গ্রাফিক্স কার্ড কি? গ্রাফিক্স কার্ড এর ব্যবহার এবং কোন গ্রাফিক্স কার্ড ভালো?

 প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন   |   সংজ্ঞা

গ্রাফিক্স কার্ড কি? গ্রাফিক্স কার্ড এর ব্যবহার এবং কোন গ্রাফিক্স কার্ড ভালো?

গ্রাফিক্স কার্ড কি? গ্রাফিক্স কার্ড এর ব্যবহার এবং কোন গ্রাফিক্স কার্ড ভালো? 

আসসালামু আলাইকুম,

আপনি যদি google এ প্রতিদিনই সার্চ করেন গ্রাফিক্স কার্ড কি এবং গ্রাফিক্স কার্ড কিভাবে কাজ করে। এবং খুব একটা ভালো রেজাল্ট পাচ্ছেন না গুগলে সার্চ করার পরেও। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই লেখা আর এর কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন “গ্রাফিক্স কার্ড কি? “গ্রাফিক্স কার্ড কিভাবে কাজ করে? “কোন গ্রাফিক্স কার্ড ভালো হবে? “ইত্যাদি আরো খুঁটিনাটি গ্রাফিক্স কার্ড সম্পর্কিত অনেক তথ্য। তো চলুন বেশি কথা না বলে আজকের মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যাক।


গ্রাফিক্স কার্ড কী?

গ্রাফিক্স কার্ড হলো একটি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার যা মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং কম্পিউটারের সিপিইউ এবং মনিটরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এটি কম্পিউটারের বাইনারি কোডকে ডিজিটাল কোডে রূপান্তরিত করে, যার ফলে ছবি, ভিডিও, এবং অন্যান্য গ্রাফিক্যাল তথ্য মনিটরে প্রদর্শিত হয়। এই ডিভাইসটি ডিসপ্লেতে হাই রেজ্যুলেশনের ছবি এবং ভিডিও দেখাতে সহায়ক।


গ্রাফিক্স কার্ডকে গ্রাফিক্স অ্যাডাপ্টার, গ্রাফিক্স অ্যাক্সেলেটর, গ্রাফিক্স বোর্ড, গ্রাফিক্স কন্ট্রোলার, ডিসপ্লে কার্ড, ডিসপ্লে অ্যাডাপ্টার, বা জিপিইউ (GPU) নামেও ডাকা হয়। যেই নামেই ডাকা হোক না কেন, এর মূল কাজ একটাই: কম্পিউটারের বাইনারি কোডকে ডিজিটাল কোডে রূপান্তরিত করে যেকোন ছবি বা ভিডিওকে স্বচ্ছভাবে মনিটরে প্রদর্শন করা।


গ্রাফিক্স কার্ডের ভূমিকা:

গ্রাফিক্স কার্ডের প্রধান কাজ হলো কম্পিউটারের ডিসপ্লেতে হাই রেজ্যুলেশনের ছবি এবং ভিডিও দেখানো। এটি বিশেষ করে ভিডিও গেমিং, ভিডিও এডিটিং, এবং থ্রিডি ইমেজ রেন্ডারিং-এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাফিক্স কার্ডের সহায়তায় আমরা যেকোন ভিডিও, ছবি বা গেমিং-এর হাই রেজ্যুলেশন আউটপুট স্পষ্টভাবে দেখতে পারি এবং সহজেই নিজেদের কাজ সম্পন্ন করতে পারি।


বিল্ট-ইন এবং এক্সটার্নাল গ্রাফিক্স কার্ড:

অনেক কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড থাকে, যা Integrated Graphics Processor (IGP) নামে পরিচিত। এটি সাধারণ ভিডিও এবং ছবি দেখতে সক্ষম। তবে, হাই রেজ্যুলেশনের ভিডিও বা ছবি দেখতে, ভিডিও এডিট করতে, এবং হাই গ্রাফিক্সের ভিডিও গেম খেলতে এক্সটার্নাল গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন হয়। এক্সটার্নাল গ্রাফিক্স কার্ড সংযুক্ত করা না থাকলে, মনিটরে হাই রেজ্যুলেশনের ছবি বা ভিডিও প্রদর্শিত হবে না।


