দই তৈরির রেসিপি এবং উপকারিতা ও অপকারিতা

 প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২২, ০৬:০৪ অপরাহ্ন   |   নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী , টিপস ও গাইড

ঘরোয়া পদ্ধতিতে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি | Aponhut.com

দই তৈরির রেসিপি এবং উপকারিতা ও অপকারিতা : 

এই গরমে যদি দোকানের মতো ঠান্ডা মিষ্টি দই ঘরে বসেই বানানো যায় তাহলে কেমন হয়? টেনশনের কোনো কারন নেই আজকে আমরা শিখবো দই বানানোর রেসিপি। বগুড়ার দই নাটোরের দই সব দই কে হার মানাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি এই দই। দই খাওয়ার উপকারিতা তো কম নয় তাই সুসাস্থ তৈরিতে দই এর বিকল্প নাই। অনেক গৃহিনীর ভ্রান্ত ধারনা। দই তৈরির রেসিপি মনে হয় কতো জটিল ও সময়সাপেক্ষ!! একদম নয় দই বানানোর রেসিপি মোটেও কঠিন নয়। এখনি দেখে নিন।

 

দই তৈরির উপকরনঃ

 

  • ফুল ফ্যাট যুক্ত দুধ ৩ কাপ।
  • চিনি ১ চা চামচ।
  • বাদামী চিনি ২ চা চামচ।
  • মিষ্টি দই ১ চা চামচ।
  • ১ চা চামচ পানি।

 

দই তৈরির রেসিপিঃ

প্রথমে একটি মোটা তলা বিশিষ্ট ননস্টিক ফ্রাইং প্যান নেই,সেখানে ৩ কাপ পরিমানে দুধ করম করি। দুধটাকে ফোটার জন্য রেখে দিবেন এবং মাঝে মাঝে নাড়া দিবেন। এখন ২ টেবিল চামচ পরিমান চিনি দুধে মিক্স করে আরো ভালোভাবে নাড়তে থাকবেন। এরপর মাঝারি আচে রেখে দিন এবং মাঝে মাঝে নাড়ুন যাতে দুধটা একদম ঘন হয়ে অর্ধেক এ নেমে আসে। দই তৈরির রেসিপি তে এটি প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। বগুড়ার দই বলেন যাই বলেন সব বিখ্যাত সব দই তৈরির পেছনের মুল যাদুকর এই দুধ জ্বাল করাই। এখন আরেকটি মোটা তলাওয়ালা ফ্রাইংপ্যান এ ব্রাউন সুগার এবং ২ টেবিল চামচ পরিমানে পানি নিয়ে নাড়তে থাকবো ক্যারামেলাইজড হওয়ার আগ পর্যন্ত। এর পরে পাশের প্যানের ফুটন্ত দুধে ক্যারামেলাইজড চিনির মিশ্রনটি দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন এবং দুধকে আরো ফুটতে দিন। কিছু সময় পর গ্যাসটি অফ করতে হবে। ব্যাস আমাদের দই তৈরির রেসিপি প্রায় শেষ হয়ে গেলো। শেষ কিছু কাজ করলেই আমাদের দই বানানোর রেসিপি হয়ে যাবে। আপনাদের আর অপেক্ষা করাবো নাহ। এরপর দুধকে কিছুটা ঠান্ডা হতে দিতে হবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে খুব বেশি ঠান্ডা যেনো না হয়ে যায়। দুধ কিছুটা উষ্ণ থাকাকালীন একটি মাটির পাত্রে স্থানান্তরিত করুন। এখন এটায় এক চামচ পরিমান মিষ্টি দই দিয়ে নাড়ুন। এরপর পাত্রটিকে ঢেকে রাখুন এবং মৃদু উষ্ণ কোনো যায়গায় ৭-৮ ঘন্টার জন্য রেখে দিন অর্থাৎ ফুল সেট না হওয়া পর্যন্ত রেখে দিতে হবে। এরপর যদি আমরা সুন্দর ক্রিমি টেক্সচার চাই বগুড়ার দই এর মতো তাহলে ২ ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।ব্যাস আমাদের মিষ্টি দই তৈরি হয়ে গেলো। কি দই তৈরির রেসিপি একদম সহজ না? আমরা তো সহজেই দই বানানোর রেসিপি দেখে দই তৈরি করে ফেললাম। চলুন এবার জেনে নেবো দই খাওয়ার উপকারিতা। দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে না বললেই নয় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি এই বিষয় নিয়ে।

 

দই খাওয়ার উপকারিতাঃ

দই শুধু একটি মজাদার মিষ্টি খাবার নয়, এটি কিন্তু বেশ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। আপনি আপনার খাবার লিস্টে দই রাখলে অনেক সুবিধা পাবেন। যেমনঃ

  • মজবুত হাড় তৈরিতে সহায়তা করে
  • হজমে সাহায্য করে
  • রক্তচাপ কমায়
  • ত্বকের জন্য উপকারী
  • প্রচুর ভিটামিনের সমাহার
  • রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • দেহে ছত্রাক প্রতিরোধ করে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • পাকস্থলীর নানা সমস্যা দুর করে

 

দই খাওয়ার অপকারিতাঃ

 

দই খাওয়ার উপকারিতা তো অনেক দেখলাম এবার দেখবো দই খাওয়ার অপকারিতা। দই বানানোর রেসিপি দেখে দই তৈরি করে ফেললাম কিন্তু দই এর একটু অপকারিতা ও রয়েছে।যেমন যারা বাতের রোগী তাদের কাছে দই বিষের সমান।অবশ্যই দই বর্জন করতে হবে তাদের। এছাড়াও ডাইবেটিকস এ যারা ভুগছেন তাদেরও সাবধানে দই খাওয়া উচিত।

 

মিষ্টি দই সহ সকল ধরনের গ্রোসারি আইটেম কেনার জন্য এখনি ভিজিট করুন: Grocery Items আর এরকম আরো ইন্টারেস্টিং ব্লগ পেতে চোখ রাখুন Aponhut এর ব্লগ সেকশনে।