ধামরাই এর ফটোকপিয়ার
বিজ্ঞাপন ফিল্টার করুন
কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি!
ফটোকপি মেশিনের দাম এবং ক্রয়-বিক্রয় ২০২৫ – সম্পূর্ণ গাইড
২০২৫ সালে বাংলাদেশে অফিস, ব্যবসা কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফটোকপি মেশিন একটি অপরিহার্য যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। সঠিক দামে সঠিক মডেল বেছে নিতে গেলে আগে জানতে হবে বাজারদর, নতুন বনাম ব্যবহৃতের পার্থক্য, এবং ব্র্যান্ডভেদে সুবিধা-অসুবিধা। পাশাপাশি কালার বনাম ব্ল্যাক-অ্যান্ড-হোয়াইট মডেলের দামের ফারাক, EMI সুবিধা, আর অনলাইনে কোথায় সবচেয়ে ভালো ডিল পাওয়া যায়—এসবও গুরুত্বপূর্ণ। এই গাইডে আমি ফটোকপি মেশিনের দাম, বাজারদর, নতুন বনাম ব্যবহৃত, ব্র্যান্ডভেদে তুলনা, কালার/BW পার্থক্য, EMI ও FAQs—সব একসাথে সাজিয়েছি।
বাংলাদেশে ফটোকপি মেশিনের বর্তমান বাজার দর
২০২৫ সালে বাংলাদেশের বাজারে ফটোকপি মেশিন কেনা আর শুধু ‘একটাই মডেল নিলেই হলো’—এমন সরল সিদ্ধান্ত নয়। আপনার কাজের ধরন, মাসিক কপি ভলিউম, A4/A3 দরকার, ডুপ্লেক্স-স্ক্যানিং আছে কি না—এসব মিলেই চূড়ান্ত পছন্দ ঠিক হয়। আমি সাধারণত প্রথমে মোট ভলিউম হিসাব করি, তারপর সেই ভলিউম থেকে ২০–৩০% বেশি ক্যাপাসিটির মেশিন বেছে নেই। এতে ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়লেও সিস্টেম টেনে নিতে পারে। উপরন্তু, অনলাইন-অফলাইন—দুই জায়গাতেই কোট তুলনা করলে বাস্তবে ফটোকপি মেশিনের দাম কমিয়ে ভালো ভ্যালু ধরা যায়।
বাজারে এন্ট্রি, মিড ও হাই-এন্ড—তিন সেগমেন্ট স্পষ্ট। এন্ট্রি মডেল ছোট অফিস বা স্কুলে দারুণ, মিড-রেঞ্জে ডুপ্লেক্স/নেটওয়ার্কিং যোগ হয়, আর হাই-এন্ডে কালার, ADF, ফিনিশার—সব মিলিয়ে প্রফেশনাল প্রোডাকশন-ক্লাস সুবিধা। আমি লক্ষ্য করেছি একই স্পেকের মডেলে ব্র্যান্ড/সাপোর্টভেদে ৫–২০% পর্যন্ত দামের পার্থক্য দেখা যায়। তাই শুধুই ট্যাগ-প্রাইস নয়—ওয়ারেন্টি, পার্টস লিড-টাইম, সার্ভিস সেন্টারের দূরত্ব—সব একসাথে বিবেচনা করলে দীর্ঘমেয়াদে খরচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২০২৫ সালে এন্ট্রি, মিড ও হাই-এন্ড—তিন সেগমেন্টে মডেল পাওয়া যায়। এন্ট্রি B/W (18–25 ppm) ছোট অফিস/স্কুলের জন্য যথেষ্ট। মিড-রেঞ্জে ডুপ্লেক্স/নেটওয়ার্কিং ও দীর্ঘস্থায়ী কনজ্যুমেবল থাকে। হাই-এন্ডে কালার, ADF, ফিনিশার—কর্পোরেট/প্রিন্টশপের জন্য। আমি সবসময় অফলাইন কোটের সঙ্গে অনলাইন অফার তুলনা করি—কুপন/ক্যাশ-ব্যাক ধরলে প্রকৃত দাম কমে।
ক্যাটাগরি | ফিচার | দাম | উপযোগ |
---|---|---|---|
এন্ট্রি | B/W, A4/A3, 18–25 ppm | ৩০,০০০–৫৫,০০০ | ছোট অফিস/স্কুল |
মিড | B/W/Color, 25–35 ppm, ডুপ্লেক্স | ৬০,০০০–১,২০,০০০ | মাঝারি ব্যবসা |
হাই-এন্ড | Color, 35–50+ ppm, ADF/Finisher | ১,৩০,০০০–৩,৫০,০০০+ | কর্পোরেট/শপ |
ফটোকপি মেশিনের দাম কিসের উপর নির্ভর করে?
