মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী টিপস

 প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন   |   মোবাইল

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী টিপস

মোবাইলের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া আমাদের অনেকেরই সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ফোন চার্জে দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক, বিশেষ করে যখন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকেন কিংবা ভ্রমণে থাকেন। বারবার চার্জার খুঁজে বের করার ঝামেলা যেমন অস্বস্তিকর, তেমনই ফোনের ব্যাটারি হঠাৎ শেষ হয়ে যাওয়াও অনেক ক্ষেত্রেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। তবে কিছু সহজ এবং কার্যকরী কৌশল অনুসরণ করলে ব্যাটারির আয়ু বাড়ানো সম্ভব। নিয়মিতভাবে এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে আপনার ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘ সময় ধরে চার্জ ধরে রাখতে পারবে এবং চার্জার নিয়ে দুশ্চিন্তাও অনেকটা কমে যাবে। এখানে মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী টিপস তুলে ধরা হলো, যা আপনার দৈনন্দিন ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে সহায়ক হবে।

১. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস বন্ধ রাখুন

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস বন্ধ রাখুন


বেশিরভাগ স্মার্টফোনে একবার অ্যাপ খোলার পর তা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে, যাতে দ্রুত অ্যাক্সেস করা যায়। কিন্তু এভাবে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অ্যাপগুলো ব্যাটারি ক্রমাগত খরচ করে, যা ফোনের ব্যাটারি আয়ু কমিয়ে দেয়। ধরুন, আপনি ফেসবুক, ইউটিউব বা মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করছেন—কাজ শেষে যদি এগুলো বন্ধ না করেন, তাহলে তারা ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকবে এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর ডাটা রিফ্রেশ করে যাবে। এর ফলে শুধু ব্যাটারি নয়, ডাটাও অতিরিক্ত ব্যবহৃত হয়।


এই সমস্যার সমাধানে, প্রতিটি অ্যাপ ব্যবহারের পর তা ম্যানুয়ালি বন্ধ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইসের সেটিংসে 'ব্যাটারি' সেকশনে গিয়ে দেখে নিতে পারেন কোন কোন অ্যাপ বেশি ব্যাটারি খরচ করছে এবং প্রয়োজনে সেগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে না দেওয়ার জন্য রেস্ট্রিক্ট করতে পারেন। এটি ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং ফোনের পারফরম্যান্সকেও ভালো রাখে।

২. স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন


ফোনের স্ক্রিন ব্রাইটনেস হচ্ছে এমন একটি ফ্যাক্টর যা খুব সহজেই ব্যাটারি খরচের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। স্ক্রিন ব্রাইটনেস যত বেশি হবে, ব্যাটারি তত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। অনেকেই স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা সর্বদা উচ্চ পর্যায়ে রেখে ফোন ব্যবহার করেন, যা ফোনের জন্য প্রয়োজনীয় না হলেও ব্যাটারি খরচ বাড়িয়ে দেয়। দিনের আলোতে স্ক্রিন পরিষ্কার দেখা যায় বলে অনেক সময় কম ব্রাইটনেসেও ফোন ব্যবহার করা যায়।


স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখার জন্য ফোনের সেটিংসে গিয়ে 'ডিসপ্লে' সেকশনে পাওয়া 'ব্রাইটনেস' অপশনটি ব্যবহার করুন। দিনের বেলা বা উজ্জ্বল পরিবেশে স্বয়ংক্রিয় ব্রাইটনেস ফিচারটি (অটো-ব্রাইটনেস) ব্যবহার করলে ফোন নিজে থেকেই আশপাশের আলো অনুযায়ী উজ্জ্বলতা ঠিক করে নেবে। এই সাধারণ অভ্যাসটি গড়ে তুলতে পারলে আপনার ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চার্জ ধরে রাখবে এবং চার্জিংয়ের উপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে।


