম ব্রেক বা হাইড্রোলিক ব্রেক - কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত তা বিবেচনা করুন।
6. অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য: লাইট, ক্যারিয়ার, মাডগার্ড, বেল ইত্যাদি অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বিবেচনা করুন।
7. বাজেট: আপনার বাজেটের মধ্যে সেরা বাইসাইকেলটি বেছে নিন। বিভিন্ন মডেল এবং ব্র্যান্ডের মধ্যে তুলনা করে সেরা বাইসাইকেলটি নির্বাচন করুন।
সবশেষে, বাইসাইকেল কেনার আগে কিছুক্ষণ টেস্ট রাইড করে দেখুন। এতে করে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে এটি আপনার জন্য সঠিক এবং আরামদায়ক কিনা। বাইসাইকেল কেনার এই সহজ গাইডলাইন গুলো মেনে চললে আপনি নিশ্চিন্তে একটি মানসম্মত বাইসাইকেল কিনতে পারবেন।
কোন ধরনের সাইকেল আপনার কেনা উচিত?
সাইকেল কেনার পরিকল্পনা করছেন? প্রথমেই আপনার প্রয়োজন ও পছন্দগুলি বিবেচনা করা জরুরি। সঠিক সাইকেল বেছে নিতে কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, যেমন আপনার বয়স, বাজেট, শারীরিক গঠন, এবং ব্যক্তিগত পছন্দ।
বাজেট হল প্রথম ও প্রধান বিষয় যা আপনার পছন্দকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বাংলাদেশের সাইকেলের দাম যাচাই করতে পারেন।
বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়। বাচ্চাদের জন্য এক ধরনের সাইকেল এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অন্য ধরনের সাইকেল থাকে। তাই, আপনার বয়সের উপযোগী সাইকেল বেছে নেওয়া আবশ্যক।
বাজেট নির্ধারণ করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নির্ধারিত বাজেট থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয় এবং আপনি দ্রুত সঠিক সাইকেলটি খুঁজে পেতে পারেন।
শারীরিক গঠনও সাইকেল নির্বাচনে ভূমিকা রাখে। আপনার ওজন ও উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সাইকেল বেছে নেওয়া প্রয়োজন। এর পর আসে ব্যক্তিগত পছন্দ, যা প্রতিটি মানুষের জন্য আলাদা।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়, এবং মূলত দামের পার্থক্য হয় সাইকেলের ধরন অনুযায়ী। সঠিক সাইকেল বেছে নিতে এই বিষয়গুলি বিবেচনা করুন এবং আপনার জন্য উপযুক্ত সাইকেলটি খুঁজে নিন।
বাচ্চাদের কেমন বাইসাইকেল কিনে দিবেন?
৪ থেকে ১০ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা বাইসাইকেলগুলি একদিকে যেমন মজার, তেমনি অন্যদিকে নিরাপদও। এই বয়সী বাচ্চাদের জন্য বাইসাইকেলগুলিতে আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং রঙের সমারোহ থাকে, যা বাচ্চাদের আনন্দ দেয় এবং তাদের বাইসাইকেল চালাতে উত্সাহিত করে।
অনেক বেবি বাইসাইকেল আরও আকর্ষণীয় করার জন্য সামনে একটি ঝুড়ি যুক্ত করা হয়। এই ঝুড়িগুলোতে বাচ্চারা তাদের প্রিয় খেলনা বা ছোটখাটো জিনিসপত্র রাখতে পারে, যা তাদের যাত্রাকে আরও আনন্দদায়ক করে তোলে।
ছোট বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য অনেক বাইসাইকেলের পিছনে অতিরিক্ত দুটি চাকা থাকে, যা ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এই অতিরিক্ত চাকা বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে, কারণ তারা সহজেই সাইকেল চালাতে পারে এবং পড়ে যাওয়ার ভয় কম থাকে।
এই বাইসাইকেলগুলি শুধু বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য নয়, বরং তাদের শারীরিক ব্যায়াম এবং সমন্বয় ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও উপকারী। ফলে, ৪ থেকে ১০ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য এসব বাইসাইকেল একটি চমৎকার উপহার হতে পারে।
মেয়েদের জন্য কেমন বাইসাইকেল কিনে দিবেন?