কোন মেশিনে কত দ্রুত কপি হবে, মাসে কত পেজ নিরাপদে নেওয়া যাবে, টোনার/ড্রামের লাইফ কত—এসবই আসলে মোট ‘প্রতি কপি খরচ’ বা CPP-কে প্রভাবিত করে। আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ppm (pages per minute) ও ডিউটি সাইকেলকে প্রাথমিক ফিল্টার হিসেবে ধরি। তারপর দেখি ডুপ্লেক্স, নেটওয়ার্ক স্ক্যান/প্রিন্ট, A3 সাপোর্ট, আর প্রয়োজনে ফ্যাক্স লাগবে কি না। ফিচার বাড়লে সুবিধা বাড়ে, কিন্তু সাথে সামান্য করে ফটোকপি মেশিনের দামও ওঠে—তাই দরকারি ফিচারই নিন।
বাহ্যিক কারণও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়—ডলার রেট, আমদানি শুল্ক, শিপিং/সাপ্লাই চেইন, এমনকি মৌসুমী অফারও প্রাইসিং বদলে দেয়। শক্ত সার্ভিস নেটওয়ার্ক আছে এমন ব্র্যান্ডে প্রথমে দাম একটু বেশি মনে হতে পারে, কিন্তু দ্রুত রিপেয়ার/পার্টসের সুবিধায় ডাউনটাইম বাঁচে। আমি বাস্তবে দেখেছি—সার্ভিস ধীর হলে দোকানের লাইনে দাঁড়ানোর খরচই বড় হয়ে যায়। তাই স্পেসিফিকেশনের পাশাপাশি ‘পরের দিনের সাপোর্ট’ও তুলনা করুন।
ফটোকপি মেশিনের দাম স্পিড (ppm), ডিউটি সাইকেল, ডুপ্লেক্স/ADF, নেটওয়ার্কিং, A3 সাপোর্ট, স্ক্যান/ফ্যাক্স, এবং কনজ্যুমেবল লাইফের উপর নির্ভর করে। ppm বাড়লে সময় বাঁচে, কিন্তু মেশিনের দামও বাড়ে। CPP (প্রতি কপি খরচ) কম রাখতে টোনার/ড্রাম লাইফ গুরুত্বপূর্ণ।
বাহ্যিক ফ্যাক্টর—ডলার রেট, শুল্ক, শিপিং, সার্ভিস সেন্টারের কভারেজ। Canon/Toshiba/Ricoh/Sharp—সার্ভিস ভালো হলে দাম সামান্য বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয় হয়।
ppm ও ডিউটি সাইকেল
আপনার বাস্তব ভলিউম থেকে ২০–৩০% বেশি ক্যাপাসিটির মেশিন নিলে দীর্ঘমেয়াদে স্টেবল থাকে।
কনজ্যুমেবল কস্ট
টোনার/ড্রাম/ফিউজার লাইফ যত বেশি, CPP তত কম। রিয়েল কভারেজ ৫–১০% ধরে হিসাব করুন।
নতুন বনাম ব্যবহৃত ফটোকপি মেশিনের দামের পার্থক্য
নতুন মেশিন মানে ফ্যাক্টরি-সিলড কন্ডিশন, সম্পূর্ণ ওয়ারেন্টি, আর মাথা নষ্ট-করা ডাউনটাইমের ঝামেলা কম। বিশেষ করে যাদের ব্যবসায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ডকুমেন্ট ডেলিভার করতে হয়, তাদের জন্য নতুন ইউনিটের নিশ্চিন্ততা অমূল্য। তবে শুরুতেই বাজেট একটু বেশি লাগে—এটা মেনে নিতে হয়। অপরদিকে ব্যবহৃত নিলে একই স্পেসিফিকেশনে প্রথম দিনেই ভালো সাশ্রয় হয়; স্টার্টআপ বা ছোট কপি-শপের জন্য এই পথটা বাস্তবে কাজ করে।
আমি ব্যবহৃত বিবেচনা করলে কয়েকটি ধাপ মেনেই এগোই—সার্ভিস মেনুতে মোট পেজ কাউন্ট, কপির শার্পনেস/ঘোস্টিং, ফিডিং/জ্যাম আচরণ, স্ক্যান লাইনে দাগ পড়ে কি না, এবং ফার্মওয়্যার/এরর লগ। এরপর ৭–১৫ দিনের রিপ্লেসমেন্ট নীতি লিখিত নিই। কোর পার্টস যেমন ড্রাম/ফিউজার নতুন দেওয়া থাকলে আরও ভালো। এসব চেকলিস্ট অনুসরণ করলে বাজেট বাঁচিয়েও কাজের মধ্যে স্থিরতা বজায় রাখা যায়, আর অনর্থক রিস্ক কমে।
নতুন ফটোকপি মেশিনের দাম বেশি হলেও অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি ও কম ডাউনটাইম দেয়। ব্যবহৃত ফটোকপি মেশিন দাম কম, কিন্তু টেস্টিং জরুরি—পেজ কাউন্ট, কপি কোয়ালিটি, ফিডিং/জ্যাম, ফার্মওয়্যার।
আমি ব্যবহৃত হলে সার্ভিস মেনুতে পেজ কাউন্ট দেখি, নমুনা কপি নিই, ৭–১৫ দিনের রিপ্লেসমেন্ট নীতি নিশ্চিত করি।
ব্র্যান্ডভেদে ফটোকপি মেশিনের দাম (Canon, Toshiba, Ricoh, Sharp)
ব্র্যান্ড বাছাই কেবল লোগোর প্রশ্ন নয়—বাড়তি টাকার বিনিময়ে আপনি কী ধরনের সার্ভিস ইকোসিস্টেম পাচ্ছেন সেটাই মূল। Canon সাধারণত রঙের ফিডেলিটি ও ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসে এগিয়ে; Toshiba টেকসই আর কম CPP-তে দাপুটে; Ricoh অফিস-গ্রেড স্পিড/স্ট্যাবিলিটিতে জনপ্রিয়; Sharp প্রায়শই ADF/ডুপ্লেক্স পারফরম্যান্সে চমকে দেয়। আমি প্রাইসিং দেখার আগে নিজের চাহিদা লিখে নিই—Color vs B/W, A3 দরকার কিনা, মাসিক ভলিউম—তারপর ব্র্যান্ড মিলাই।
একই স্পেকের মধ্যে ৫–২০% দামের পার্থক্য অবাক হওয়ার কিছু নয়। পার্থক্যটা আসে চ্যাসিস-কোয়ালিটি, কনজ্যুমেবল লাইফ, ফার্মওয়্যার স্থিতি এবং—সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—সার্ভিস সেন্টারের রেসপন্স টাইমে। আমি সাধারণত তিনটি কোট নিই, প্রতিটিতে টোনার/ড্রাম/ফিউজারের আনুমানিক লাইফ ও দামের হিসাব চেয়ে CPP বের করি। এই বাস্তব CPP দেখলে ফটোকপি মেশিনের দাম তাত্ক্ষণিক ট্যাগ থেকে ভিন্ন দেখাতে পারে—কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সেটাই সত্য।
Canon ফটোকপি মেশিন দাম তুলনামূলক বেশি—কালার ও ইউজার-ফ্রেন্ডলি। Toshiba ফটোকপি মেশিন দাম ভারসাম্যপূর্ণ—স্থায়িত্ব/CPP ভালো। Ricoh অফিস-গ্রেডে জনপ্রিয়; Sharp-এ ডুপ্লেক্স/ADF শক্ত।
ব্র্যান্ড | এন্ট্রি (B/W) | মিড | হাই-এন্ড (Color) |
---|---|---|---|
Canon | ৳ ৩৫–৫৫K | ৳ ৭০K–১.৩L | ৳ ১.৫–৩.৫L+ |
Toshiba | ৳ ৩২–৫০K | ৳ ৬৫K–১.২L | ৳ ১.৪–৩.২L+ |
Ricoh | ৳ ৩০–৪৮K | ৳ ৬০K–১.১L | ৳ ১.৩–৩.০L+ |
Sharp | ৳ ৩২–৫২K | ৳ ৬৮K–১.২L | ৳ ১.৪–৩.৩L+ |
অফিস ও ব্যবসায়ের জন্য কোন ফটোকপি মেশিন সেরা হবে?