হাই রেজ্যুলেশনের জন্য এক্সটার্নাল গ্রাফিক্স কার্ড:

যদি আপনি একজন গেমার, ভিডিও এডিটর, বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন, তবে আপনার পিসি বা ল্যাপটপে একটি এক্সটার্নাল গ্রাফিক্স কার্ড থাকা অত্যাবশ্যক। এটি আপনার কম্পিউটারের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) হিসেবে কাজ করবে। GPU যত শক্তিশালী এবং উন্নত মানের হবে, তত ভালোভাবে আপনার কম্পিউটারের মনিটরে ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শিত হবে।


সংক্ষেপে:

গ্রাফিক্স কার্ড কম্পিউটারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ডিসপ্লেতে হাই রেজ্যুলেশনের ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শনে সাহায্য করে। এটি গেমিং, ভিডিও এডিটিং, এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স-নির্ভর কাজের জন্য অপরিহার্য। একটি শক্তিশালী গ্রাফিক্স কার্ড আপনার কম্পিউটারের পারফরম্যান্সকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে এবং আপনাকে একটি উন্নত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারে।


গ্রাফিক্স কার্ড কিভাবে কাজ করে?

গ্রাফিক্স কার্ডের কাজ করা প্রক্রিয়া আসলে খুব একটা জটিল নয়। আপনার যদি প্রযুক্তি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা থাকে, তবে এটি বোঝা আপনার জন্য সহজ হবে। চলুন, এটি সহজ ও সাবলীলভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।


আমরা যখন কম্পিউটার মনিটরে ছবি দেখি, তখন লক্ষ লক্ষ পিক্সেলের সমন্বয়ে ছবিগুলো তৈরি হয়। যখন মনিটরে কোনো ছবি প্রদর্শিত হয়, তখন পিক্সেলগুলোর উপর বিভিন্ন রঙের আলো পড়ে এবং সেই আলোকবিন্দুগুলোর সমন্বয়ে একটি ইমেজ গঠিত হয় যা আমরা দেখি।


রঙের ব্যবহার ও বাইনারি কোড:

কম্পিউটার কিভাবে রঙের ব্যবহার করে? কম্পিউটার তো কেবল বাইনারি কোড (০ এবং ১) ব্যবহার করে। অন্যদিকে, ইমেজ তৈরির জন্য ডিজিটাল কোড প্রয়োজন। এখানে গ্রাফিক্স কার্ডের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। 


গ্রাফিক্স কার্ডের ভূমিকা:

গ্রাফিক্স কার্ডের মূল কাজ হলো বাইনারি কোডকে ডিজিটাল কোডে রূপান্তরিত করা, অর্থাৎ ইমেজে রূপান্তরিত করা। প্রথমে কম্পিউটার সফটওয়্যার থেকে ইমেজ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য CPU (Central Processing Unit) এর মাধ্যমে গ্রাফিক্স কার্ডে প্রেরিত হয়। 


এরপর, গ্রাফিক্স কার্ড সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে একটি ওয়্যারফ্রেম তৈরি করে এবং পিক্সেলগুলোকে প্রয়োজনীয় আলো, টেক্সচার, এবং রঙ দিয়ে পূরণ করে। এরপর সেই রূপান্তরিত তথ্যকে একটি ক্যাবল বা তারের মাধ্যমে কম্পিউটার মনিটরে পাঠানো হয়। ফলে আমরা সেই ইমেজটি মনিটরে দেখতে পাই। এই প্রক্রিয়াটি প্রতি সেকেন্ডে ষাটবার ঘটে।


উদাহরণ:

একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করা যাক।


ধরুন, আপনি একটি চমৎকার ইমেজ তৈরি করতে চান এবং এর জন্য একটি নামকরা আর্ট প্রতিষ্ঠানকে নিযুক্ত করেছেন। 


  • ১. চাহিদা উপস্থাপন: - প্রথমে, আপনি আপনার চাহিদা প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে (CPU) জানাবেন।


  • ২. তথ্য স্থানান্তর:  - এরপর, প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে সেই তথ্য আর্ট ডিপার্টমেন্টে (Graphics card) পাঠানো হবে।


  • ৩. ইমেজ তৈরি:  - আর্ট ডিপার্টমেন্ট সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে আপনার জন্য নির্দিষ্ট ইমেজটি তৈরি করবে।


