বাংলাদেশের গাড়ির নাম্বার দিয়ে কাগজ চেক ২০২৪

বাংলাদেশের গাড়ির নাম্বার দিয়ে কাগজ চেক ২০২৪
অনেক সময় আমাদের প্রয়োজন হয় গাড়ির নাম্বার দিয়ে তার মালিকের নাম জানার। বর্তমান প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এটিও এখন সম্ভব। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কীভাবে গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করা যায় এবং বিআরটিএ এর মাধ্যমে গাড়ির কাগজপত্র চেক করার নিয়ম। তাই আপনার এই বিষয়গুলো যদি অজানা থাকে তাহলে আজকের পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। তো চলুন বেশি কথা না বলে বাংলাদেশের গাড়ির নাম্বার দিয়ে কাগজ চেক করার উপায় গুলো জেনে নিই।
বাংলাদেশের গাড়ির নাম্বার দিয়ে কাগজ চেক এবং মালিকের নাম বের করার নিয়ম:
বর্তমান সময়ে গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম যাচাই করা বেশ সহজ হয়ে গিয়েছে। বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) একটি অনলাইন সেবা প্রদান করে যার মাধ্যমে আপনি গাড়ির নাম্বার ব্যবহার করে মালিকের তথ্য পেতে পারেন। এই সেবাটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
বাংলাদেশের গাড়ির নাম্বার দিয়ে কাগজ চেক
অনেক সময় আমাদের প্রয়োজন হয় কোনো মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে তার মালিকের নাম জানার। বর্তমান প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এটি এখন সহজেই করা যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখাবো কীভাবে অনলাইনে ঘরে বসেই মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে আপনি মালিকের নাম বের করতে পারবেন।
ধাপ ১: মোবাইল বা কম্পিউটার ব্রাউজার সেটআপ:
প্রথমেই, যদি আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে চান, তাহলে গুগল ক্রোম ব্রাউজার বা অন্য কোনো ব্রাউজার ওপেন করুন। এরপর ব্রাউজারের কর্নার সেটিংসে গিয়ে "Desktop site" অপশনটি অন করে নিন। যদি আপনি কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাহলে এই অপশনটি অন করার প্রয়োজন নেই। এরপর ব্রাউজারের সার্চ বারে "bsp brta" টাইপ করে সার্চ করুন এবং প্রথমে যে ওয়েবসাইটটি আসবে, সেটিতে ক্লিক করে প্রবেশ করুন।
ধাপ ২: বিআরটিএ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন:
ওয়েবসাইটে ঢোকার পর, যদি আপনার কোনো অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে "নিবন্ধন" অপশনে ক্লিক করুন। একটি ফরম আসবে যেখানে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, এবং ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী তথ্য পূরণ করতে হবে। একটি ফোন নাম্বার বা ইমেইল ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন। এরপর "নিবন্ধন করুন" অপশনে ক্লিক করলে আপনার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
ধাপ ৩: লগইন:
অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে, ওয়েবসাইটের "প্রবেশ করুন" অপশনে ক্লিক করুন। আপনার ইমেইল বা ফোন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। লগইন করার পর আপনি ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ডে পৌঁছে যাবেন।
ধাপ ৪: মোটরযান তথ্যের অনুসন্ধান:
ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করার পর বিভিন্ন ধরনের সেবা দেখতে পাবেন। "মোটরযানের তথ্য" অপশনে ক্লিক করুন এবং এরপর "মোটরযান সংযুক্ত করুন" অপশনে ক্লিক করুন। এখানে একটি ফরম আসবে যেখানে কিছু তথ্য পূরণ করতে হবে।
ধাপ ৫: রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের শেষ ৪টি সংখ্যা এবং অন্যান্য তথ্য:
ফরমটি পূরণের সময়, আপনাকে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের শেষ ৪টি সংখ্যা দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি মোটরসাইকেলের মালিকের নাম জানতে চান, তাহলে সেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের শেষ ৪টি সংখ্যা লিখুন।
ধাপ ৬: উৎপাদনের বছর এবং অন্যান্য তথ্য পূরণ:
এরপর গাড়ির উৎপাদনের বছরটি (যে সালে মডেলটি তৈরি হয়েছে) পূরণ করুন। এই সালটি আপনি গাড়ির ট্যাক্স টোকেন কাগজ থেকে পেতে পারেন। ফরমের বাকি তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং শেষে "অনুসন্ধান" অপশনে ক্লিক করুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ঘরে বসে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম জানতে পারবেন। আশা করছি এই এই ধাপগুলো আপনার জন্য ভীষণ উপকারী হবে।
কিভাবে পুরাতন মোটরসাইকেল বা গাড়ি কেনার আগে মালিকানা ও মামলার তথ্য যাচাই করবেন?
