রান্নাঘরকে পরিবেশবান্ধব করার উপায়

 প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন   |   হোম এবং লিভিং , টিপস ও গাইড

রান্নাঘরকে পরিবেশবান্ধব করার উপায়

আপনি যদি আপনার রান্নাঘরকে পরিবেশবান্ধব করার জন্য ক্যাবিনেট হার্ডওয়্যারের স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলি বেছে নেন তবে আপনি বাড়িতে থাকা সমস্ত মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়ে যত্নবান হবেন। আপনি অবাক হবেন যে এটি কীভাবে করা বুদ্ধিমানের বিষয় তা বিবেচনা করে যে আমরা কেবল একবারই বেঁচে থাকি যাতে আমরা এর থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে পারি। আমরা সবাই জানি কিভাবে কিছু ক্যাবিনেটের ইনস্টলেশন মানুষকে বিষাক্ত করে। যখন পরিবেশ বান্ধব রান্নাঘরের ক্যাবিনেটগুলি ব্যবহার করা হয় তখন এটি খুব বেশি দেরী হওয়ার আগে সামঞ্জস্য করা ভাল হবে না।

আপনি কীভাবে আপনার রান্নাঘরটিকে পরিবেশ বান্ধব করে তুলবেন তা চিন্তাভাবনা করার সময়, রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর জন্য আপনাকে বড় অঙ্কের ব্যয় করা দরকার বলে মনে করবেন না। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, আমি কোন পরিবেশগত সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করছি এবং সর্বাধিক প্রভাবের জন্য কী কী সহজ পদক্ষেপ নিতে পারি?

AponHut.com এ রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় এর মাধ্যমে আপনি ও আপনার রান্নাঘরকে সাজিয়ে তুলতে পারেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে রান্নাঘরকে পরিবেশবান্ধব করা যায়ঃ-

 

মৌসুমি খাবার খানঃ

যে মৌসুমে যেসব সবজি ফলমূল পাওয়া যায়, চেষ্টা করুন সেগুলো সেই মৌসুমেই খেতে। একই সঙ্গে স্থানীয় ফসল, সবজি ফল কিনুন। এতে স্থানীয় চাষিদের যেমন উপকার হবে, তেমনি পরিবহনের জন্য আলাদা শক্তি, জনবল সংরক্ষণের দরকার হবে না। টাটকা খাবারের বিকল্প নেই।

 

অপচয় এড়িয়ে চলুনঃ

প্রতিদিনের বাজারের জন্য প্লাস্টিক ব্যাগের বদলে পাট বা চটের তৈরি ব্যাগ বেছে নিতে পরেন। আজকাল বাজারে নানা ধরনের ঘাসপাতার ঝুড়ি পাওয়া যায়, বাজার করার জন্য সেগুলোও কিনতে পারেন। অনেক সময় শাকসবজি সংরক্ষণের জন্য আমরা পলিব্যাগ ব্যবহার করি, সেই অভ্যাসও বাদ দিন। একই সবজির খোসা, বীজ, ভেতরের অংশ একেকভাবে খাওয়া যায়। কোনো অংশ ফেলে না দিয়ে পুনরায় ব্যবহারের চিন্তা করুন। রান্নাঘরে পানি, বিদ্যুৎ গ্যাসের অপচয় যাতে না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকুন।

রান্নার উপকরণ বাছাইঃ

রান্নার জন্য সঠিক উপকরণ বাছাই করতে পারাও একটি বিশেষ দক্ষতা। চুলার মাপ বুঝে ননস্টিক হাঁড়ি-কড়াই কিনতে পারেন। ওভেন বা টোস্টারের মতো ইলেকট্রিক উপকরণ কেনার সময়েও সতর্ক থাকুন। কোন ধরনের উপকরণ বেশি বিদ্যুৎ খরচ করবে, বুঝে নিন।

অভ্যস্ত হন প্রাকৃতিক ডিটারজেন্টেঃ

রান্নাঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র পরিষ্কার করতে আমরা ক্ষতিকর রাসায়নিক যুক্ত নানা ধরনের ডিটারজেন্ট ব্যবহার করি। বদলে ভিনেগার, লেবুর রস, বেকিং সোডার মতো রান্নাঘরে থাকা উপকরণগুলো ব্যবহার করুন। এতে পরিষ্কার করতেও সুবিধা আবার পাত্র থেকে রাসায়নিক শরীরে ঢোকার শঙ্কাও কম।

বর্জ্যকে করুন সম্পদঃ

রান্নাঘরে ব্যবহার করা সবুজ শাকসবজির অংশবিশেষ ফেলে না দিয়ে জমিয়ে সার বানাতে পারেন। এরপর ঘরে থাকা গাছের মাটির সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। চায়ের লিকার ছেঁকে চা-পাতাগুলো পচিয়ে সার বানাতে পারেন। টবের গাছের জন্য এই সার উপকারী।

পরিশেষেঃ

আপনার রান্নাঘরে যদি একটি ঝামেলাপূর্ণ চুলা বা স্টোভ থেকে থাকে তবে সেটি আজই সরিয়ে ফেলুন। নষ্ট চুলা কিংবা স্টোভ যেমন রান্নার ক্ষেত্রে দেরি ঘটায়, তেমনি ঘরে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করে ঘরের পরিবেশ অসহনীয় করে তোলে। একটি ভালোমানের মাইক্রোওয়েভ ওভেন আপনার অনেক কাজ সহজ করে তোলে, তাই আমাদের মতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি আপনার ঘরে নিয়ে আসুন। এতে অনেক রকম খাবার রান্নার পাশাপাশি খাবার গরমও রাখা যায় দীর্ঘক্ষণ। সেহরির সময় খাবার ঝটপট গরমও করতে পারবেন এতে, আর সেহরির তাড়াহুড়োর কথা আমাদের কারোই অজানা নয়।

রান্নাঘরে একটু বাড়তি সাহায্য সবসময়ই আমাদের কাজে আসে। সঠিক পরিকল্পনা সামান্য চেষ্টা করলেআপনার রান্নাঘরের সামগ্রী-এর সাহায্যে সহজেই দিনের যথেষ্ট সময় আপনি আপনার ইবাদত আর বিশ্রামের জন্য বের করে নিতে পারবেন। কাজ শুরু করে দিন আজই!