বাংলাদেশে সর্বনিম্ন দামে সেরা ১০টি গাড়ি

 প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন   |   গাড়ি , টপ ও বেস্ট

বাংলাদেশে সর্বনিম্ন দামে সেরা ১০টি গাড়ি

বাংলাদেশে সর্বনিম্ন দামে সেরা ১০টি গাড়ি

সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ক্রমশ বড় হচ্ছে গাড়ির বাজার, পশ্চিমা দেশগুলির মতো। প্রতিদিন নামি দামি গাড়ির সংস্থাগুলি শত শত ক্রেতার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছে। গাড়ির বাজার বড় হওয়া মানে বিকল্পের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া, যা মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের জন্য বিশেষভাবে সুবিধাজনক। এই চাহিদা মাথায় রেখে ভারতীয় এবং জাপানি সংস্থাগুলি বাজারে একাধিক মডেলের গাড়ি এনেছে।


বাংলাদেশে বিক্রি হয় টাটা মোটরস এবং মারুতি সুজুকির সবচেয়ে কম দামি গাড়ি, যথাক্রমে টাটা ন্যানো এবং মারুতি অল্টো। এ ছাড়াও মারুতি সুইফট, টয়োটা ভিটস, এবং রেনল্ট কুইডের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে জনপ্রিয় গাড়িও রয়েছে। এই প্রতিটি গাড়ি দীর্ঘদিন ধরে নির্ভরযোগ্যভাবে চালাতে পারবেন, সঙ্গে পাবেন ভালো মাইলেজ এবং আরামদায়ক যাত্রা। আর তাই তো আজকের এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশে সর্বনিম্ন দামে সেরা ১০টি গাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।  তাই আপনি যদি সঠিক গাড়িটি সর্বনিম্ন দামে কিনতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার আমন্ত্রণ রইল, চলুন বেশি কথা না বলে দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশে সর্বনিম্ন দামে সেরা ১০টি গাড়ি।

১. টয়োটা এক্সিও

বাংলাদেশের গাড়ির বাজারে টয়োটা এক্সিও একটি জনপ্রিয় নাম। এই গাড়িটি রিকন্ডিশন এবং ব্যবহৃত কন্ডিশনে অনেক কম দামে পাওয়া যায়, যা অনেকের সাধ্যের মধ্যে। বর্তমান বাজারে ২০০৭ থেকে ২০১০ মডেলের টয়োটা এক্সিও গাড়ি সর্বনিম্ন ১২,০০,০০০ টাকা থেকে ১৩,০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া সম্ভব। ব্যাক্তিগত, অফিসিয়াল, এমনকি রাইড-শেয়ারিং-এর জন্যও টয়োটা এক্সিও একটি আদর্শ পছন্দ।


টয়োটা এক্সিও গাড়ির কিছু বৈশিষ্ট্য


  • ১. শক্তিশালী ইঞ্জিন: টয়োটা এক্সিও গাড়িতে ১৫০০ সিসি ভিভিটি-আই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা গাড়িটির শক্তি এবং কার্যক্ষমতা বাড়ায়।


  • ২. সেলুন বডি স্টাইল: এই গাড়িটি সেলুন বডি স্টাইলের সাথে আসে, যা এটিকে আরও আকর্ষণীয় এবং আভিজাত্যপূর্ণ করে তোলে।


  • ৩. আরামদায়ক সিট: পর্যাপ্ত লেগ স্পেস সহ আরামদায়ক সিটের ব্যবস্থা রয়েছে, যা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার সময়ও যাত্রীদের আরামদায়ক রাখে।


  • ৪. সিএনজি ব্যবস্থার সুবিধা: অধিকাংশ ব্যবহৃত টয়োটা এক্সিও গাড়িতে সিএনজি জ্বালানি ব্যবস্থা কাস্টমাইজ করা থাকে, যা জ্বালানির খরচ কমিয়ে আনে।


  • ৫. অটোমেটিক ট্রান্সমিশন: গাড়িটি অটোমেটিক ট্রান্সমিশন সিস্টেমের সাথে আসে, যা ড্রাইভিং সহজ এবং আরামদায়ক করে তোলে।