আপনি যদি একটি পুরাতন মোটরসাইকেল বা গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করেন, তাহলে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই করা উচিত। যেমন, গাড়ির প্রকৃত মালিক কে, গাড়িটিতে কোনো মামলা রয়েছে কিনা ইত্যাদি। যদিও গাড়ির কাগজপত্র দেখে অনেক তথ্য পাওয়া যায়, তবুও অনলাইনে যাচাই করলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। চলুন দেখি কিভাবে মাত্র ২ মিনিটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এই যাচাই কাজটি করবেন।
ধাপ ১: যেকোনো একটি ব্রাউজারে যান:
প্রথমে, আপনার মোবাইল ফোন থেকে গুগল ক্রোম বা যেকোনো ব্রাউজার ওপেন করুন। সার্চ বারে টাইপ করুন "bsp.brta.gov.bd" এবং প্রথমে যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেটিতে ক্লিক করে প্রবেশ করুন।
ধাপ ২: অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন:
যদি আপনার বিআরটিএতে কোনো অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে "নিবন্ধন" অপশনে ক্লিক করুন। একটি ফরম আসবে যেখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী নাম, জন্ম তারিখ, ফোন নাম্বার এবং ইমেইল ঠিকানা প্রদান করুন। একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন এবং "নিবন্ধন করুন" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: লগইন করুন:
অ্যাকাউন্ট তৈরি হলে, ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। লগইন করার পর, আপনার সামনে বিভিন্ন সেবা অপশন আসবে।
ধাপ ৪: মোটরযান তথ্য খোঁজা:
লগইন করার পর, "মোটরযান তথ্য" অপশনে ক্লিক করুন। যদি এখানে কোনো তথ্য না পাওয়া যায়, তাহলে "মোটরযান সংযুক্ত করুন" অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫: গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান:
ফর্মটি পূরণ করতে হবে। প্রথমেই রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের শেষ ৪টি সংখ্যা দিন। এরপর গাড়ির উৎপাদনের বছর, চেসিস নাম্বার, এবং ইঞ্জিন নাম্বার প্রদান করুন। সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করার পর "অনুসন্ধান" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৬: মালিকের নাম এবং মামলা তথ্য যাচাই:
অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করলে, আপনি গাড়ির প্রকৃত মালিকের নাম দেখতে পাবেন। এরপর গাড়িতে কোনো মামলা রয়েছে কিনা তা যাচাই করার জন্য "সংযুক্ত করুন" অপশনে ক্লিক করুন। এবার আবার "মোটরযান তথ্য" অপশনে যান এবং মামলার তথ্য দেখতে "মামলার তথ্য" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৭: মামলার তথ্য দেখা:
মামলার তথ্য পাওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হতে পারে। সার্চিং শেষ হলে, আপনি দেখতে পাবেন গাড়ির বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কিনা। যদি মামলা থাকে, তাহলে সেই মামলার তথ্য, জরিমানার পরিমাণ, এবং অন্যান্য তথ্য দেখতে পাবেন।
উপসংহার:
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে আপনার ক্রয় করতে চাওয়া পুরাতন মোটরসাইকেল বা গাড়ির মালিকানা এবং মামলা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া আপনাকে নিশ্চিত করবে যে আপনি একটি নিরাপদ এবং বৈধ যানবাহন ক্রয় করছেন। আশা করছি এই নির্দেশনাটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।
গাড়ির নাম্বার প্লেট যাচাই করার উপায়
গাড়ি কেনার পর অনেকেই গাড়ির নাম্বার প্লেট যাচাই করতে চান, বিশেষ করে অনলাইনে। গাড়ির প্রকৃত মালিকের নাম এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের আলোচনায় আমরা দেখেছি কিভাবে বাংলাদেশের গাড়ির নাম্বার দিয়ে কাগজ চেক করা যায়। সেই একই নিয়মে আপনি আপনার গাড়ির নাম্বার প্লেটও যাচাই করতে পারবেন খুব সহজে।
কেন গাড়ির নাম্বার প্লেট যাচাই গুরুত্বপূর্ণ?