মেয়েদের সাইকেলগুলি বিশেষভাবে মহিলাদের জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে, যা তাদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং শৈলী উভয়কেই মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। এই ধরণের বাইসাইকেল খুবই হালকা ওজনের হওয়ার পাশাপাশি আকর্ষণীয় রঙ এবং ডিজাইনে পাওয়া যায়, যা নারীদের ব্যবহারের জন্য আদর্শ।
বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে মেয়েদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বাইসাইকেল উপলব্ধ রয়েছে। এই বাইসাইকেলগুলির নকশায় আধুনিকতার ছোঁয়া এবং ব্যবহারিকতার মিশ্রণ দেখা যায়। অনেক সাইকেলে রয়েছে নিম্ন ঝুঁল বার (low step-through frame), যা মহিলাদের জন্য উঠা-নামা সহজ করে তোলে। এছাড়া, আরামদায়ক সিট এবং হ্যান্ডেলবার ডিজাইন করা হয়েছে যাতে দীর্ঘ সময় সাইকেল চালানোয় কোনও অস্বস্তি না হয়।
মেয়েদের সাইকেলগুলির রঙ এবং ডিজাইনে থাকে বৈচিত্র্য, যা ব্যক্তিগত পছন্দের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নরম প্যাস্টেল শেড থেকে শুরু করে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত রঙের ব্যবহার, প্রতিটি সাইকেলই নারীর রুচি ও শৈলীর প্রতিফলন ঘটায়। এছাড়াও, কিছু সাইকেলে সামনের ঝুড়ি এবং পিছনের ক্যারিয়ার যোগ করা হয়েছে, যা প্রতিদিনের ব্যবহারকে আরও সুবিধাজনক করে তোলে।
বাংলাদেশের বাজারে এই ধরণের সাইকেলগুলি শুধুমাত্র পরিবহণের মাধ্যম নয়, বরং ব্যক্তিত্ব ও ফ্যাশনের প্রকাশ হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। সুতরাং, একজন নারী যদি নিজস্ব শৈলী ও আরামের জন্য সাইকেল খুঁজছেন, তাহলে বর্তমান বাজারের বিভিন্ন ডিজাইনের মেয়েদের সাইকেল তার জন্য নিঃসন্দেহে উপযুক্ত হবে।
মাউন্টেন এর জন্য কেমন বাইসাইকেল নিবেন?
যদি দুর্গম রাস্তায় চলাচল করতে হয়, তবে মাউন্টেন সাইকেলই সবচেয়ে উপযোগী। এই সাইকেলগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এমন রাস্তায় চলার জন্য যেখানে সাধারণ সাইকেল টিকতে পারে না।
মাউন্টেন সাইকেলে বড় টায়ার এবং উন্নত মানের সাসপেন্সন সিস্টেম থাকে, যা কাঁদা মাটি, পাহাড়ি পথ, এবং গ্রামের কাঁচা রাস্তায় চলার জন্য আদর্শ। বড় টায়ারগুলি অধিকতর গ্রিপ প্রদান করে, ফলে সাইকেল চালানোর সময় পিছলে যাওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। উন্নত সাসপেন্সন সিস্টেম রাস্তায় থাকা গর্ত ও অমসৃণতার ধাক্কা শুষে নেয়, যার ফলে চালক আরামদায়কভাবে সাইকেল চালাতে পারেন।
এইসব বৈশিষ্ট্যের কারণে মাউন্টেন সাইকেল কেবলমাত্র কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং পরিবেশেই নয়, বরং সাধারণ গ্রামীণ রাস্তাগুলিতেও চলাচলের জন্য উপযুক্ত। আপনার যদি প্রতিদিনের যাত্রায় দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিতে হয়, তবে মাউন্টেন সাইকেল আপনার জন্য নিঃসন্দেহে একটি ভালো পছন্দ।
মোটর বাইসাইকেল কিনবেন নাকি প্যাডেল সাইকেল কিনবেন?