টয়োটা এক্সিও একটি নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী গাড়ি, যা ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন এবং আরামের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই হোক বা পেশাগত কাজে, টয়োটা এক্সিও সবসময়ই একটি বুদ্ধিমান পছন্দ।

২. হোন্ডা ভেজেল

বাংলাদেশের গাড়ির বাজারে হোন্ডা ভেজেল এক অভিজাত ও জনপ্রিয় নাম। রিকন্ডিশন বা প্রায় নতুন মডেলের এই গাড়ি সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়, যা অনেকের সাধ্যের মধ্যে। বর্তমান বাজারে ২০১৪ মডেলের হোন্ডা ভেজেল গাড়ি ১৫,০০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া সম্ভব। ব্যক্তিগত, অফিসিয়াল এবং রাইড-শেয়ারিং-এর জন্য এই গাড়িটি ব্যবহার করা যেতে পারে।


হোন্ডা ভেজেল গাড়ির কিছু বৈশিষ্ট্য

  • ১. শক্তিশালী হাইব্রিড ইঞ্জিন: হোন্ডা ভেজেল গাড়িতে ১৫০০ সিসি শক্তিশালী হাইব্রিড ইঞ্জিন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা দুর্দান্ত কর্মক্ষমতা এবং জ্বালানির সাশ্রয় প্রদান করে।


  • ২. আরামদায়ক ইন্টেরিয়র: পর্যাপ্ত লেগ স্পেস সহ আরামদায়ক সিট রয়েছে, যা যাত্রীদের দীর্ঘ ভ্রমণে আরামদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।


  • ৩. এসইউভি বডি স্টাইল: হোন্ডা ভেজেল এসইউভি/৪x৪ বডি স্টাইলের সাথে আসে, যা গাড়িটিকে মজবুত এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।


  • ৪. হাইব্রিড এবং অকটেন ফুয়েল সিস্টেম: অধিকাংশ হোন্ডা ভেজেল গাড়ি হাইব্রিড এবং অকটেন ফুয়েল সিস্টেমের সুবিধা সহ আসে, যা জ্বালানির খরচ কমায় এবং পরিবেশবান্ধব।


  • ৫. ট্রান্সমিশন বিকল্প: মডেল ভেদে হোন্ডা ভেজেল ম্যানুয়াল বা অটোমেটিক ট্রান্সমিশন সিস্টেম সহ পাওয়া যায়, যা চালকদের পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয়।


হোন্ডা ভেজেল একটি আধুনিক, আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী গাড়ি, যা সব ধরনের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য, অফিসের কাজে, বা রাইড-শেয়ারিং-এর জন্য, এই গাড়িটি সবসময়ই একটি চমৎকার পছন্দ।

৩.  টয়োটা করোলা E100/টয়োটা ওয়াগন ১০০

বাংলাদেশে টয়োটা করোলা E100 মডেলটি টয়োটা ওয়াগন ১০০ নামে পরিচিত। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এটি একটি অসাধারণ পছন্দ। মডেল বছর এবং কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে এই গাড়িটি ১৫০,০০০ টাকা থেকে ৫০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। তাছাড়া, রেন্ট-এ-কার ব্যবসায় এই গাড়িটি আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়। চলুন জেনে নিই এই গাড়িটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।


  • শক্তিশালী ইঞ্জিন: টয়োটা করোলা E100 মডেলটি ১.৬ লিটার পেট্রোল অথবা ২.০ লিটার ডিজেল ইঞ্জিনের সাথে আসে, যা গাড়িটিকে শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য করে তোলে।


  • আরামদায়ক অভ্যন্তর: টয়োটা ওয়াগন ১০০ গাড়িগুলোতে ৫টি আরামদায়ক সিট রয়েছে, যা পর্যাপ্ত লেগ স্পেস সহ আরামের নিশ্চয়তা প্রদান করে।


  • ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশন: বেশিরভাগ টয়োটা করোলা ১০০ গাড়িতে ১৩০০ সিসি ইঞ্জিন এবং ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন সিস্টেম থাকে, যা ড্রাইভিং অভিজ্ঞতাকে সহজ এবং সুবিধাজনক করে তোলে।


