দ্রুত এবং নির্ভুল ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম

 প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, ১০:৩৯ অপরাহ্ন   |   যানবাহন , টিপস ও গাইড

দ্রুত এবং নির্ভুল ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম

দ্রুত এবং নির্ভুল ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম

আলাইকুম সবাইকে । আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আলোচনা  করবো কিভাবে আমরা মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করবো।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি ?

ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো একজন ড্রাইভারের অতি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। এটি আপনাকে দেবে সড়ক পথে আপনার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি সাধারণত বিভিন্ন ধাপে সংঘটিত হয়, এখানে আমরা আলোচনা করবো ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিভিন্ন দিক, এর জন্য কি কি পরীক্ষা দিতে হবে । ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনার বয়স অবশ্যই আঠারো বছরের উর্ধ্ব হতে হবে এবং বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় “বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) থেকে। প্রাথমিক অবস্থায় আপনাকে বিআরটিএ এর ওয়েবসাইট থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য দেওয়া আবেদনপত্র টি ডাউনলোড করতে হবে এবং আবেদনপত্রটিতে দুটি অংশ থাকে, একটি আপনার অংশ এবং আরেকটি অংশ ডাক্তারের বা এই অংশটিকে মেডিকেল সার্টিফিকেট বলে। আপনার অংশে আপনার নিজের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয় এই অংশ আপনার নিজের হাতে পূরণ করতে হবে এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট এর অংশটি যেকোন রেজিস্টার্ড ডাক্তার দ্বারা পূরণ করে নিতে হয়। আবেদন পত্রটির সাথে তিন কপি স্ট্যাম্প এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি সংযুক্ত করে বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হবে এবং লাইসেন্স এর জন্য নির্ধারিত ফি ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে । আবেদনপত্রটি যাচাই এর পর সঠিক মনে হলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে তিন মাসের জন্য সাথে সাথে একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে।

লাইসেন্স কত প্রকার ?

মোটরযান লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ এর মতে লাইসেন্স  সাধারণত ৫ প্রকার হয়ে থাকে । যেমনঃ
শিক্ষানবীশ লাইসেন্স 
পেশাদার লাইসেন্স
অপেশাদার লাইসেন্স 
পি.এস. ভি লাইসেন্স
ইনস্ট্রাকটর লাইসেন্স
আমরা শুধুমাত্র মোটর সাইকেলের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষনবীশ ও অপেশাদার লাইসেন্স নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের শর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। আপনাকে প্রথমে লার্নার
বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদন করতে হবে। মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আপনার বয়স অবশ্যই আপনাকে ১৮ বছর  হতে হবে। বিআরটিএ এর সূত্র মতে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য বয়স কমপক্ষে ২০ বছর এবং অপেশাদার এর জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য যোগ্যতাঃ

  1. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আপনার  বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে ।

  2. অপেশাদার এর জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।

  3. জাতীয় পরিচয়পত্র  / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে ।

  4. আবেদনকারীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অবশই  সুস্থ থাকতে হবে।

লার্নার বা শিক্ষনবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য দরকারি কাগজপত্রঃ

১। নির্ধারিত আবেদনপত্রে আবেদন করতে হবে আগে  ।

২। রেজিস্টার্ড ডাক্তার কতৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে  ।

৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ / পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি লাগবেই   ।

৪। নির্ধারিত ফি । ( ক্যাটাগরি ১ এ ৩৪৫ /- টাকা, ক্যাটাগরি ২ এ  ৫১৮ /- টাকা ) বিআরটিএ এর নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ ( ব্যাংক এর লিস্ট বিআরটিএ এর ওয়েবসাইট এ পাওয়া যাবে) ।

৫।  বর্তমানে  তোলা ০৩ কপি স্ট্যাম্প ও ০১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ।

ক্যাটাগরি ১ এ ৩৪৫ /- টাকা ( কোন এক ধরণের  মোটরযান )