বর্তমানে বাজারে দুটি ধরনের সাইকেলই দেখতে পাওয়া যায়: প্রচলিত প্যাডেল সাইকেল এবং আধুনিক মোটরযুক্ত সাইকেল। প্যাডেল সাইকেল, যা আমাদের সবার চিরপরিচিত, শুধুমাত্র প্যাডেল দ্বারা চালিত হয়। এই সাইকেলগুলো দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয় এবং এখনও বহুল ব্যবহৃত।
অন্যদিকে, মোটরযুক্ত সাইকেলগুলোতে ইলেকট্রিক মোটর সংযুক্ত থাকে, যা সাইকেল চালানোকে আরও সহজ এবং আরামদায়ক করে তোলে। এই সাইকেলগুলোতে প্যাডেলও থাকে, ফলে চালক চাইলে প্যাডেল করে বা মোটরের সাহায্যে চালাতে পারেন। মোটর চালানোর জন্য ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়, যা একবার পূর্ণ চার্জ দিলে ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
এ ধরনের সাইকেলগুলো বিশেষ করে শহরের ভেতরে দ্রুত এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় যাতায়াতের জন্য আদর্শ। ফলে, যারা কম পরিশ্রমে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে চান, তাদের জন্য মোটরযুক্ত সাইকেল একটি চমৎকার সমাধান।
অ্যালুমিনিয়াম নাকি স্টিল বডির বাইসাইকেল ভাল?
বর্তমানে স্টিল বডির সাইকেলের চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম বডির সাইকেলগুলো অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ, অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা তৈরি সাইকেলগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক হালকা এবং শক্তিশালী। এই হালকা ওজনের সুবিধা সাইকেল চালানোকে আরও সহজ এবং আরামদায়ক করে তোলে, বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বে।
অ্যালুমিনিয়ামের সাইকেলগুলো স্টিলের সাইকেলের তুলনায় বেশি টেকসই হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার উপযোগী। যদিও অ্যালুমিনিয়ামের সাইকেলের দাম কিছুটা বেশি, তবে এর হালকা ও শক্তিশালী গঠন এবং দীর্ঘস্থায়িত্ব এই অতিরিক্ত খরচকে সার্থক করে তোলে। তাই, ক্রেতারা এখন বেশি আগ্রহী অ্যালুমিনিয়াম বডির সাইকেল কেনার দিকে, যা তাদের প্রয়োজন ও পছন্দের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিলিয়ে নিতে পারে।
বাংলাদেশের রাস্তায় চলাচল করার জন্য কোন ধরনের বাইসাইকেল কিনবেন স্ট্যান্ডার্ড ব্রেক নাকি ডিস্ক ব্রেক ?
স্ট্যান্ডার্ড ব্রেকের তুলনায় ডিস্ক ব্রেক সাইকেলগুলো অনেক বেশি কার্যকর ব্রেকিং নিশ্চয়তা দেয়। ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম উচ্চমানের ব্রেকিং ক্ষমতা প্রদান করে, যা চালকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এর ফলে সাইকেল থামানোর জন্য কম সময় লাগে এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সম্ভব হয়, যা দুর্ঘটনা কমাতে সহায়ক।
এছাড়াও, ডিস্ক ব্রেকের সাইকেলগুলো দেখতে আরও আকর্ষণীয় হওয়ায় এদের চাহিদাও বেশি। এ ধরনের সাইকেলগুলির আধুনিক এবং স্টাইলিশ ডিজাইন অনেকেরই পছন্দ।
বাংলাদেশের রাস্তায় ডিস্ক ব্রেকের সাইকেল বিশেষভাবে উপযোগী। এখানকার বৈচিত্র্যময় রাস্তার পরিস্থিতির জন্য দ্রুত এবং সঠিক ব্রেকিং সিস্টেম অপরিহার্য, যা ডিস্ক ব্রেক নিশ্চিত করতে পারে। ফলে, যারা নিরাপদ এবং আরামদায়ক যাত্রার জন্য সাইকেল কিনতে চান, তাদের জন্য ডিস্ক ব্রেকের সাইকেল একটি উৎকৃষ্ট পছন্দ।
বাংলাদেশ বাইসাইকেল এর দাম কেমন?