  • জ্বালানি সাশ্রয়: বাংলাদেশে বর্তমানে যেসকল টয়োটা ওয়াগন ১০০ পাওয়া যায়, সেগুলোর সিএনজি অথবা এলপিজি জ্বালানি ব্যবস্থা কাস্টমাইজ করা থাকে, যা জ্বালানির খরচ কমায় এবং পরিবেশবান্ধব।


  • বডি স্টাইল: টয়োটা ১০০ গাড়ি সেলুন অথবা এস্টেট বডি স্টাইলের সাথে আসে, যা গাড়িটিকে আরও আকর্ষণীয় এবং ব্যবহারিক করে তোলে।


এইসব বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে, টয়োটা করোলা E100/টয়োটা ওয়াগন ১০০ একটি বহুমুখী, সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য গাড়ি যা ব্যক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি ব্যবসায়িক কাজের জন্যও আদর্শ।

৪. টয়োটা নোয়া

টয়োটা নোয়া গাড়িগুলো সম্পূর্ণ পরিবারের জন্য ভ্রমণের আদর্শ মাধ্যম। বাংলাদেশে ছোট-বড় অফিসগুলোও নিয়মিত যাতায়াতের জন্য এই গাড়িটি ব্যবহার করে, বিশেষত কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অফিস থেকে বাসা এবং বাসা থেকে অফিস পৌঁছানোর জন্য। টয়োটা নোয়া KR42 মডেলটি বাংলাদেশের বাজারে ১ম জেনারেশনের টয়োটা গাড়ির মধ্যে অন্যতম, যা কম দামে পাওয়া যায়। বর্তমানে, কন্ডিশনের ভিত্তিতে ৭,০০,০০০ টাকা থেকে ১৩,০০,০০০ টাকার মধ্যে ১ম জেনারেশন টয়োটা নোয়া গাড়ি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেই এই গাড়িটির বৈশিষ্ট্যগুলি।


  • শক্তিশালী ইঞ্জিন: টয়োটা নোয়া KR42 গাড়িতে ১৮০০ সিসি ভিভিটিআই ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়েছে, যা গাড়িটিকে শক্তিশালী এবং কার্যক্ষম করে তোলে।


  • আরামদায়ক সিট এবং লেগ স্পেস: টয়োটা KR42 গাড়িতে ৭টি প্যাসেঞ্জার সিট রয়েছে, যা পর্যাপ্ত লেগ স্পেস সহ আরামের নিশ্চয়তা প্রদান করে। ফলে, দীর্ঘ ভ্রমণে যাত্রীরা আরামদায়ক অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন।


  • অটোমেটিক ট্রান্সমিশন: সকল টয়োটা নোয়া গাড়ি অটোমেটিক ট্রান্সমিশন সিস্টেমের সাথে আসে, যা ড্রাইভিংকে সহজ এবং সুবিধাজনক করে তোলে।


  • জ্বালানি সাশ্রয়: বর্তমানে ব্যবহৃত যেসব টয়োটা নোয়া গাড়ি পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগই সিএনজি বা এলপিজি জ্বালানি ব্যবস্থা কাস্টমাইজ করা থাকে, যা জ্বালানি খরচ কমায় এবং পরিবেশবান্ধব।


  • অতিথেয়তা এবং আরাম: টয়োটা নোয়া গাড়িতে অটোমেটিক জানালা এবং সুপার কুল এসি অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা যাত্রাকে আরও আরামদায়ক এবং সাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে।


এইসব বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে, টয়োটা নোয়া গাড়ি পরিবারের ভ্রমণ এবং অফিসের যাতায়াতের জন্য একটি বহুমুখী এবং নির্ভরযোগ্য গাড়ি। এটি সাশ্রয়ী, আরামদায়ক এবং শক্তিশালী হওয়ায়, প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ।

৫. টয়োটা হাইস

টয়োটা ব্র্যান্ডের মধ্যে সর্বাধিক সিটসংখ্যার গাড়ি হলো টয়োটা হাইস, যা মিনি বাস হিসেবেও পরিচিত। এই গাড়িতে এক বা একাধিক পরিবার একসাথে আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারে। বাংলাদেশে ৪র্থ জেনারেশনের টয়োটা হাইস গাড়ি কমদামে পাওয়া যায়, যা রেন্টে-কার এবং বিভিন্ন অফিসের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সালের মডেলের টয়োটা হাইস গাড়ি কন্ডিশনের ভিত্তিতে ২,০০,০০০ টাকা থেকে ১২,০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেই এই গাড়িটির বৈশিষ্ট্যগুলি।