অফিস বা ব্যবসায়ের জন্য মডেল বেছে নেওয়ার সহজ সূত্র—কাজের ধাপগুলো লিখে ফেলুন। কেবল টেক্সট কপি বেশি? তাহলে B/W, কম CPP-র ইউনিট নিন। প্রশ্নপত্র/ফর্ম প্রিন্টিং বেশি হলে A3, ডুপ্লেক্স ও উচ্চ ডিউটি সাইকেল বেছে নিন। আপনি যদি প্রজেক্ট ডকুমেন্ট স্ক্যান করে টিমে পাঠান, তাহলে নেটওয়ার্ক স্ক্যান-টু-ইমেইল/ফোল্ডার অপরিহার্য। আমি সবসময় ‘ভলিউম → ফিচার → বাজেট’ এই ক্রমে মডেল নির্বাচন করি—ফলাফল, অপ্রয়োজনীয় ফিচারে টাকা আটকে থাকে না।
প্রিন্টিং শপ বা ডিজাইন স্টুডিওতে রঙ-সঠিক আউটপুটই ব্যবসার প্রাণ। তাই Color MFP, ADF, এবং প্রয়োজনে ফিনিশার নেওয়া যুক্তিযুক্ত। ছোট অফিসে তবে B/W-ই সেরা ভ্যালু। ভবিষ্যতে আপগ্রেড প্ল্যান থাকলে এমন মডেল নিন যেখানে কনজ্যুমেবল সহজলভ্য এবং সার্ভিস সাপোর্ট দ্রুত। এই ভাবনায় এগোলেই ফটোকপি মেশিনের দাম যুক্ত খরচ স্থিতিশীল থাকে এবং মেশিন বেশি দিন ধারাবাহিকভাবে কাজ দেয়।
ছোট অফিসে B/W, A4-কেন্দ্রিক, 18–25 ppm যথেষ্ট। মাঝারি ব্যবসায় ডুপ্লেক্স, A3, নেটওয়ার্ক স্ক্যান দরকার। প্রিন্টিং শপে Color MFP + Finisher প্রাসঙ্গিক। আমি সবসময় কাজের ধরন → মাসিক ভলিউম → বাজেট এই ক্রমে সিদ্ধান্ত নেই—তাতে ফটোকপি মেশিনের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ছোট অফিস/স্টার্টআপ
B/W, কম CPP, সহজ রক্ষণাবেক্ষণ—শুরুতে ঝক্কি কম।
স্কুল/মাঝারি ব্যবসা
25–35 ppm, ডুপ্লেক্স/নেটওয়ার্ক—ভলিউম সহনীয়ভাবে কভার করে।
প্রিন্টিং শপ/স্টুডিও
Color, ADF/Finisher—রঙ-সঠিক আউটপুট ও দ্রুত সার্ভিস।
কালার বনাম ব্ল্যাক-অ্যান্ড-হোয়াইট ফটোকপি মেশিনের দাম
Color আর B/W—দুই জগত দুই নীতি। Color-এ হার্ডওয়্যার বেশি জটিল, টোনার চারটি (CMYK), ক্যালিব্রেশন লাগে—তাই শুরুর দাম ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি। কিন্তু বাণিজ্যিক দৃষ্টিতে রঙিন পোস্টার, ব্রোশিওর, ফর্ম বা ডিজাইন প্রুফের কাজ হলে প্রতি পেজে আয়ের সম্ভাবনাও তুলনামূলক বেশি। B/W টেক্সট-ডমিন্যান্ট ডকুমেন্ট, প্রশ্নপত্র বা অফিস ফাইলে রাজা—কম CPP, কম ঝামেলা।
আমার পরামর্শ—ব্যবহারের ধরণ লিখে ফেলুন। রঙিন কাজ মাসে কত পেজ? সেগুলো কি আলাদা ছোট Color প্রিন্টারে অফলোড করা যায়? অনেক অফিসে ‘B/W মেইন মেশিন + সেকেন্ডারি Color প্রিন্টার’ সেটআপেই বাস্তব খরচ কমে। প্রিন্টশপ হলে অবশ্যই Color MFP প্রাধান্য দিন। এই সিদ্ধান্ত কাঠামোগত হলে ফটোকপি মেশিনের দাম বাড়তি চাপ ছাড়াই কাঙ্ক্ষিত মানে থাকে।
Color হার্ডওয়্যার ও কনজ্যুমেবল (CMYK) বেশি খরচের; কিন্তু পোস্টার/ব্রোশিওর/ডিজাইন-প্রুফে আয়ের সম্ভাবনাও বেশি। B/W টেক্সট-হেভি কাজে সেরা ভ্যালু দেয়। অনেক শপে B/W মেইন + ছোট Color সেকেন্ডারি হিসেবে রাখা হয়।
Color কখন নেব?
রঙিন কাজ বেশি হলে—পোস্টার, ব্রোশিওর, ফর্ম, প্রুফিং—Color নিন।
B/W কখন নেব?
টেক্সট-ডমিন্যান্ট ডকুমেন্ট—কম CPP-তে হাই ভলিউমের জন্য।
অনলাইনে কোথায় সস্তায় ফটোকপি মেশিন কেনা যায়?
অনলাইনে কম দাম মানেই সেরা ডিল—এমন নয়। আমি তিন ধাপে যাই: প্রথমে অন্তত তিনটি বিশ্বস্ত সাইটে একই মডেলের দাম নোট করি; তারপর কুপন, ক্যাশ-ব্যাক, ব্যাংক অফার, EMI মিলিয়ে ‘নেট কার্ট ভ্যালু’ হিসাব করি; শেষে রিটার্ন/রিপ্লেসমেন্ট ও ওয়ারেন্টি নীতির সূক্ষ্ম লেখা পড়ি। বাস্তবে দেখা যায়, নীতিমালা পরিষ্কার থাকলে সামান্য বেশি দামও দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক।
Aponhut-এ আমি কনসাল্টিভ সাপোর্ট পাই—ভলিউম/ফিচার অনুযায়ী কনফিগ সাজেশন, টোনার/পার্টস এভেইলেবিলিটি, আর ক্লিয়ার EMI/রিটার্ন পলিসি। পাশাপাশি পরিচিত রিটেইলার/মার্কেটপ্লেসে তুলনা করলে বাজারের পালস বোঝা যায়। এমন কম্বিনেশনেই ফটোকপি মেশিনের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পরের দিন সার্ভিস নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
আমি ধাপ তিনটি মেনে চলি: ১) Aponhut + ২টি বিশ্বস্ত সাইটে দাম তুলনা, ২) কুপন/ক্যাশ-ব্যাক/EMI ধরে নেট কার্ট ভ্যালু হিসাব, ৩) রিটার্ন/ওয়ারেন্টি নীতি পড়ে নেওয়া।
শুরু করুন Aponhut থেকে—কনসাল্টিভ সাপোর্ট, কাস্টম কোট ও স্পষ্ট পলিসি।
কিস্তিতে ফটোকপি মেশিন কেনার সুবিধা
EMI বড় কেনাকাটাকে সহজ কিস্তিতে ভাগ করে—ব্যবসার ক্যাশফ্লো ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে শুধু মাসিক কিস্তি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভুল। আমি সর্বদা টোটাল কস্ট অফ ওনারশিপ (TCO) হিসাব করি—প্রসেসিং ফি, ভ্যাট, ডেলিভারি/ইনস্টলেশন, সম্ভাব্য প্রিপেমেন্ট/লেট ফি—সব যোগ করে দেখলে আসল ছবি পরিষ্কার হয়। অনেক সময় ০% EMI দেখালেও ছোটখাটো চার্জে মোট খরচ বাড়ে।
ডকুমেন্টেশনে সাধারণত NID, কার্ড/ব্যাংক কাগজ, ঠিকানার প্রমাণ লাগে। আমি ৫–১০% বাফার বাজেট ধরতে বলি—টোনার/ড্রাম/সার্ভিস কস্ট বছরে একবার ধরলে ঝামেলা কম। EMI বেছে নেওয়ার পরও স্যাম্পল কপি, CPP, ওয়ারেন্টি নীতি যাচাই করে নিন—এগুলো ঠিক থাকলে ফটোকপি মেশিনের দাম যুক্ত মোট খরচ টেকসই সীমায় থাকে।
EMI বড় বাজেটকে মাসিক কিস্তিতে ভাগ করে। আগে টোটাল কস্ট (প্রসেসিং ফি, ভ্যাট, ডেলিভারি/ইনস্টলেশন) হিসাব করুন—শুধু মাসিক কিস্তি দেখে সিদ্ধান্ত নয়।
কাগজপত্র
NID, ব্যাংক/কার্ড ডকুমেন্ট, ঠিকানা, আয়-প্রমাণ।
ফটোকপি মেশিন বনাম প্রিন্টার – দামের পার্থক্য
প্রিন্টার ও ফটোকপি মেশিনের পার্থক্যটা মূলত স্কেল ও স্ট্যামিনায়। ছোট স্কেলে প্রিন্টার দারুণ; তবে ভলিউম বাড়লে ফিডিং, ADF, ডুপ্লেক্স, কুলিং—সব জায়গায় মেশিন ক্লাসের ফারাক চোখে পড়ে। MFP/কপিয়ারগুলো দীর্ঘক্ষণ কপি নিতে স্থিতিশীল, ডিউটি সাইকেল উচ্চ, আর CPP কম। তাই স্কুল, অফিস বা শপ—যেখানে দিনে শত শত পেজ—সেখানে কপিয়ারই টেকসই সমাধান।
অবশ্যই, বাজেট/স্পেস/প্রয়োজন দেখেই সিদ্ধান্ত নিন। কিছু অফিসে টেক্সট কম হলে প্রিন্টারই যথেষ্ট; কিন্তু পরে কাজ বেড়ে গেলে আপগ্রেডের সময় আবার খরচ হয়। আমি ‘আজকের কাজ + ১ বছরের সম্ভাব্য বৃদ্ধি’ ধরে প্ল্যান করি। এতে শুরুর ফটোকপি মেশিনের দাম সামান্য বাড়লেও ফ্রিকোয়েন্ট আপগ্রেডের খরচ বাঁচে এবং অপারেশন স্মুথ থাকে।
প্রিন্টার ছোট স্কেলে সাশ্রয়ী; MFP/কপিয়ারে স্পিড/ডিউটি সাইকেল/CPP কম—হাই ভলিউমে লাভজনক।
দিক | প্রিন্টার | ফটোকপি মেশিন |
---|---|---|
শুরুর দাম | কম | বেশি |
ভলিউম | কম/মাঝারি | মাঝারি/উচ্চ |
CPP | মাঝারি/উচ্চ | কম |
ফিচার | সীমিত | ADF/ডুপ্লেক্স/ফিনিশার |
কেন Aponhut থেকে ফটোকপি মেশিন কিনবেন?
Aponhut-এ কেনার বড় সুবিধা—কনসাল্টিভ অ্যাপ্রোচ। আমি বাজেট বললেই তারা মাসিক ভলিউম, কাগজের সাইজ, কালার দরকার, স্ক্যান-টু-ইমেইল, নেটওয়ার্কিং—সব বুঝে প্র্যাকটিক্যাল কনফিগ সাজেস্ট করে। সবচেয়ে ভালো লাগে—টোনার/ড্রাম এভেইলেবিলিটি আগেই বলা হয়, ফলে পরে সার্ভিসে বসে থাকতে হয় না। EMI/ক্যাশ-ব্যাক/অফারের তথ্যও ক্লিয়ার থাকে।
ডেলিভারি থেকে ইনস্টলেশন—সবকিছু ধাপে ধাপে করা হয়; প্রয়োজনে স্টাফকে ছোট ট্রেনিংও দিয়ে দেন। সমস্যায় দ্রুত রেসপন্স—এটা ব্যবসায়ীর কাছে স্বস্তি। এ কারণেই আমি Aponhut-কে প্রায়োরিটাইজ করি। সঠিক জায়গায় সঠিক সাপোর্ট পেলে ফটোকপি মেশিনের দাম নিয়ে বারবার মাথা ঘামাতে হয় না—সিস্টেম নিজের মতো চলতেই থাকে।
- জেনুইন প্রোডাক্ট, স্পষ্ট ওয়ারেন্টি
- টোনার/ড্রাম/পার্টস স্টক সাপোর্ট
- ইনস্টলেশন ও ট্রেনিং সহায়তা
- EMI, ক্যাশ-ব্যাক, মৌসুমী অফার
ফটোকপি মেশিন কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
কেনার আগে কাগজে-কলমে পরিকল্পনা লিখে ফেলুন—মাসে গড়ে কত পেজ, কখন পিক লোড, A3/ডুপ্লেক্স লাগবে কি না, স্ক্যান-টু-ইমেইল দরকার কিনা। এই লিস্ট মাথায় রেখে শোরুমে গেলে ‘চকচকে ফিচার’ দেখে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলবেন না। আমি প্রথম দিনেই ড্রাইভার/ফার্মওয়্যার আপডেট সেরে রাখি, নেটওয়ার্ক ফোল্ডার/ইমেইল সেটআপ করি, আর স্যাম্পল কপিগুলো ফাইলে রাখি—ভবিষ্যতে রেফারেন্স লাগে।
ওয়ারেন্টি/রিটার্ন নীতি লিখিত রাখুন, বিল ও সিরিয়াল নম্বর সংরক্ষণ করুন, আর প্রথম সপ্তাহে ৫০–১০০ পেজ টেস্ট চালিয়ে রিয়েল CPP আন্দাজ করুন। ফিডিং/জ্যাম হলে সঙ্গে সঙ্গে জানালে দ্রুত সমাধান মেলে। এসব বেসিক ফলো করলে ফটোকপি মেশিনের দাম যুক্ত মোট খরচ ন্যায্য থাকে, আর মেশিনও দীর্ঘদিন ভালো সার্ভিস দেয়।
ভলিউম আগে ঠিক করুন
মাসিক পেজ-টার্গেট থেকে ২০–৩০% বেশি ক্যাপাসিটি নিন—ডাউনটাইম কমে।
A3/ডুপ্লেক্স/ADF প্রয়োজন?
প্রয়োজন থাকলে নিন—অপ্রয়োজনীয় ফিচারে বাজেট নষ্ট নয়।
ওয়ারেন্টি/রিটার্ন
লিখিত নিন; স্যাম্পল কপি রেখে দিন।
সুপার পেজেস — দ্রুত পথ
সুপার পেজেস মূলত ‘শর্টকাট’—যে ধরনের ক্রেতার যে সেটআপ দরকার, সেটার জন্য রেডি রেফারেন্স। বাজেট B/W কপিয়ার পেজে এন্ট্রি-ক্লাস মডেল, মিড-রেঞ্জে A3/ডুপ্লেক্স/নেটওয়ার্কিং, আর Color MFP পেজে স্টুডিও/প্রিন্টশপ ফোকাসড কনফিগ রাখা হয়েছে। আমি সাধারণত লিংকগুলো বুকমার্ক করে রাখি—নতুন দাম/অফার দেখলেই মিলিয়ে নিই।
EMI/কিস্তি তথ্য পেজে কার্ড/ব্যাংকভিত্তিক অফার, কাগজপত্র, প্রসেসিং টাইমলাইন একসাথে আছে। এই রেফারেন্সগুলো হাতে থাকলে ফোন-কলে বারবার জিজ্ঞেস করতে হয় না। দ্রুত সিদ্ধান্ত, দ্রুত ডেলিভারি—ফলত অপারেশন স্মুথ। তাই সুপার পেজেস দিয়ে শুরু করলে ফটোকপি মেশিনের দাম বুঝতে ও প্ল্যান করতে সময় বাঁচে।
FAQs — মানুষ সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নগুলো করে
FAQs অংশটি আমি রিসার্চ-ভিত্তিক রাখি—মানুষ অনলাইনে যে প্রশ্নগুলো বেশি করে, সেগুলোর সরল উত্তর এখানে। শুরুর বাজেট কত, নতুন না ব্যবহৃত, কালার নিলে খরচ কত বাড়ে, CPP কিভাবে বের করব, কোথায় সবচেয়ে সস্তা—এমন প্রশ্নগুলো বাস্তব উদাহরণসহ পরিষ্কার করি। উদ্দেশ্য একটাই: আপনি যেন বিক্রেতার উপর নির্ভর না করে নিজেও যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
প্রতিটি উত্তরে আমি ধাপভিত্তিক নির্দেশনা দিই—কী চেক করবেন, কোথায় তুলনা করবেন, কোন ভুলগুলো এড়াবেন। এই গাইড পড়ে আপনি যদি নিজেই দুই-তিনটি কোট নিয়ে CPP হিসাব করতে পারেন, তবেই সঠিক মানে পৌঁছালাম। তাই এই অংশটা পড়ে সেভ করে রাখুন—কেনার দিনে একবার দেখে নিলেই ভুল কম হবে।
১) ২০২৫ সালে বাংলাদেশে ফটোকপি মেশিনের দাম কত থেকে শুরু?
এন্ট্রি-লেভেল B/W মডেল সাধারণত ৩০–৫৫ হাজার টাকার মধ্যে শুরু হয়। এই রেঞ্জে 18–25 ppm স্পিড, A4/A3 সাপোর্ট এবং বেসিক কপি/স্ক্যান ফিচার থাকে। ছোট অফিস, স্কুল বা স্টেশনারি শপের জন্য এগুলো যথেষ্ট। মাঝারি বাজেট ৬০ হাজার থেকে ১.২ লাখ টাকার মধ্যে হলে ডুপ্লেক্স, নেটওয়ার্ক স্ক্যান, এবং উচ্চ ডিউটি সাইকেলের সুবিধা পাওয়া যায়। কালার MFP-র ক্ষেত্রে দাম বেশি, তবে ডিজাইন/প্রিন্টিং শপে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ তৈরি হয়। তাই আমি সবসময় আপনার মাসিক ভলিউম অনুযায়ী মডেল নির্বাচন করার পরামর্শ দিই—এতে খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদে ঝামেলা কম হয়।
২) নতুন নাকি ব্যবহৃত—কোনটা ভ্যালু ফর মানি?
স্টার্টআপ বা ছোট শপ হলে টেস্টেড ব্যবহৃত ভ্যালু দিতে পারে—শর্ত হলো পেজ কাউন্ট, ড্রাম/ফিউজার, ফিডিং/জ্যাম, ফার্মওয়্যার ঠিক আছে কি না যাচাই এবং ৭–১৫ দিনের রিপ্লেসমেন্ট নীতি। কর্পোরেট বা হাই-ভলিউম ব্যবহারে ডাউনটাইম কস্ট বেশি, তাই নতুন মেশিন নিরাপদ। নতুনে অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি ও সার্ভিস সাপোর্ট থাকে। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিন ভলিউম, ঝুঁকি-সহ্যক্ষমতা ও কাস্টমার কমিটমেন্ট দেখে—তাহলেই অর্থের সঠিক ব্যবহার হবে।
৩) কালার ফটোকপি মেশিন নিলে খরচ কি খুব বেড়ে যায়?