বাংলাদেশে বাইসাইকেলের দাম ৪,৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়, তবে বাজেট কিছুটা বাড়ালে আরও ভালো মানের সাইকেল পাওয়া যায়। ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি দামের বাইসাইকেলও পাওয়া যায়, যেগুলো খুবই হালকা কিন্তু অত্যন্ত টেকসই। এই সাইকেলগুলো আকর্ষণীয় ডিজাইনের হয় এবং যেকোনো প্রতিযোগিতায় ব্যবহার উপযোগী।
তবে বাইসাইকেল কেনার সময় শুধুমাত্র ডিজাইন বা দাম দেখে নয়, বরং আপনার প্রয়োজন, বাজেট, এবং সাইকেলটি বাংলাদেশের কোথায় চালাবেন তা বিবেচনা করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি পাহাড়ি এলাকায় চালানোর পরিকল্পনা করেন, তাহলে মাউন্টেন বাইসাইকেল কিনতে হবে, যা কঠিন পথে চলার উপযোগী।
বাইসাইকেল নির্বাচন করার সময় আপনার চলার পরিবেশ, ব্যক্তিগত প্রয়োজন এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতাকে গুরুত্ব দিন, যাতে আপনি একটি সঠিক এবং কার্যকর সাইকেল বেছে নিতে পারেন।
বাইসাইকেল চালালে চলাচলের পাশাপাশি আর কি সুবিধা পাওয়া যায়?
বাইসাইকেল চালানোর মাধ্যমে শারীরিক কসরত যথাযথভাবে হয়, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে অসাধারণ অবদান রাখে। এখানে বাইসাইকেল চালানোর কিছু বিশেষ উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
১। ক্যালরি বার্ন: সাইকেল চালানোর ফলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি দ্রুত হ্রাস পায়, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
২। ওজন কমানো: বাংলাদেশের যাদের ওজন বেশি, তারা সাইকেল চালানোর মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই ওজন কমাতে পারেন। এটি সহজ এবং কার্যকরী একটি উপায়।
3। অতিরিক্ত মেদ দূর করা: অতিরিক্ত মেদ বা ভুঁড়ি কমানো বাংলাদেশের শহরের মানুষের জন্য একটি বড় সমস্যা। বাইসাইকেল চালনা মেদ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
4। শিশুদের শারীরিক বিকাশ: বাচ্চাদের হাড় মজবুত এবং দৈহিক বৃদ্ধি সতেজ রাখতে বাইসাইকেল চালানো বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে খেলার জায়গা কম হওয়ায় বাইসাইকেল একটি কম খরচের বিকল্প হতে পারে।
5। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য হাঁটার চেয়ে সাইকেল চালনা বেশি উপকারী। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং সময় সাশ্রয় করে।
6। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: সাইকেল চালানোর ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, যা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
7. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: সাইকেল চালানো মানসিক চাপ এবং হতাশা হ্রাস করে। এটি মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে এবং ব্রেইন স্ট্রোকের মতো বড় সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক।
বাইসাইকেল চালানো শুধুমাত্র শরীরকে সুস্থ রাখে না, বরং এটি একটি কার্যকরী এবং মজার উপায় যা প্রতিদিনের জীবনে সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
নীচে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় এমন কিছু সাইকেলের মডেল এবং তাদের দাম উল্লেখ করা হলো:
1. Gems Sports Bicycle for Kids: ৳ ৫,৫০০