  • শক্তিশালী ইঞ্জিন: টয়োটা হাইস গাড়িগুলোতে ১৫০০ সিসি থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষমতার শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা গাড়িটির কার্যক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়ায়।


  • আরামদায়ক সিট এবং লেগ স্পেস: এই গাড়িতে ১০টি প্যাসেঞ্জার সিট রয়েছে, যা পর্যাপ্ত লেগ স্পেস সহ আরামের নিশ্চয়তা প্রদান করে। ফলে, দীর্ঘ যাত্রায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।


  • ট্রান্সমিশন বিকল্প: টয়োটা হাইস গাড়িগুলো মডেল ভেদে অটোমেটিক বা ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন সিস্টেম সহ পাওয়া যায়, যা ড্রাইভিং অভিজ্ঞতাকে সহজ এবং সুবিধাজনক করে তোলে।


  • জ্বালানি সাশ্রয়: বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব ব্যবহৃত টয়োটা হাইস গাড়ি পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগই সিএনজি বা এলপিজি জ্বালানি ব্যবস্থা কাস্টমাইজ করা থাকে, যা জ্বালানি খরচ কমায় এবং পরিবেশবান্ধব।


  • অতিরিক্ত আরামদায়ক সুবিধা: টয়োটা হাইস গাড়িতে অটোমেটিক জানালা এবং সুপার কুল এসি অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা যাত্রাকে আরও আরামদায়ক এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে।


এইসব বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে, টয়োটা হাইস গাড়ি একটি বহুমুখী এবং আরামদায়ক ভ্রমণের আদর্শ বাহন। এটি ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক উভয় উদ্দেশ্যের জন্যই অত্যন্ত কার্যকর এবং নির্ভরযোগ্য একটি গাড়ি।

৬. সুজুকি সুইফট 

বাংলাদেশের ব্যবহৃত গাড়ির বাজারে সুজুকি সুইফট একটি জনপ্রিয় নাম। প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের সুজুকি সুইফট মডেলগুলো ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে উৎপাদিত হয় এবং বর্তমানে ২৫০,০০০ টাকা থেকে ৮৫০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য এই গাড়িগুলো অসাধারণ পছন্দ। চলুন, এই গাড়ির বৈশিষ্ট্যগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।


  • শক্তিশালী ইঞ্জিন: সুজুকি সুইফট গাড়িগুলোতে ১২০০ সিসি ডিওএইচসি ভিভিটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এই ইঞ্জিনগুলো শক্তিশালী এবং মসৃণ ড্রাইভিং এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করে।


  • আরামদায়ক ইন্টেরিয়র: সুজুকি সুইফট-এর আরামদায়ক লেগ স্পেস এবং সিটগুলো যাত্রীদের জন্য দীর্ঘ যাত্রায়ও আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। 


  • অকটেন চালিত: বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাওয়া সুজুকি সুইফট গাড়িগুলো অকটেন জ্বালানি দিয়ে চলে, যা তাদের কার্যক্ষমতা ও ইঞ্জিনের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে।


  • ট্রান্সমিশন অপশন: মডেল ভেদে সুজুকি সুইফট গাড়িগুলো অটোমেটিক এবং মেনুয়াল ট্রান্সমিশন উভয় অপশনে পাওয়া যায়, যা ড্রাইভারদের পছন্দ ও সুবিধা অনুযায়ী নির্বাচন করার সুযোগ দেয়।


  • আধুনিক সুবিধাদি: সুজুকি সুইফট গাড়িগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা অটোমেটিক জনালা এবং সুপার কুল এসি অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা গাড়ির অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে স্নিগ্ধ ও আরামদায়ক করে তোলে।


এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য সুজুকি সুইফটকে বাংলাদেশের ব্যবহৃত গাড়ির বাজারে একটি আদর্শ ও বাজেটবান্ধব বিকল্প করে তুলেছে। ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য সুজুকি সুইফট আপনার জন্য হতে পারে এক দারুণ সঙ্গী।