Color MFP-তে শুরুর দাম এবং কনজ্যুমেবল (CMYK) কস্ট উভয়ই বেশি; কিন্তু ব্রোশিওর, রঙিন ফর্ম, পোস্টার, ডিজাইন প্রুফের কাজ থাকলে প্রতি পেজে আয়ের সম্ভাবনাও বেশি। অনেক শপ B/W প্রধান কাজের জন্য একটি হাই-স্পিড MFP এবং রঙিন কাজের জন্য একটি Color MFP রাখে—এতে ব্যয় কমে, সার্ভিস ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ে। তাই ব্যবহার ধরণ না দেখে শুধুই দাম দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
৪) CPP (প্রতি কপি খরচ) কীভাবে গণনা করব?
CPP বের করতে টোনার/ড্রামের দামকে আনুমানিক পেজ লাইফ দিয়ে ভাগ করুন, এরপর সম্ভাব্য সার্ভিস/পার্টস খরচ পেজ-অনুপাতে যোগ করুন। উদাহরণ: যদি টোনারের দাম ৫,০০০ টাকা এবং লাইফ ১০,০০০ পেজ হয়, তবে টোনার CPP = ০.৫০ টাকা/পেজ। ড্রাম/ফিউজারের অংশ যোগ করলে মোট CPP নির্ধারিত হবে। কভারেজ (৫% বনাম ১০% ইঙ্ক কভারেজ) CPP-তে প্রভাব ফেলে—তাই সেলার থেকে স্যাম্পল কপি নিয়ে কভারেজ অনুমান করা বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত।
৫) কোথা থেকে সস্তায় অথচ বিশ্বস্তভাবে কিনব?
আমি ব্যক্তিগতভাবে Aponhut-কে অগ্রাধিকার দিই—জেনুইন প্রোডাক্ট, স্বচ্ছ ওয়ারেন্টি, কনসাল্টেটিভ সাপোর্ট। তারপরও অন্তত আরও দুইটি বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্মে দাম তুলনা করে কার্ট ভ্যালুতে কুপন/ক্যাশ-ব্যাক/EMI যোগ করি এবং রিটার্ন নীতির সূক্ষ্ম লেখা পড়ে দেখি। সেলার রেটিং/রিভিউ ও সার্ভিস সেন্টারের লোকেশন যাচাই করলে ভবিষ্যতের ঝামেলা কমে। এই ধাপগুলো মেনে চললে আপনি দামে সাশ্রয় করবেন এবং টেকসই মেশিন পাবেন।
উপসংহার ও Key Takeaways
সবশেষে, সঠিক পরিকল্পনা মানেই সঠিক বিনিয়োগ। ‘আজকের প্রয়োজন + আগামী ১২ মাসের সম্ভাবনা’ ধরে নিলে হুটহাট আপগ্রেডের খরচ কমে। যেকোনো ব্র্যান্ড/মডেল নেওয়ার আগে CPP, কনজ্যুমেবল লাইফ, সার্ভিস রেসপন্স—এই তিনটি সূচক মিলিয়ে নিন। দাম একটু কম দেখলেই ঝাঁপ দেবেন না—নীতিমালা পরিষ্কার না হলে পরে ছোট খরচে বড় ক্ষতি হয়।
আমি সবসময় অন্তত তিনটি কোট তুলনা করি, স্যাম্পল কপি রাখি, আর প্রথম সপ্তাহে লাইট-স্ট্রেস টেস্ট চালিয়ে নিশ্চিন্ত হই। এই শৃঙ্খলা মেনে চললে ফটোকপি মেশিনের দাম বাস্তবিক সীমায় থাকে, ব্যবসাও স্মুথ চলে। এখনই চাইলে Aponhut-এ কাস্টম কোট রিকোয়েস্ট করুন—আপনার ভলিউম ও বাজেট অনুযায়ী মডেল সাজেস্ট করব।
- ফটোকপি মেশিনের দাম—ভলিউম ও ফিচার-চাহিদা অনুযায়ী ঠিক করুন।
- CPP, কনজ্যুমেবল লাইফ ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক—দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয় আনে।
- ৩টি কোট তুলনা না করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়।