ক্যাটাগরি ২ এ ৫১৮ /- টাকা ( মোটর সাইকেল এর সঙ্গে যে কোন এক ধরণের মোটরযান ) 

শিক্ষানবিশ লাইসেন্স পাওয়ার ৩ মাস পর বা ৩ মাসের মধ্যে আপনাকে পরিক্ষার জন্য ডাকবে , এ পর্যায়ে ১মে আপনার লিখিত পরিক্ষা দিতে হবে। এখানে বলে রাখা ভালো যে এই পর্যায়ে আপনার এক ধাপ পাশ করার পর অন্য ধাপের জন্য মনোনিত হবেন। লিখিত পরিক্ষায় সর্বমোট ২০ টি প্রশ্ন থাকবে , প্রতি প্রশ্নের মান ১ করে এবং সময় থাকবে ২০ মিনিট । এখানে আপনাকে ১২ নম্বর পেতে হবে । ১২ নম্বরের কম পেলে আপনি বাতিল হিসেবে বিবেচিত হবেন । ১২ নম্বর পাওয়া অনেকটা সহজ এবং এখানে ইঞ্জিন মেকানিজমে আলাদা ২ নম্বর পেতে হবে পাশ কারার জন্য ।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্নের ধরণঃ

  • সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ৬ টি থাকে এবং প্রতি প্রশ্নের মান ১ করে  ।

  • ইঞ্জিন মেকানিজম সম্পর্কিত প্রশ্ন ৬ টি থাকে এবং প্রতি প্রশ্নের মান ১ করে ।

  • নৈবত্তিক প্রশ্ন থাকে ৮ টি থাকে এবং প্রতি প্রশ্নের মান ১ করে ।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যেভাবে আপনি  আবেদন করবেনঃ

আপনাকে সর্বপ্রথম লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ যেমন- বিদ্যুৎ অথবা গ্যাস বিলের ফটোকপি ইত্যাদি পেশ করে বিআরটিএর সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।

  • অনলাইনে ফরমে আবেদন করতে হবে ।

  • রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক শারীরিক সুস্থতার মেডিকেল সার্টিফিকেট।

  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড/জন্ম সনদ/পাসপোর্ট সত্যায়িত ফটোকপি।

  • নির্ধারিত ফি (১ ক্যাটাগরি- ৩৪৫/- ও ২ ক্যাটাগরি- ৫১৮/- টাকা) বিআরটিএর নির্ধারিত ব্যাংকে (ব্যাংকের তালিকা www.brta.gov.bd-এ পাওয়া যাবে) জমার রশিদ।

  • বর্তমানে  তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

  • ড্রাইভিং লাইসেন্সে আবেদন করার দুই থেকে তিন মাস পর প্রাথীর লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষা অ ষ্ঠিত হবে। অবশ্যই পরীক্ষার তারিখ আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহককে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। আপনি কোথায় পরীক্ষা দিতে চান- সে স্থান নাম

  • অনলাইনে ফরম পূরণের সময়   সিলেক্ট করে দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষা ২০ নম্বরের মধ্যে পাশ নম্বর ১২ এবং ১২ পেলেই আপনি পাশ করতে পারবেন।

ড্রাইভিং পরীক্ষা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্নঃ

লার্নার বা শিক্ষনবীশ ড্রাইভিং কার্ডে পরীক্ষার স্থান, তারিখ ও সময় দেয়া থাকবে। সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাস পরের সময় দেয়া থাকে। তবে আপনি এর মধ্যে আপনার সুবিধামত সময়েও পরীক্ষা দিতে পারেন। সেক্ষত্রে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা স্থানে খোঁজখবর নিয়ে যেকোন পরীক্ষার দিন উপস্থিত হয়ে আপনার নাম ঐ তারিখে ইস্যু করতে হবে।