৭. হোন্ডা সিভিক

বাংলাদেশে ব্যবহৃত এবং রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে হোন্ডা সিভিক একটি পরিচিত নাম। এই মডেলটি বিভিন্ন সময়ের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। ১৯৯২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে উৎপাদিত হোন্ডা সিভিক গাড়িগুলো বর্তমানে ৩০০,০০০ টাকা থেকে ১,৩০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এই গাড়িগুলো অসাধারণ এবং আদর্শ। চলুন, হোন্ডা সিভিকের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।


  • শক্তিশালী ইঞ্জিনের ভিন্নতা: হোন্ডা সিভিক গাড়িগুলোতে মডেল ভেদে ১৩০০ সিসি থেকে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত শক্তিশালী ইঞ্জিন থাকে। এই ইঞ্জিনগুলো উচ্চক্ষমতা ও মসৃণ ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা ড্রাইভারদের জন্য যাত্রাকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।


  • আরামদায়ক অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা: হোন্ডা সিভিক-এর অভ্যন্তরীণ ডিজাইন অত্যন্ত আরামদায়ক। এর প্রশস্ত লেগ স্পেস এবং আরামদায়ক সিট যাত্রীদের জন্য দীর্ঘ যাত্রায়ও আরাম নিশ্চিত করে। এই গাড়ির অভ্যন্তরীণ পরিবেশ এক কথায় প্রশংসনীয়।


  • জ্বালানি ব্যবস্থা: বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাওয়া ব্যবহৃত হোন্ডা সিভিক গাড়িগুলোর বেশিরভাগই এলপিজি বা সিএনজি জ্বালানি ব্যবস্থায় কাস্টমাইজ করা থাকে। এটি গাড়িগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি, জ্বালানি খরচও কমায়।


  • অটোমেটিক ট্রান্সমিশন: হোন্ডা সিভিক গাড়ির বেশিরভাগ মডেলই অটোমেটিক ট্রান্সমিশন সুবিধা সম্বলিত, যা ড্রাইভারদের জন্য ড্রাইভিংকে আরও সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে।


  • আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা: হোন্ডা সিভিক গাড়িগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্যণীয়। এতে রয়েছে অটোমেটিক জনালা এবং সুপার কুল এসি, যা গাড়ির অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে স্নিগ্ধ ও আরামদায়ক করে তোলে। এছাড়াও, কিছু মডেলে সানরুফ অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা গাড়ির নকশাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে এবং যাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।


এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য হোন্ডা সিভিককে বাংলাদেশের ব্যবহৃত এবং রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে একটি সেরা ও বাজেটবান্ধব বিকল্প করে তুলেছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য হোন্ডা সিভিক আপনার জন্য হতে পারে এক চমৎকার সঙ্গী।

৮. মিতসুবিশি ল্যান্সার

বাংলাদেশের ব্যবহৃত ও রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে মিতসুবিশি ল্যান্সার একটি পরিচিত এবং জনপ্রিয় নাম। ১৯৯৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে উৎপাদিত মডেলগুলোর দাম ৩০০,০০০ টাকা থেকে ১,৫০০,০০০ টাকার মধ্যে হওয়ায়, এই গাড়িগুলো ব্যক্তিগত, অফিসিয়াল, এবং রাইড-শেয়ারিং এর জন্য অত্যন্ত সাশ্রয়ী ও কার্যকর। আসুন, মিতসুবিশি ল্যান্সারের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানি।


  • শক্তিশালী ও বৈচিত্র্যময় ইঞ্জিন: মিতসুবিশি ল্যান্সার মডেলগুলোতে ১৩০০ সিসি থেকে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষমতার ইঞ্জিন পাওয়া যায়। এই ইঞ্জিনগুলো দীর্ঘস্থায়ী এবং মসৃণ ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা যেকোনো ধরনের যাত্রার জন্য আদর্শ।


  • আরামদায়ক ইন্টেরিয়র: ল্যান্সারের অভ্যন্তরীণ নকশা অত্যন্ত আরামদায়ক এবং প্রশস্ত। পর্যাপ্ত লেগ স্পেস এবং আরামদায়ক সিট যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করে, বিশেষ করে দীর্ঘ যাত্রায়। এর অভ্যন্তরীণ নকশা ব্যবহারকারীর আরাম ও সুবিধার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে।