নতুন বা পুরাতন গাড়ি কেনার পর গাড়ির নাম্বার প্লেট যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে গাড়ির মালিকানা সঠিক এবং গাড়ির সাথে কোনো ধরনের মামলা বা অন্যান্য সমস্যা নেই। এটি বিশেষ করে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের গাড়ির নাম্বার দিয়ে কাগজ চেক করার সফটওয়্যার
যদিও গাড়ির কাগজ চেক করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সফটওয়্যার এখনও রিলিজ করা হয়নি, তবে বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) এর একটি অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার গাড়ির নাম্বার ব্যবহার করে গাড়ির কাগজপত্র খুব সহজেই যাচাই করতে পারেন।
কেন বাংলাদেশের গাড়ির নাম্বার দিয়ে কাগজ চেক করার জন্য বিআরটিএর ওয়েবসাইট ব্যবহার করবেন?
বিআরটিএর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি আপনার গাড়ির মালিকানা যাচাই, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, এবং গাড়ির উপর কোনো মামলা রয়েছে কিনা তা জানতে পারবেন। এটি আপনাকে গাড়ি কেনা বা বিক্রির সময় নিরাপদে এবং সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের গাড়ির কাগজ করতে কত টাকা লাগে?
বিআরটিএ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি আপনার গাড়ির বা মোটরসাইকেলের সিসি এবং ওজন দিয়ে সহজেই জানতে পারেন কত টাকা খরচ হবে কাগজপত্র করতে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এবং অন্যান্য কাগজপত্রের খরচ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য আমরা এখানে কিছু উদাহরণ উল্লেখ করছি।
কিভাবে বিআরটিএ ওয়েবসাইটে গাড়ির ফি নির্ধারণ করবেন?
১. প্রথম ধাপ: আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে একটি ব্রাউজার ওপেন করুন এবং সার্চ বারে টাইপ করুন "bsp.brta.gov.bd"। প্রথমে যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেটিতে ক্লিক করে প্রবেশ করুন।
২. দ্বিতীয় ধাপ: যদি আপনার কোনো অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে "নিবন্ধন" অপশনে ক্লিক করুন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী তথ্য প্রদান করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
৩. তৃতীয় ধাপ: ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
৪. চতুর্থ ধাপ: "মোটরযান তথ্য" অপশনে ক্লিক করুন এবং "মোটরযান সংযুক্ত করুন" অপশনে যান।
৫. পঞ্চম ধাপ: আপনার গাড়ির সিসি এবং ওজন প্রদান করুন।
বাইকের কাগজপত্রের ফ্রী কেমন হবে তা জেনে নিন:
আমরা কিছু উদাহরণ দিয়ে দেখাবো বিভিন্ন ধরনের বাইকের জন্য কাগজপত্র করার খরচ কেমন হতে পারে:
1. ১০০ সিসি এবং ৯০ কেজির নিচে ওজনের মোটর গাড়ি: - ১০ বছর মেয়াদে কাগজ করতে খরচ হবে ১২,৩৯০ টাকা।
2. ১০০ সিসি এবং ৯০ কেজির উপরে ওজনের মোটর গাড়ি: - ১০ বছর মেয়াদে কাগজ করতে খরচ হবে ১৭,৩৯০ টাকা।
3. ৯০ কেজি ওজন এবং ১০০ থেকে ১৫০ সিসির মধ্যে মোটর গাড়ি: - ১০ বছর মেয়াদে কাগজ করতে খরচ হবে ১৩,৭৯০ টাকা।
4. ৯০ কেজির বেশি এবং ১০০ থেকে ১৫০ সিসির মধ্যে মোটর গাড়ি: - ১০ বছর মেয়াদে কাগজ করতে খরচ হবে ১৮,৭৯০ টাকা।
ভ্যাট এবং অন্যান্য খরচ:
প্রত্যেকটি মোটর গাড়ির কাগজপত্র করার সময় ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। অতিরিক্ত খরচ হিসাবে অন্যান্য কিছু ফি ও চার্জ থাকতে পারে যা বিআরটিএ ওয়েবসাইটে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে।
সর্বশেষ কথা:-
তো বন্ধু আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে খুব সহজেই জানতে পেরেছেন কিভাবে বাংলাদেশের গাড়ির নাম্বার দিয়ে কাগজ চেক করতে হয়। এরপরও যদি বুঝতে কোথাও অসুবিধা মনে হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর হ্যাঁ পুরনো গাড়ি ক্রয় বিক্রয় করার বিশ্বস্ত মাধ্যম কিন্তু www.aponhut.com তাই আপনার প্রয়োজনীয় গাড়ি কিংবা অন্যান্য এক্সেসরিজ অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই কিনবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।