- এই সাইকেলটি শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা তাদের খেলাধুলার আনন্দ বাড়িয়ে তোলে।
2. Avon Sports Baby Balance Bicycle: ৳ ৫,৮০০ - ছোট বাচ্চাদের ভারসাম্য রক্ষা শেখার জন্য আদর্শ এই সাইকেলটি মজবুত এবং টেকসই।
3. Double Seater Cute Baby Balance Bicycle: ৳ ৪,৮০০ - দুই আসনের এই সাইকেলটি বাচ্চাদের জন্য মজার অভিজ্ঞতা এবং আরও বেশি নিরাপত্তা প্রদান করে।
4. Duranta Extreme Bicycle with Baby Balanced: ৳ ৫,৫০০ - বাচ্চাদের জন্য দুরন্ত ব্র্যান্ডের এই সাইকেলটি ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর।
5. Baby Body Balancing Mini Cycle: ৳ ৬৫০
- ছোটদের জন্য উপযোগী এবং সাশ্রয়ী মূল্যের এই মিনি সাইকেলটি বাচ্চাদের শরীরের ভারসাম্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
6. Meghna Prince Baby Balanced Bicycle: ৳ ৫,৮০০ - মেঘনা প্রিন্স ব্র্যান্ডের এই সাইকেলটি শিশুদের নিরাপত্তা এবং আরামের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে।
7. Double Seater Strong Frame Bicycle for Children: ৳ ৫,০০০ - মজবুত ফ্রেমের এই দুই আসনের সাইকেলটি শিশুদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী এবং নিরাপদ।
8. Racing Baby Sports Bicycle: ৳ ৫,০০০ - ছোটদের জন্য রেসিং স্টাইলের এই সাইকেলটি আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং মজবুত গঠন নিয়ে আসে।
9. Hero Sports Baby Bicycle: ৳ ৫,৮০০ - হিরো ব্র্যান্ডের এই স্পোর্টস সাইকেলটি শিশুদের খেলাধুলার অভিজ্ঞতাকে আরও মজাদার করে তোলে।
10. Hero Sports Bicycle: ৳ ৫,৫০০ - হিরো ব্র্যান্ডের আরেকটি জনপ্রিয় মডেল, যা স্পোর্টস ক্যাটাগরিতে শিশুদের জন্য আদর্শ।
এই সাইকেলগুলো বিভিন্ন বয়সের শিশুদের জন্য বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা প্রদান করে, যা তাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে অনেক সহায়ক।
সর্বশেষ কথা:-
প্রিয় পাঠক আপনি চাইলেই ওদের আজকের পোস্টের লিস্টে থাকা প্রত্যেকটি বাইসাইকেল আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই আপনার সন্তানের জন্য ক্রয় করতে পারেন। সেই সাথে আপনার পুরাতন বাইসাইকেলটিও আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করে ফেলতে পারেন।
বাংলাদেশের বাজারে দুরন্ত সাইকেলের দাম সর্বনিম্ন 8,665 টাকা (BDT) থেকে শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ 25,200 টাকা (BDT) পর্যন্ত যেতে পারে।
বাংলাদেশের বাজারে Veloce সাইকেলের দাম সর্বনিম্ন 17,000 টাকা (BDT) থেকে শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ 35,000 টাকা (BDT) পর্যন্ত যেতে পারে।
বাংলাদেশের বাজারে জায়ান্ট সাইকেলের দাম সর্বনিম্ন 41,500 টাকা (BDT) থেকে শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ 494,000 টাকা (BDT) পর্যন্ত যেতে পারে।
বাংলাদেশের বাজারে ফিনিক্স সাইকেলের দাম সর্বনিম্ন 18,500 টাকা (BDT) থেকে শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ 24,000 টাকা (BDT) পর্যন্ত যেতে পারে।
বাংলাদেশের বাজারে হিরো সাইকেলের দাম সর্বনিম্ন 6,200 টাকা (BDT) থেকে শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ 11,500 টাকা (BDT) পর্যন্ত যেতে পারে।