  • সানরুফের বিশেষ সুবিধা: মিতসুবিশি ল্যান্সারের কিছু মডেলে সানরুফ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা গাড়ির নকশাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। সানরুফের মাধ্যমে আপনি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, যা যাত্রাকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।


  • কাস্টমাইজড জ্বালানি ব্যবস্থা: বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাওয়া ব্যবহৃত মিতসুবিশি ল্যান্সার গাড়িগুলোর বেশিরভাগই সিএনজি জ্বালানি ব্যবস্থায় কাস্টমাইজ করা থাকে। এটি জ্বালানি খরচ কমানোর পাশাপাশি পরিবেশবান্ধবও বটে।


  • অটোমেটিক ট্রান্সমিশন: মিতসুবিশি ল্যান্সারের বেশিরভাগ মডেলেই অটোমেটিক ট্রান্সমিশন ব্যবহৃত হয়, যা ড্রাইভিংকে সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে। এটি নতুন ড্রাইভারদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এটি গিয়ার পরিবর্তনের ঝামেলা কমিয়ে দেয়।


এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য মিতসুবিশি ল্যান্সারকে বাংলাদেশের ব্যবহৃত ও রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে একটি সেরা এবং বাজেটবান্ধব বিকল্প করে তুলেছে। ব্যক্তিগত, অফিসিয়াল, অথবা রাইড-শেয়ারিং এর জন্য মিতসুবিশি ল্যান্সার আপনার জন্য হতে পারে এক চমৎকার সঙ্গী।

৯. নিসান সানি

বাংলাদেশে ব্যবহৃত ও রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে নিসান সানি একটি পরিচিত এবং প্রশংসিত নাম। ২০০৩ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে উৎপাদিত মডেলগুলো বর্তমানে ৩৫০,০০০ টাকা থেকে ১,২০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা এই গাড়িগুলোকে ব্যক্তিগত, অফিসিয়াল, এবং রাইড-শেয়ারিং এর জন্য অন্যতম সেরা পছন্দ করে তুলেছে। আসুন, নিসান সানির কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।


  • শক্তিশালী চার-সিলিন্ডার ইঞ্জিন: নিসান সানি গাড়িতে ১৩০০ সিসি চার-সিলিন্ডার ইন-লাইন ইঞ্জিন অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা গাড়ির কর্মক্ষমতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। এই ইঞ্জিনগুলো দীর্ঘস্থায়ী এবং মসৃণ ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা যেকোনো ধরনের যাত্রার জন্য আদর্শ।


  • আরামদায়ক অভ্যন্তরীণ পরিবেশ: নিসান সানির অভ্যন্তরীণ ডিজাইন অত্যন্ত আরামদায়ক। এর প্রশস্ত লেগ স্পেস এবং আরামদায়ক সিট যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে, বিশেষ করে দীর্ঘ যাত্রায়। গাড়ির ইন্টেরিয়র ডিজাইন ব্যবহারকারীর আরাম ও সুবিধার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে।


  • সেলুন বডি স্টাইল: নিসান সানি গাড়িগুলো সেলুন বডি স্টাইলের সাথে প্রদর্শিত হয়, যা গাড়ির নান্দনিকতা এবং স্টাইলকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই বডি স্টাইল শুধু দেখতে সুন্দর নয়, বরং এটি গাড়ির ইঞ্জিন ও যাত্রীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে।


  • কাস্টমাইজড জ্বালানি ব্যবস্থা: বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাওয়া ব্যবহৃত নিসান সানি গাড়িগুলোর বেশিরভাগই সিএনজি জ্বালানি ব্যবস্থায় কাস্টমাইজ করা থাকে। এটি জ্বালানি খরচ কমানোর পাশাপাশি পরিবেশবান্ধবও বটে, যা এই গাড়িগুলোর জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছে।


  • ট্রান্সমিশন অপশন: নিসান সানির বিভিন্ন মডেল বছর অনুযায়ী অটোমেটিক এবং ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন উভয় ধরনের অপশন পাওয়া যায়। এটি ড্রাইভারদের জন্য ড্রাইভিংকে আরও সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে, কারণ তারা তাদের প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী ট্রান্সমিশন নির্বাচন করতে পারেন।


নিসান সানির এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলো একত্রে এই গাড়িকে বাংলাদেশের ব্যবহৃত ও রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে একটি সেরা ও বাজেটবান্ধব বিকল্প করে তুলেছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি অফিসিয়াল এবং রাইড-শেয়ারিং এর জন্য নিসান সানি হতে পারে আপনার আদর্শ সঙ্গী।

১০. টয়োটা ফিল্ডার

বাংলাদেশে ব্যবহৃত ও রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে টয়োটা ফিল্ডার একটি জনপ্রিয় এবং বিশ্বাসযোগ্য নাম। ২০০৩ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে উৎপাদিত মডেলগুলো ৯০০,০০০ টাকা থেকে ১,৫০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ব্যক্তিগত, অফিসিয়াল, এবং রাইড-শেয়ারিং এর জন্য টয়োটা ফিল্ডার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। চলুন, টয়োটা ফিল্ডারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


  • শক্তিশালী ১৫০০ সিসি ইঞ্জিন: টয়োটা ফিল্ডার গাড়িতে ১৫০০ সিসি শক্তিশালী ইঞ্জিন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ইঞ্জিনগুলো দীর্ঘস্থায়ী এবং মসৃণ ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে, যা যেকোনো ধরনের যাত্রার জন্য আদর্শ।


  • আরামদায়ক অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা: টয়োটা ফিল্ডারের অভ্যন্তরীণ নকশা অত্যন্ত আরামদায়ক। পর্যাপ্ত লেগ স্পেস এবং আরামদায়ক সিট যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। দীর্ঘ যাত্রায়ও এই গাড়ির আরামদায়ক সিটগুলি যাত্রীদের ক্লান্তি মুক্ত রাখে।


  • বহুমুখী বডি স্টাইল: টয়োটা ফিল্ডার মডেল ভেদে হ্যাচব্যাক, এস্টেট, এবং সেলুন বডি স্টাইলের সাথে প্রদর্শিত হয়। এই বহুমুখী বডি স্টাইল গাড়িটির ব্যবহারকারীর প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচন করতে সুবিধা দেয়।


  • জ্বালানি খরচে সাশ্রয়ী: বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাওয়া ব্যবহৃত টয়োটা ফিল্ডার গাড়িগুলোর বেশিরভাগই সিএনজি জ্বালানি ব্যবস্থায় কাস্টমাইজ করা থাকে। এটি জ্বালানি খরচ কমানোর পাশাপাশি পরিবেশবান্ধবও বটে, যা এই গাড়িগুলোর জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছে।


  • অটোমেটিক ট্রান্সমিশন: টয়োটা ফিল্ডারের বেশিরভাগ মডেলেই অটোমেটিক ট্রান্সমিশন ব্যবহৃত হয়, যা ড্রাইভিংকে সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে। এটি নতুন ড্রাইভারদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এটি গিয়ার পরিবর্তনের ঝামেলা কমিয়ে দেয়।


টয়োটা ফিল্ডারের এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলো একত্রে এই গাড়িকে বাংলাদেশের ব্যবহৃত ও রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে একটি সেরা এবং বাজেটবান্ধব বিকল্প করে তুলেছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি অফিসিয়াল এবং রাইড-শেয়ারিং এর জন্য টয়োটা ফিল্ডার হতে পারে আপনার আদর্শ সঙ্গী।

সর্বশেষ কথা:

প্রিয় পাঠক আমরা চেষ্টা করেছি এই পোষ্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন দামে সেরা ১০টি গাড়ি আপনাদের সামনে তুলে ধরবার, আশা করছি আপনি এই পোষ্টের মধ্যে সর্বনিম্ন দামের বেস্ট গাড়িটি পেয়েছেন। এরপরও আপনার কোন মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এবং আপনি যদি দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সেরা দামে গাড়ি কেনাবেচা করতে চান তাহলে Aponhut.com হতে পারে আপনার জন্য সেরা অনলাইন প্লাটফর্ম।