নির্ধারিত তারিখে আবেদনকারীকে নিচের দেয়া পরীক্ষাগুলোতে অংশ গ্রহণ করতে হবে।

ক. লিখিত পরীক্ষা 

খ. মৌখিক/ভাইবা পরীক্ষা

গ. ব্যবহারিক/প্রাক্টিকেল পরীক্ষা

ক. লিখিত পরীক্ষাঃ নির্ধারিত দিনে উপস্থিত হয়ে সকাল ৯.০০-১২.০০ টার মধ্যে (অধিকাংশ ক্ষেত্রে) লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। লিখিত পরিক্ষার জন্য বিআরটিএ থেকে ১২৬ টি প্রশ্ন দেওয়া আছে এই লিঙ্ক এ ক্লিক করে প্রশ্ন গুলো পড়ে নিজেকে প্রস্তত করতে পারেন । এর বাহিরে তেমন কোন প্রশ্ন থাকে না । এই ১২৬ টি প্রশ্ন ভালো করে পড়ে গেলে পাশ নিশ্চিন্ত  ।

খ.মৌখিক/ভাইবা পরীক্ষা লিখিত পরিক্ষার পর আসে ভাইবা বা মৌখিক পরিক্ষার অংশ । এখানে  আপনাকে একটি ভাইবা পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে , এখানে সধারণত বিভিন্ন চিহ্ন দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয় যে কোন চিহ্ন কোন কাজে ব্যাবহার করা হয় এছাড়াও ইঞ্জিন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয় । তবে আশার কথা এই যে বিআরটিএ কতৃক প্রদত্ত ঐ ১২৬ টি প্রশ্ন এর মধ্যে ভাইবার এই প্রশ্ন গুলোও পাওয়া যায় । প্রশ্ন গুলো এই লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন ।সুতারং এই প্রশ্ন গুলো ভালোভাবে পড়লে লিখিত ও ভাইবাতে কৃতকার্য হওয়া অনেক সহজ হয়ে যায় ।

গ. ব্যবহারিক/প্রাক্টিকেল পরীক্ষা প্রকাটিক্যাল পরিক্ষার জন্য বি আর টি এ অফিসে কোন মটরসাইকেল ভাড়া পাওয়া যাবে না, এর জন্য আপনার নিজের মটরসাইকেলটি নিয়ে যেতে হবে। অনেকেই বলে যে পালসার / এপাসি / এফ জেড এস / আর ওয়ান ফাইভ / সিভি আর নিয়ে পরিক্ষায় পাশ করতে পারে না, এই কথাটি একদমই ভুল । আপনি যে মটরসাইকেল নিয়ে বেশি প্রাকটিস করবেন সেই মটরসাইকেল
দিয়েই প্রাকটিক্যাল পরিক্ষায় পাশ করতে পারবেন। এবার আসুন প্রাকটিক্যাল পরিক্ষার কিছু খুঁটিনাটি জেনে নেই।
আপনি চাইলে ঘরে বসেই খুব সহজেই পছন্দের পুরাতন/নতুন মোটরসাইকেল কিনতে পারেন আপনহাট.কম থেকে

১) আপনি যত ভালোই বাইক চালান না কেন পরিক্ষায় ঝিকঝ্যাক ও ইউ টার্ন  এ পা না ফেলে একই ভাবে ফিরে আসা অনেক কঠিন হয়ে যায়, তাই আপনি পরিক্ষার স্থানে একটু আগে গিয়ে বার বার প্রাকটিস করে নিন।

২) পরিক্ষা শুরুর সময় অবশ্যই হেলমেট পরে নিবেন নাহলে এক্সিডেন্ট হলে সমসসা হতে পারে 

৩) ১০ ফুট পরপর কয়েকটি লাঠি দেওয়া থাকবে, চালাতে গিয়ে যদি লাঠিতে আপনার পা লেগে যায় তাহলে আপনি সাথে সাথে বাতিল বলে বিবেচিত হবেন।

এরপর আপনি যদি পরিক্ষায় পাশ হয়ে থাকেন তাহলে, একটি নিদৃষ্ট সময় পর আপনাকে আবার ডাক দিবে এবং তখন আপনার ছবি তুলে, আংগুলের ছাপ দিতে হবে আপনাকে , ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আপনাকে মোট ২৮৭৫ টাকা বি.আর.টি.এ কে জমা দিতে হবে আপনাকে । আর আপনি যদি দুটো মোটরযানের লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত বেশি ১১৫ টাকা দিতে হবে। এরপর বি.আর.টি.এ কতৃক নির্দিষ্ট দিনে গিয়ে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সংগ্রহ করবেন 

লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্র নিয়ে আবার বিআরটিএ অফিসে যেতে হবে।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে

২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট সাথে নিয় আসতে হবে

৩। জাতীয় পরিচয়পত্র / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি লাগবে ।

৪। নির্ধারিত ফী (অপেশাদার এর জন্য ২৩০০/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ পত্র ।

৫। বর্তমানে  তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

৬। লার্নার বা শিক্ষনবীশ কার্ড 

এরপর আপনাকে একটি নির্দিষ্ট দেয়া  তারিখে গিয়ে বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড আগে  ইস্যু করতে হবে। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানানো হবে । নির্দিষ্ট দিনে গিয়ে আপনাকে ড্রাইভিং স্মার্ট কার্ড নিয়ে আসতে হবে। 

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতিঃ

(১) পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আপনার বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে । 

(২) পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আপনার বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে এবং পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।

(৩) পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আপনার বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে এবং পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।


[ বি:দ্র: পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর কমপক্ষে ৩ বছর পর তিনি পেশাদারমিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়ম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ০৩ বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ]

ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করার নিয়মঃ

ত চলুন দেখা যাক কিভাবে আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করবো ,

১। প্রথমে গুগল প্লে স্টোর DL Check App ডাউনলোড করুন


এই অ্যাপ টি ছাড়া আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করতে পারবেন না । ডাউনলোড করার জন্য অ্যাপ টি প্লে স্টোর এ গিয়ে সার্চ করুন অথবা এই  লিঙ্ক এ ক্লিক করুন

২। অ্যাপ টি ডাউনলোড করার পর ওপেন করুন। আর হে অবশ্যই মোবাইল এ ইন্টারনেট কানেকশন রাখবেন। 

৩। তারপর নিচে স্ক্রিনশট গুলো দেখুন এবং লাল মার্ক করা স্থানে DL No বা BRAT Ref No দিন। এবং জন্ম সাল ও তারিখ দিন


৪। এগুলো বসানোর পর সার্চ/Get Data Button এ ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর ই উপরে দেয়া ডান পাশের  স্ক্রিনশট এর মত আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চলে আসবে । এবার এটির স্কিনশট নিয়ে নিন। ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রথম পার্শ্বের স্কিনশট নেওয়ার পর ড্রাইভিং লাইসেন্সের উপর ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের পিছন পার্শ্ব দেখতে পারবেন। এবার পিছন পার্শ্বের স্কিনশট নিয়ে নিন। দুই পাশের স্কিনশট নেওয়া হয়ে গেলে সুন্দরভাবে ক্রপ করে নিবেন । এভাবে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করতে পারবেন।

যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করবেন বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়াঃ

(ক) অপেশাদারঃ

গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি ( মেয়াদ শেষ হবার আগে ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭/- টাকা ও মেয়াদ শেষ হবার আগের  ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২৩০/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হবে। স্মার্ট কার্ড প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হয়।

(খ) পেশাদারঃ

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় পাশ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি ( মেয়াদ শেষ হবার আগে ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫/- টাকা ও মেয়াদ শেষ হবার আগে ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২৩০/- টাকা জরিমানাসহ ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড প্রন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে অবে আগে ।

২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে ।

৩। জাতীয় পরিচয় পত্র  -এর সত্যায়িত ফটোকপি।

৪। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র;

৫। নির্ধারিত ফী জমাদানের রশিদ পত্র ।

৬। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে ।

৭। বর্তমানে  তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি লাগবে ।

আরওঃ পুরাতন আসবাবপত্র , বাইক , মোবাইল ফোন , কম্পিউটার কিনতে ভিজিট করুন www.aponhut.com ( আপনহাট.কম )