ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ সবচেয়ে ভালো?
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফ্রিল্যান্সারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে এবং প্রতি মাসে বাইরের দেশ থেকে হাজার হাজার ডলার রেমিটেন্স হিসেবে বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন। ফলে, অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য ল্যাপটপ অপরিহার্য। কারণ ল্যাপটপের মাধ্যমেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করা হয়। নতুন ফ্রিল্যান্সাররা প্রায়ই জানতে চান কোন ল্যাপটপ ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। বর্তমান বাজারে অনেক ধরনের ল্যাপটপ পাওয়া যায়, কিন্তু সঠিক ল্যাপটপ বেছে নেওয়া সবসময় সহজ নয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা ২০২৪ সালে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো হবে, সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কতটুকু র্যাম লাগে?
ফ্রিল্যান্সিং করতে সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১৬ গিগাবাইট র্যাম হলেই পারফেক্ট ভাবে কাজ করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য একটি ল্যাপটপে কি কি থাকা দরকার? চলুন জেনে নিই:
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য একটি সুসজ্জিত ল্যাপটপ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি দক্ষভাবে কাজ করতে পারেন। নিচে কিছু বিষয়ের ডিটেলস দেয়া হল যা সাধারণত একটি কার্যকরী ফ্রিল্যান্সিং ল্যাপটপে থাকা উচিত:
শক্তিশালী প্রসেসর: দ্রুত এবং ফাস্ট প্রসেসিংয়ের জন্য একটি শক্তিশালী প্রসেসর অপরিহার্য, যেমন Intel Core i5 বা তার উপরের ভার্সন।
যথাযথ RAM: জটিল কাজের জন্য সাধারণত 8GB থেকে 16GB RAM ভালো অপশন হতে পারে, তবে আপনি তার থেকে বেশিও লাগাতে পারেন।
স্টোরেজ: স্টোরেজের জন্য একটি SSD (Solid State Drive) সুবিধাজনক হতে পারে। এটি দ্রুত বুট করে কাজ সম্পাদনা করে এবং ফাইল স্টোর করে।
গ্রাফিক্স কার্ড: ভিডিও সম্পাদনা বা গেমিং এর কাজের জন্য একটি ভালো গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন হতে পারে, আপনি 4GB থেকে শুরু করে যত ইচ্ছা গ্রাফিক্স কার্ড নিতে পারেন ।
পোর্ট ও সংযোগ: আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন অনুযায়ী USB পোর্ট, HDMI পোর্ট, ও অন্যান্য সংযোগ প্রয়োজন হতে পারে, তাই সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
ব্যাটারি লাইফ: ফ্রিল্যান্সিং করার সময় যদি আপনি অনেক সময় বাইরে থাকেন, তবে দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ অপরিহার্য, তাই এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
সার্ভিস এবং সাপোর্ট: ল্যাপটপ ব্র্যান্ড এবং মডেল চয়েজ করার সময় কাস্টমার সাপোর্ট এবং ওয়ারেন্টি বিবেচনা করা ভীষণ দরকার।
ডিজাইন এবং স্পিড: একটি আধুনিক ও চমৎকার ডিজাইনের ল্যাপটপ যা বর্তমান সময়েও আপনার পছন্দ অনুযায়ী হতে পারে।
তো উপরের এই দিকগুলো বিবেচনা করে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য উপযুক্ত ল্যাপটপ নির্ধারণ করতে পারেন। তবে সেটি আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী এবং আপনার বাজেট অনুযায়ী একটি আদর্শ ল্যাপটপ নির্বাচন করুন।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বেস্ট ল্যাপটপ কোনগুলো?
বর্তমানে আমাদের দেশে অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন, এবং তাদের বেশিরভাগই ল্যাপটপের মাধ্যমে কাজ করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ একটি সহজতম মাধ্যম, কারণ এটি সহজে বহনযোগ্য। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বাড়ছে এবং অনেকেই এই পেশায় যোগ দিচ্ছেন। তবে দেশের অধিকাংশ মানুষই উচ্চ বাজেটে ল্যাপটপ কিনতে পারেন না। ফলে তারা কম বাজেটে ভালো মানের ফ্রিল্যান্সিং ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন। নিচে কয়েকটি ল্যাপটপ এর নাম উল্লেখ করা হলো যেগুলোর বাজেট সাশ্রয়ী:
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য অনেকেই উচ্চ বাজেটে ভালো ল্যাপটপ কিনতে চান। তবে, অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না যে, এই বাজেটে কোন ল্যাপটপটি ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে। বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের উচ্চ বাজেটের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। তবে, সবগুলো ল্যাপটপ ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য উপযুক্ত নয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে বিভিন্ন ধরনের এডিটিং এবং অন্যান্য জটিল কাজ করতে হয়, যেগুলোর জন্য শক্তিশালী কনফিগারেশনের ল্যাপটপ প্রয়োজন। যারা উচ্চ বাজেটে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সেরা ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য নিচে কিছু ল্যাপটপের তালিকা দেওয়া হলো:
(Razer Blade Pro 17) বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮৩ হাজার টাকার কাছাকাছি লাগবে।
(Gigabyte Aero 15) এই ল্যাপটপটি কিনতে হলে আপনার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা গুনতে হবে।
(Lenovo Thinkpad E14 20TAS0XF00) এই ল্যাপটপটি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৫ হাজার টাকা।
(HP Elite DragonFly Core i5 8th Gen) এই ল্যাপটপটির বাংলাদেশী দাম ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার কাছাকাছি।
(Macbook Air) এই ল্যাপটপটি কিনতে হলেও আপনাকে লাখ টাকার উপরে গুনতে হবে।
(Dell xps 13 7390 core i7 10th gen) এটি কিনতে হলে আপনার বাংলাদেশী মুদ্রায় গুনতে হবে প্রায় ৫৭ হাজার টাকার মত।
(Asus Vivobook 15 k513ea) এই ল্যাপটপটি ও অনেক এক্সপেনসিভ এটির দাম প্রাই ৮৩ হাজার টাকা।
উপরের তালিকা থেকে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য সেরা ল্যাপটপটি বেছে নিতে পারেন। আপনার কাজের ধরন ও ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী উপযুক্ত ল্যাপটপটি আপনি নিজেই নির্বাচন করবেন। আপনার যদি বাজেট সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে একটি ব্যবহৃত ল্যাপটপে কিনতে পারেন।
সর্বশেষ কথা:-
প্রিয় পাঠক আমি চেষ্টা করেছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার যে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো। যদি এর বাইরে কোন ভাল ল্যাপটপ আপনার জানা থাকে তাহলে কমেন্ট জানাতে পারেন।
আর হ্যাঁ আপনি চাইলে আপনার ব্যবহৃত পুরনো ল্যাপটপটি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে খুব সহজে বিক্রি করতে পারেন, এবং সেই সাথে একটা ভালো মানের ফ্রিল্যান্সিং করার ল্যাপটপ ও আমাদের থেকে কিনতে পারেন।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিজের খেয়াল রাখুন ধন্যবাদ।
ল্যাপটপের জন্য সবচেয়ে ভালো গ্রাফিক্স প্রসেসর কোনটি?
উত্তর: NVIDIA GeForce GTX এবং AMD Radeon RX সিরিজের GPU গুলো ল্যাপটপের জন্য সবচাইতে উন্নত মানের এবং ভালো গ্রাফিক্স প্রসেসর।
বাংলাদেশের গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো?
উত্তর: ASUS ProArt StudioBook Pro 17 এই মডেলের ল্যাপটপ বাংলাদেশের গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় আর তার বিশেষ কারণ হলো এটিতে একটি 17-ইঞ্চি 4K UHD ডিসপ্লে রয়েছে, যা আপনার এক্সপেরিয়েন্স কে আরো চমৎকার করে তুলে।
পিসির জন্য সবচেয়ে ভালো গ্রাফিক্স কার্ড কোনটি?
উত্তর: পিসির জন্য অনেক নামিদামি গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে বাজারে তবে তাদের মধ্যে সবচাইতে পপুলার এবং জনপ্রিয় গ্রাফিক্স কার্ড হল (এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স 4090)