৩. নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন


নোটিফিকেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যাটারি খরচের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফোনে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ, গেম এবং অন্যান্য অ্যাপের নোটিফিকেশন নিয়মিত আসতে থাকে, যা ফোনের স্ক্রিনকে বারবার জ্বালিয়ে দেয়। এই ফ্রিকোয়েন্ট নোটিফিকেশন স্ক্রিনে ভেসে ওঠার কারণে ব্যাটারির উপর বাড়তি চাপ পড়ে।


অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ রাখতে, ফোনের সেটিংসে গিয়ে 'নোটিফিকেশন' অপশনে যান এবং সেখান থেকে শুধু প্রয়োজনীয় অ্যাপের নোটিফিকেশন চালু রাখুন। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিলে ব্যাটারি আয়ু বেড়ে যাবে। এছাড়া বারবার স্ক্রিনে নোটিফিকেশন ভেসে ওঠা বন্ধ হলে ব্যবহারকারীর মনোযোগ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

৪. ভিব্রেশন মোড এড়িয়ে চলুন

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে ভিব্রেশন মোড এড়িয়ে চলুন


ফোনের নোটিফিকেশন বা কলের জন্য ভিব্রেশন মোড অনেক সময় সুবিধাজনক মনে হতে পারে, বিশেষ করে মিটিং বা জনবহুল স্থানে যেখানে শব্দ না করে নোটিফিকেশন পেতে চান। তবে, এটি মোবাইলের ব্যাটারি আয়ুর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ফোনে ভিব্রেশন সৃষ্টি করার জন্য একটি ছোট মোটর কাজ করে, যা ফোনের প্রতিটি নোটিফিকেশন, কল বা মেসেজে সক্রিয় হয় এবং মৃদু কম্পন সৃষ্টি করে। এই মোটর চালানোর জন্য শক্তি লাগে, যা ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ করতে পারে। তাই, যদি এটি অত্যন্ত জরুরি না হয়, তবে ভিব্রেশন মোড এড়িয়ে চলা উচিত।


ভিব্রেশন মোড বন্ধ করতে ফোনের সেটিংসে গিয়ে 'সাউন্ড' বা 'ভাইব্রেশন' অপশন থেকে ভিব্রেশন বন্ধ করে দিতে পারেন। শুধু রিংটোন বা সাইলেন্ট মোডে রেখে দিলে এটি ব্যাটারি সাশ্রয় করে এবং চার্জ ধরে রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়। এছাড়া, হ্যাপটিক ফিডব্যাক বা টাচ করার সময় ফোনে অনুভূত কম্পনও ব্যাটারি খরচ করে। সেটিংসের হ্যাপটিক ফিডব্যাক অপশন থেকেও এটি বন্ধ করা গেলে ব্যাটারি আয়ু আরও বাড়তে পারে।

৫. ব্যাটারি সেভার মোড ব্যবহার করুন

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে ব্যাটারি সেভার মোড ব্যবহার করুন


বেশিরভাগ আধুনিক স্মার্টফোনেই ব্যাটারি সেভার মোড বা পাওয়ার সেভিং মোডের সুবিধা রয়েছে, যা ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে অত্যন্ত কার্যকর। ব্যাটারি সেভার মোড চালু থাকলে ফোনের বেশ কিছু কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সীমিত করা হয়। যেমন, স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমানো, অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখা, অটো-সিঙ্ক বন্ধ করা, এবং কিছু কিছু অ্যাপের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করা হয়, যা ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যখন ব্যাটারি কম থাকে এবং চার্জ দেওয়ার সুযোগ নেই, তখন এই মোডটি চালু করে রাখা বেশ উপকারি হতে পারে।


ব্যাটারি সেভার মোড চালু করতে ফোনের 'সেটিংস'-এর ব্যাটারি সেকশনে যান। অনেক ফোনে এটি পাওয়ার অপশনের মাধ্যমে সরাসরি চালু করা যায়। কিছু ফোনে আরও উন্নত 'আল্ট্রা পাওয়ার সেভিং মোড' বা 'লো পাওয়ার মোড' পাওয়া যায়, যা আরো শক্তিশালী সেভিং সুবিধা প্রদান করে। এটি বিশেষ করে ভ্রমণ বা বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন স্থানে থাকা অবস্থায় খুবই কার্যকর।