  • ৪. ইমেজ বিতরণ:  - সবশেষে, তৈরি করা ইমেজটি নির্দিষ্ট মাধ্যমে (Cable) আপনার (Monitor) কাছে পৌঁছে যাবে।


এই উদাহরণটি দেখিয়ে দেয়, কিভাবে একটি গ্রাফিক্স কার্ড কাজ করে। CPU থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, গ্রাফিক্স কার্ড তা প্রক্রিয়া করে এবং মনিটরে প্রদর্শন করে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, গ্রাফিক্স কার্ড নিশ্চিত করে যে আপনি সর্বোচ্চ মানের ছবি এবং ভিডিও দেখতে পাচ্ছেন।


আশা করি এই উদাহরণ এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে গ্রাফিক্স কার্ডের কাজের পদ্ধতি আপনার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। গ্রাফিক্স কার্ড কম্পিউটারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ডিসপ্লেতে হাই রেজ্যুলেশনের ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শনে সহায়ক।


গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে করণীয়

গ্রাফিক্স কার্ড কেনার জন্য যখন আমরা বাজারে যাই, তখন ভালো মানের একটি কার্ড নির্বাচন করার ক্ষেত্রে প্রায় সবাই দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যাই। অনেকেই জানেন না যে, একটি ভালো মানের GPU (Graphics Processing Unit) ক্রয় করার জন্য কী কী বিষয় বিবেচনা করা উচিত। চলুন, গ্রাফিক্স কার্ড কেনার পূর্বে করণীয় সমূহ সম্পর্কে জেনে নেই।


ব্যান্ডউইথ (Bandwidth)

ভালো মানের একটি গ্রাফিক্স কার্ডের মূল বিবেচ্য বিষয় হলো এর ব্যান্ডউইথ। কার্ডের ব্যান্ডউইথ যত বেশি হবে, কাজের গতি এবং মান ততই বৃদ্ধি পাবে।


অনেকেই মনে করেন যে, কার্ডের মেমোরি এর পারফর্মেন্স নির্ধারণ করে। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। মূলত একটি GPU-র পারফর্মেন্স নির্ভর করে এর ব্যান্ডউইথ বা DDR এর উপর। 


একটি ভিডিও কার্ডের ব্যান্ডউইথ মূলত দুটি অংশে বিভক্ত: ক্লক স্পিড (clock speed) এবং উইডথ (width)। ক্লক স্পিড কার্ডের কোরগুলো কত দ্রুত গতিতে কাজ করবে তা নির্ধারণ করে। সুতরাং যত বেশি ব্যান্ডউইথ সম্পন্ন কার্ড কিনতে পারবেন, আপনি দিন শেষে ততই সুফল পাবেন।


মেমোরি (Memory)

ব্যান্ডউইথের পরে আপনাকে দেখতে হবে GPU-র মেমোরি বা RAM কেমন। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে, ভিডিও কার্ডের মেমোরি কখনওই সেই কার্ডের পারফরম্যান্সকে নিয়ন্ত্রণ করে না। সুতরাং আপনার কাজের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় RAM-এর গ্রাফিক্স কার্ডেই চলবে।


শেডার কোর (Shader Core)

ব্যান্ডউইথের পরে যে বিষয়টি সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হলো শেডার কোর। শেডার কোরের মূল কাজ হলো ইমেজ প্রসেসিং করা। সুতরাং একটি গ্রাফিক্স কার্ডের শেডার কোর যত বেশি হবে, ঐ কার্ডের ইমেজ প্রসেসিং করার ক্ষমতাও তত বেশি হবে।


গ্রাফিক্স কার্ড তৈরি করে এমন দুটি কোম্পানি Nvidia এবং AMD শেডার কোর-কে দুটি আলাদা আলাদা নামে নামকরণ করে থাকে:

  • AMD: Stream Processors

  • Nvidia: CUDA Cores


কুলার অপশন (Cooler Option)

ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ডের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর কুলার অপশন। বর্তমানে বাজারে GPU লঞ্চ করে এমন প্রায় সব কোম্পানিই তাদের প্রোডাক্টে কুলার অপশন দিয়ে থাকে।


দীর্ঘ সময় ব্যবহারের কারণে কিংবা হাই পারফরম্যান্সের কোনো সফটওয়্যার বা গেম চালানোর কারণে CPU স্বাভাবিকভাবেই অনেক গরম হয়ে যেতে পারে। তখন গ্রাফিক্স কার্ডে যদি কোনো কুলিং মেশিন বা ফ্যান না থাকে, তবে অত্যধিক মাত্রায় গরম হওয়ার কারণে গ্রাফিক্স কার্ড সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 


সংক্ষেপে বললে- গ্রাফিক্স কার্ড কেনার ক্ষেত্রে ব্যান্ডউইথ, মেমোরি, শেডার কোর এবং কুলার অপশন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। আশা করছি, আজকের আলোচনার মাধ্যমে কম্পিউটার গ্রাফিক্স কার্ড কি, এটি কিভাবে কাজ করে, এবং একটি গ্রাফিক্স কার্ড কেনার পূর্বে কি কি করণীয় তা বুঝতে পেরেছেন।


কোন গ্রাফিক্স কার্ড ভালো? এবং বাজেট অনুযায়ী সাজেশন


বাজেট রেঞ্জ: ১ থেকে ৫ হাজার টাকা

এই বাজেটে গ্রাফিক্স কার্ড না কেনার পরামর্শ রইল। কারণ, এই রেঞ্জের গ্রাফিক্স কার্ডগুলো খুবই নিম্নমানের হয়। যারা ইন্টেলের ৫ম বা তার বেশি জেনারেশনের প্রসেসর বা রাইজেনের G সিরিজের প্রসেসর ব্যবহার করছেন, তাদের প্রসেসরে ইনবিল্ট গ্রাফিক্স কার্ড অনেক বেশি পাওয়ারফুল। সুতরাং, এই বাজেটে গ্রাফিক্স কার্ড না কেনার পরামর্শ থাকবে।


বাজেট রেঞ্জ: ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা

1. Colorful GT 1030:

  • - ভিডিও মেমোরি: 2GB GDDR5

  • - বেজ ক্লক: 1227MHz

  • - বুস্ট ক্লক: 1468MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 6Gbps

  • - দাম: 6,000 – 6,500 BDT


2. XFX Radeon RX 560:

  • - ভিডিও মেমোরি: 4GB GDDR5

  • - বেজ ক্লক: 1295MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 6000MHz

  • - দাম: 9,500 – 10,000 BDT


এই বাজেটে ছোটখাটো কাজ যেমন, ফটোশপ, ভিডিও এডিটিং, এবং হাই গ্রাফিক্সের মুভি দেখতে চাইলে এই গ্রাফিক্স কার্ডগুলো যথেষ্ট। এছাড়া পুরানো গেম এবং নতুন কম গ্রাফিক্সের গেম লো-ফ্রেম-পার-সেকেন্ডে খেলতে পারবেন।


বাজেট রেঞ্জ: ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা

1. Gigabyte Radeon RX 570 8GB:

  • - ভিডিও মেমোরি: 8GB GDDR5

  • - বেজ ক্লক: 1268 MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 7000MHz

  • - দাম: 13,500 – 14,000 BDT


2. Colorful GeForce GTX 1650:

  • - ভিডিও মেমোরি: 4GB GDDR5

  • - বেজ ক্লক: 1485MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 8000 MHz

  • - দাম: 13,500 – 14,000 BDT


এই রেঞ্জে আমার ব্যক্তিগত পছন্দ হল Radeon RX 570 8GB। তবে, নতুন গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে GeForce GTX 1650-এর পারফর্মেন্সও বেশ ভালো। যদি এক্সট্রিম লেভেলের গেমার হন এবং FPS নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ না করতে চান, তাহলে RX 570 নিন।


বাজেট রেঞ্জ: ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা

1. Gigabyte Radeon RX 580:

  • - ভিডিও মেমোরি: 8GB GDDR5

  • - বেজ ক্লক: 1355MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 8000MHz

  • - দাম: 15,500 – 16,000 BDT


2. ZOTAC GAMING GeForce GTX 1660:

  • - ভিডিও মেমোরি: 6GB GDDR5

  • - বেজ ক্লক: 1785MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 8Gbps

  • - দাম: 19,500 – 20,000 BDT


আপনার বাজেট যদি ১৬,০০০ টাকার মধ্যে হয়, তবে RX 580 আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত। আর যদি আরও ৪ হাজার টাকা বাজেট বাড়াতে পারেন, তাহলে GTX 1660 নিয়ে নিন। ২০,০০০ টাকার বাজেটে GTX 1660 থেকে ভালো গ্রাফিক্স কার্ড বর্তমানে নেই।


বাজেট রেঞ্জ: ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা

1. Sapphire Pulse Radeon RX 590:

  • - ভিডিও মেমোরি: 8GB GDDR5

  • - বেজ ক্লক: 1545MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 8000MHz

  • - দাম: 22,000 – 22,500 BDT


বাজেট রেঞ্জ: ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা

1. ZOTAC GAMING GeForce GTX 1660 Ti:

  • - ভিডিও মেমোরি: 6GB GDDR6

  • - বেজ ক্লক: 1770MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 12 Gbps

  • - দাম: 26,000 – 26,500 BDT


বাজেট রেঞ্জ: ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা

1. Zotac Gaming GeForce RTX 2060:

  • - ভিডিও মেমোরি: 6GB GDDR6

  • - বেজ ক্লক: 1680MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 14Gbps

  • - দাম: 33,000 BDT


2. Sapphire Radeon RX 5700:

  • - ভিডিও মেমোরি: 8GB GDDR6

  • - বেজ ক্লক: 1725MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 16Gbps

  • - দাম: 34,500 BDT


এই বাজেটে Radeon RX 5700 সবচেয়ে ভালো পছন্দ। যদি AMD পছন্দ না করেন, তাহলে GeForce RTX 2060 নিতে পারেন। তবে, পারফর্মেন্স কিছুটা কম্প্রোমাইজ করতে হতে পারে।


বাজেট রেঞ্জ: ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা

1. Zotac Gaming GeForce RTX 2060 Super AMP Extreme 8GB:

  • - ভিডিও মেমোরি: 8GB GDDR6

  • - বেজ ক্লক: 1710MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 14Gbps

  • - দাম: 46,000 BDT


2. Zotac Gaming GeForce RTX 2070:

  • - ভিডিও মেমোরি: 8GB GDDR6

  • - বেজ ক্লক: 1800MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 14Gbps

  • - দাম: 53,000 BDT


3. Colorful GeForce RTX 2080:

  • - ভিডিও মেমোরি: 8GB GDDR6

  • - বেজ ক্লক: 1710MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 14Gbps

  • - দাম: 65,000 BDT


বাজেট রেঞ্জ: ৭০ হাজার টাকার বেশি

1. Gigabyte AORUS GeForce RTX 2080 Ti:

  • - ভিডিও মেমোরি: 11GB GDDR6

  • - বেজ ক্লক: 1665MHz

  • - মেমোরি ক্লক: 14140 MHz

  • - দাম: 110,000 BDT


আপনার বাজেট যদি ৭০ হাজারের বেশি হয়, তবে GeForce RTX 2080 Ti হলো সেরা পছন্দ। এটি বর্তমান বাংলাদেশের বাজারের সবচেয়ে পাওয়ারফুল গ্রাফিক্স কার্ড। 


কোন গ্রাফিক্স কার্ড সবচেয়ে ভালো বাজেট অনুযায়ী কুইক রিভিউ

  • - সবচেয়ে ভাল সস্তা GPU: GeForce GT 1030

  • - সবচেয়ে ভাল মিডরেঞ্জ GPU: Radeon RX 570

  • - 1080p GPU: GeForce GTX 1660

  • - 1440p GPU: Radeon RX 5700

  • - 4K/60Hz GPU: GeForce RTX 2080

  • - 4K/144Hz GPU: GeForce RTX 2080 Ti


সর্বশেষ কথা:

এই তথ্যগুলো আশা করছি আপনাকে সঠিক গ্রাফিক্স কার্ড নির্বাচন করতে ভীষণ উপকারী হবে। কেমন লাগলো আমাদের আজকের আয়োজন চটপট কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আর আপনি যদি একটা ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে চান ১০০% জেনুইন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো ইন্টারেস্টিং আর্টিকেলে ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের খেয়াল রাখুন ধন্যবাদ সবাইকে।