ঈদে নিরাপদে হোক বাড়ি ফেরা

 প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২২, ০৭:২৮ অপরাহ্ন   |   যানবাহন , টিপস ও গাইড

ঈদে নিরাপদে হোক বাড়ি ফেরা

ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষকে দুর্ভোগে পড়তেই হবে—এটি যেন নিয়তি। ভাঙা সড়ক, অকেজো বাস, টিকিট কালোবাজারি, ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি, ট্রেনস্বল্পতা, কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের উদাসীনতা ও অনিয়ম, বাস মালিকদের অতি লোভের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রভৃতি কারণে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয় । 

ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পরিকল্পনা করে থাকে সরকার। ঘরমুখো মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। বাস কাউন্টারে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। শিডিউল বিপর্যয়ে আগের দিনের ট্রেন পরের দিন স্টেশন ছেড়ে যায়। লঞ্চে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে হয়। সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত এবার ব্যর্থ হবে না। মানুষ নির্বিঘ্নে এবার বাড়ি ফিরতে পারবে। ঈদ যাত্রা যাতে দুর্ভোগপূর্ণ না হয়, তা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। 

ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ফিটনেসহীন গাড়ি, নসিমন-করিমন, ইজি বাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও পেডাল চালিত রিকশা এবং মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী না তোলা, রাস্তায় নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো, সহনীয় পর্যায়ে টিকিটের মূল্য রাখা, চালকদের ওভারটেক করার মানসিকতা পরিহার করা, জনবহুল স্থানগুলোতে পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা, যাতে চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী ও দালালদের হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি না হয় । ঈদের লম্বা ছুটি পরিকল্পিতভাবে রেশনিং পদ্ধতিতে নিশ্চিত করা গেলে ভোগান্তি কমানো সম্ভব।

চালকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। বিনা টিকিটে যাত্রী বহন বন্ধ করতে হবে। কোনো প্রকার দুর্ঘটনা হওয়া থেকে বাঁচার জন্য আন্তরিক চেষ্টা করতে হবে। যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। জানমাল নিরাপত্তায় দায়দায়িত্ব নিজেকে সামলাতে হবে। কোনো প্রকার অনিয়ম দেখা দিলে নিকটস্থ কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তাদের অবহিত করতে হবে। যাত্রী ও চালকদের পরস্পর হিতাকাঙ্ক্ষী হতে হবে। তবেই ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন হতে পারে।

আপনার ঈদ যাত্রা শুভহোক এই কামনায় Aponhut.com - এর পক্ষ থেকে সবাইকে পবিত্র ঈদ উল ফিতর এর অগ্রিম শুভেচ্ছা <= ঈদ মোবারক=>