৬. অটো-লক সময় কমিয়ে রাখুন

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে অটো-লক সময় কমিয়ে রাখুন


ফোনের স্ক্রিন বন্ধ না হলে বা দীর্ঘ সময় চালু থাকলে এটি ব্যাটারি আয়ুতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। অনেকেই ফোন ব্যবহার শেষে স্ক্রিন বন্ধ করতে ভুলে যান, যার ফলে স্ক্রিন চালু থাকে এবং ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তাই, অটো-লক বা স্ক্রিন টাইমআউট সময় কমিয়ে রাখলে এটি দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে এবং ব্যাটারি সাশ্রয় হবে। এই অপশনটি ব্যবহার করলে ফোনের স্ক্রিন নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়, যা ব্যাটারি খরচ কমিয়ে দেয়।


অটো-লক বা স্ক্রিন টাইমআউট সেট করতে ফোনের 'সেটিংস' থেকে 'ডিসপ্লে' অপশনে গিয়ে স্ক্রিন টাইমআউট কমিয়ে রাখতে পারেন। ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে স্ক্রিন টাইমআউট সময় রাখলে তা ব্যাটারির জন্য উপকারী হতে পারে। এর ফলে স্ক্রিন দ্রুত বন্ধ হবে, যা ব্যাটারি আয়ু বাড়িয়ে দেয় এবং ফোনের চার্জ দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৭. ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন


ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ চালু থাকলে ফোন ক্রমাগত নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইস খুঁজতে থাকে, যা ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ করে দিতে পারে। অনেক সময় আমরা ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ চালু রেখে ফোন ব্যবহার করি, এমনকি যখন এগুলোর প্রয়োজন নেই। এটি শুধু ব্যাটারি নয়, ফোনের ডাটা ব্যবহারও অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে, ব্লুটুথ চালু থাকলে এটি আশেপাশের সব ডিভাইসের সাথে সংযোগের চেষ্টা করে, যা ব্যাটারির উপর বড় ধরনের চাপ ফেলে।


ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ বন্ধ রাখার জন্য ফোনের টগল মেনু বা 'সেটিংস'-এ গিয়ে এগুলো বন্ধ করতে পারেন। যখন প্রয়োজন হবে, তখন সহজেই চালু করতে পারেন। এটি অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে ব্যাটারি আয়ু অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব। যারা নিয়মিতভাবে ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ চালু রেখে ফোন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এই অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই উপকারী হতে পারে, কারণ এটি ব্যাটারি চার্জ দীর্ঘস্থায়ী করে এবং ফোনের সার্বিক পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৮. অপ্রয়োজনীয় উইজেট সরিয়ে ফেলুন

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় উইজেট সরিয়ে ফেলুন


মোবাইলের হোমস্ক্রিনে বিভিন্ন উইজেট ব্যবহার করা হয়, যেমন: আবহাওয়া, নিউজ, ক্যালেন্ডার বা সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট ইত্যাদি। এগুলো দেখতে ভালো হলেও প্রতিনিয়ত ব্যাটারি খরচ করে, কারণ উইজেটগুলো ক্রমাগত ডাটা রিফ্রেশ করে এবং গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনার জন্য ব্যাটারি ব্যবহার করে। বিশেষ করে যেসব উইজেট নিয়মিত ডাটা রিফ্রেশ করে (যেমন আবহাওয়া, খবর ইত্যাদি), সেগুলো ব্যাটারি আয়ুতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। অনেক সময় ফোনের হোমস্ক্রিনে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি উইজেট রাখা হয়, যা ফোনের ব্যাটারি আয়ু কমিয়ে দেয়।


ফোনের হোমস্ক্রিনকে যতটা সম্ভব সহজ ও পরিষ্কার রাখা উচিত এবং শুধুমাত্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইজেটগুলো রাখা উচিত। অপ্রয়োজনীয় উইজেট সরানোর জন্য হোমস্ক্রিনে থাকা উইজেটগুলোকে ধরে রেখে সরিয়ে দিন বা সরাসরি 'রিমুভ' অপশনে ক্লিক করুন। এতে ফোনের ব্যাটারি খরচ কম হবে এবং ফোনের প্রসেসিং স্পিডও কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। উইজেট কম ব্যবহার করলে ব্যাটারি আয়ু দীর্ঘস্থায়ী হবে, যা চার্জিংয়ের উপর নির্ভরশীলতা কমাবে।

৯. ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা রিসট্রিক্ট করুন

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা রিসট্রিক্ট করুন


অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ব্যবহার করে, যা ফোন ব্যবহার না করলেও ব্যাটারি খরচ করে। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজিং এবং নিউজ অ্যাপগুলো নিয়মিত ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা রিফ্রেশ করে, যাতে নতুন নোটিফিকেশন এবং আপডেট পাওয়া যায়। কিন্তু এসব অ্যাপের জন্য সবসময় ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা রিফ্রেশ করা প্রয়োজন হয় না এবং এটি ব্যাটারি খরচ বাড়ায়। যদি অ্যাপগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা সীমিত করা যায়, তাহলে ব্যাটারির আয়ু অনেকটা বাড়ানো সম্ভব।


ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা রিসট্রিক্ট করার জন্য ফোনের সেটিংসে গিয়ে 'ডাটা অ্যান্ড নেটওয়ার্ক' বা 'অ্যাপ ম্যানেজমেন্ট' সেকশনে প্রবেশ করুন। সেখানে থেকে প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো নির্বাচন করে ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা সীমাবদ্ধ করুন। এটি চালু থাকলে কেবল তখনই ডাটা ব্যবহার করা হবে যখন আপনি সরাসরি অ্যাপটি চালু করবেন। এই প্রক্রিয়া ব্যাটারির উপর থেকে চাপ কমায় এবং ফোনের ডাটা খরচও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

১০. চার্জিংয়ের সময় ফোন কম ব্যবহার করুন

মোবাইলের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে চার্জিংয়ের সময় ফোন কম ব্যবহার করুন


চার্জিংয়ের সময় ফোন ব্যবহার করা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। যখন ফোন চার্জে থাকে এবং আপনি সেটি ব্যবহার করেন, তখন ফোনের ব্যাটারি চার্জ এবং ডিসচার্জ উভয় প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকে, যা ব্যাটারির উপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে ব্যাটারির আয়ু কমে যেতে পারে এবং দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে গেমিং বা ভিডিও দেখার মতো অ্যাপ ব্যবহারের সময় চার্জিং করলে ফোনের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যা ব্যাটারির জন্য আরও ক্ষতিকর।


ফোন চার্জে দেওয়ার সময় ব্যবহার কমিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। যদি জরুরি প্রয়োজনে ফোন ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে সহজ কাজ (যেমন মেসেজ পাঠানো বা কল করা) করার চেষ্টা করুন এবং বড় ফাইল ডাউনলোড বা গেম খেলার মতো কাজ এড়িয়ে চলুন। ফোন চার্জিং অবস্থায় ব্যবহারের অভ্যাস কমিয়ে রাখতে পারলে ব্যাটারি দীর্ঘদিন ধরে ভালো পারফর্ম করবে এবং চার্জিংয়ের উপর নির্ভরশীলতাও কমবে।

উপসংহার

উপরের টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনার মোবাইলের ব্যাটারি আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস বন্ধ রাখা, স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমানো, নোটিফিকেশন ও ভিব্রেশন নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আপনি দৈনন্দিন ব্যবহারে ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন। ব্যাটারির সঠিক যত্ন নিলে এটি শুধু দীর্ঘ সময় ধরে ভালো পারফর্ম করবে না, বরং আপনাকে বারবার চার্জ দেওয়ার ঝামেলাও কমাবে। চার্জের উপর নির্ভরশীলতা কমে গেলে যেকোনো প্রয়োজনে ফোন ব্যবহার করা আরও সুবিধাজনক হবে, যা আপনার মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে।