পুরাতন মোবাইল কিনতে করণীয়

পুরাতন মোবাইল কিনতে করণীয়
মোবাইল ফোন আমাদের জীবনকে সহজ এবং আরও সংযুক্ত করেছে। এ ডিভাইসটি আমাদের জন্য অভূতপূর্ব সুবিধা এবং সুযোগ সৃষ্টি করেছে। পূর্বে যেসব কাজ কল্পনাও করা যেত না, এখন সেগুলো আমাদের হাতের মুঠোয়। মোবাইল ফোনের এই যুগান্তকারী ভূমিকা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজতর করেছে এবং বিশ্বকে আমাদের হাতের নাগালে নিয়ে এসেছে।
মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে তা এক কথায় অসাধারণ। এ ডিভাইসটি ছাড়া আধুনিক জীবনযাত্রা কল্পনা করা কঠিন। প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের সঙ্গী হয়ে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অভ্যন্তরীণ অংশে পরিণত হয়েছে। তবে অনেকেই অর্থের অভাবে নতুন ফোন কিনতে পারেন না, তাই তাদের এক প্রকার বাধ্য হয়ে ছুটতে হয় পুরনো ফোনের দিকে। কিন্তু সঠিক গাইডলাইন না জানাই পুরোনো ফোন কিনেও প্রতারণার শিকার হতে হয় অনেককেই। আর তাই তো আজকের এই পোস্টটিতে আমরা জানবো পুরাতন মোবাইল কিনতে করণীয় সম্পর্কে। যেগুলো ফলো করে আপনি একটি পুরাতন মোবাইল কিনলে আপনাকে প্রতারিত হতে হবে না। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক পুরাতন মোবাইল কিনতে করণীয় কি।
পুরাতন ফোন কেনার ক্ষেত্রে হার্ডওয়্যার ও বডি পরীক্ষা করুন
পুরাতন ফোন কেনার সময় সর্বপ্রথম যে জিনিসটির দিকে খেয়াল রাখতে হয়, তা হলো এর হার্ডওয়্যার। ভালোভাবে খতিয়ে পরীক্ষা করে নিন ফোনের বডিতে কোনো প্রকার স্ক্র্যাচ বা দুর্ঘটনাজনিত কোনো চিহ্ন আছে কিনা। যদি মেজর কোনো ত্রুটি পান, তাহলে সে ফোনটি কেনা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করার ধাপ ধাপগুলো জেনে নিন:
1. বডি পরীক্ষা করুন: প্রথমে ফোনের বডি ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। স্ক্র্যাচ, ডেন্ট, বা ফাটল আছে কিনা দেখুন। ফোনের চারপাশে, বিশেষ করে কোণাগুলোতে ভালোভাবে নজর দিন, কারণ এখানেই সাধারণত ত্রুটিগুলো দেখা যায়।
2. স্ক্রিন এবং ডিসপ্লে চেক করুন: ফোনের স্ক্রিনে কোনো দাগ বা ফাটল আছে কিনা পরীক্ষা করুন। ডিসপ্লে চালু করে দেখুন, কোনো ডেড পিক্সেল বা ডিসকালারেশন আছে কিনা লক্ষ্য করুন।
3. হার্ডওয়্যার বোতাম পরীক্ষা: ফোনের পাওয়ার বাটন, ভলিউম বাটন এবং অন্যান্য ফিজিক্যাল বাটন ঠিকমত কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করুন।
4. ক্যামেরা এবং লেন্স পরীক্ষা: ক্যামেরার লেন্সে কোনো স্ক্র্যাচ বা দাগ আছে কিনা দেখুন। ক্যামেরা চালু করে কিছু ছবি তুলে দেখুন, ছবির মান ঠিক আছে কিনা যাচাই করুন।
5. পোর্ট এবং কানেক্টর পরীক্ষা: চার্জিং পোর্ট, হেডফোন জ্যাক, এবং অন্যান্য কানেক্টর ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। এগুলো ঠিকমত কাজ করছে কিনা যাচাই করুন।
বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন:
অনেক সময় দুর্ঘটনাজনিত কারণে ফোনের পারফরম্যান্স কমে যেতে পারে এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এ কারণেই অনেকেই ফোন বিক্রি করে থাকেন। তাই, এসব বিষয় থেকে সাবধান থাকুন।
- ফোনের পারফরম্যান্স পরীক্ষা করুন: ফোনটি চালু করে কিছুক্ষণ ব্যবহার করুন। অ্যাপ্লিকেশন চালু করে দেখুন, ফোনের রেসপন্স টাইম, ব্যাটারি লাইফ এবং অন্যান্য কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন।
- অভিজ্ঞ জনের পরামর্শ নিন: সম্ভব হলে, পরিচিত কোনো প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন ফোনের অবস্থা যাচাই করতে।
পরবর্তী সমস্যার সম্মুখীন হওয়া এড়ান: যদি ফোনে মেজর কোনো ত্রুটি থাকে, তাহলে সেটি কেনা থেকে বিরত থাকুন। নাহলে, ফোন কেনার পর থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। একটি ভালো অবস্থায় থাকা পুরাতন ফোন নির্বাচন করার জন্য এই ধাপগুলো অনুসরণ করুন, যাতে আপনি দীর্ঘস্থায়ী ও ভালো পারফরম্যান্স পেতে পারেন।
ব্যাটারি ও পারফরম্যান্সের দিকে নজর দিন এবং পরীক্ষা করুন:
ফোনের ব্যাটারি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই পুরাতন ফোন কেনার আগে অবশ্যই এর ব্যাটারি পারফরম্যান্স পরীক্ষা করে দেখা উচিত। বিশেষ করে যেসব ফোনে ব্যাটারি রিমুভ করার সুবিধা আছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা আরো গুরুত্বপূর্ণ। মানহীন বা নকল ব্যাটারি ব্যবহারের ফলে আপনার ডিভাইসের পারফরম্যান্স এবং কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। তাই ডিভাইসে থাকা ব্যাটারিটি আসল কিনা তা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিন।
ব্যাটারি পরীক্ষা করার ধাপ গুলো কি কি চলুন জেনে নিই:
1. ব্যাটারি পারফরম্যান্স পরীক্ষা করুন: ফোনটি চালু করে কিছুক্ষণ ব্যবহার করুন। ব্যাটারি দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাচ্ছে কিনা লক্ষ্য করুন।
2. ব্যাটারি খুলে দেখুন: যদি ফোনে ব্যাটারি রিমুভ করার সুবিধা থাকে, তাহলে ব্যাটারিটি খুলে দেখুন। আসল ব্যাটারির সাথে কোম্পানির লোগো, সিরিয়াল নাম্বার এবং অন্যান্য বিবরণ মিলিয়ে দেখুন।
3. ব্যাটারি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন: কিছু ফোনে বিল্ট-ইন সফটওয়্যার থাকে যা ব্যাটারির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে সহায়ক। সেটি ব্যবহার করে ব্যাটারির বর্তমান অবস্থা জেনে নিন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি পুরাতন ফোন কেনার ক্ষেত্রে একটি সঠিক এবং বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
আইএমইআই নাম্বার পরীক্ষা করে নিন
যে কোন পুরাতন ফোন কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে ফোনের আইএমইআই নাম্বারটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) হলো একটি ফোনের মূল পরিচয় বহনকারী সংখ্যা। এই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি ব্যবহার করেই জানা যায় ফোনটি ক্লোন, রিকন্ডিশন, অথবা অন্য কোনো অবৈধ মাধ্যম থেকে এসেছে কিনা।
কেন আইএমইআই নাম্বার গুরুত্বপূর্ণ?
আইএমইআই নাম্বারটি আপনার ফোনের একটি অনন্য পরিচয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এটি মোবাইল ডিভাইসের সঠিক অবস্থান নির্ধারণ, চুরি হওয়া ফোনের ট্র্যাকিং, এবং ফোনটির প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ব্যবহৃত হয়।
আইএমইআই নাম্বার কিভাবে যাচাই করবেন?
আইএমইআই নাম্বার জানার জন্য আপনি *#০৬# নাম্বারে ডায়াল করতে পারেন। এর ফলে আপনার ফোনের স্ক্রিনে ১৫ ডিজিটের একটি সংখ্যা প্রদর্শিত হবে, যা মূলত আপনার আইএমইআই নাম্বার। এই আইএমইআই নাম্বারটি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই করে দেখতে পারেন, যেমন:
www.iphoneimei.info
IMEIdetective.com
আইএমইআই যাচাই করার ধাপসমূহ:
1. ডায়াল করুন: আপনার ফোনে *#০৬# ডায়াল করুন এবং স্ক্রিনে প্রদর্শিত আইএমইআই নাম্বারটি নোট করুন।
2. ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন: উপরোক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে যান এবং আইএমইআই নাম্বারটি প্রবেশ করান।
3. পরীক্ষা করুন: ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত তথ্যের সাথে ফোনের ডকুমেন্টেশন ও অন্যান্য বিবরণ মেলান। যদি কোনো অসঙ্গতি থাকে, তাহলে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।
এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে, আপনার কেনা ফোনটি সঠিক এবং বৈধ। এর ফলে আপনি প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবেন এবং একটি নির্ভরযোগ্য ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন।
যেকোনো ধরনের পুরাতন মোবাইল ফোনের বর্তমান বাজার মূল্য জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ফোনের টাচ স্ক্রিন ভালোভাবে কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করুন:
টাচস্ক্রিন ফোন কেনার সময় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এর টাচপ্যাড ঠিকমত কাজ করেনা। তাই এর টাচস্ক্রীনটি ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা কিছুক্ষণ ধরে যাচাই করে নিন। টাচস্ক্রিন পরীক্ষা করার সময় ফাস্ট রেসপন্স করছে কিনা তা লক্ষ্য করুন। এছাড়া পুরো ডিসপ্লে টাচ প্যানেলটি কাজ করছে কিনা তা দেখে নিন। অনেক সময় ফোনে লিকুইড জাতীয় কিছু প্রবেশ করলে কিংবা টাচ প্যানেল এর সমস্যা থাকলে ফোনটি দেরিতে এবং ভুল রেসপন্স করে। এমন সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হোন।
রিফারবিস্ট বা ক্লোন ফোন কিনছেন কিনা তা ভালো করে চেক করুন:
দামি ফোন গুলোর ক্ষেত্রে হরহামেশাই ক্লোন ও রিকন্ডিশন এর মতো সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে নামি-দামি মোবাইল ব্যান্ড যেমন- অ্যাপল, স্যামসাং এর ক্ষেত্রে এ সমস্যাটি অনেক বেশি। এমন অনেকেই রয়েছে যাদের ক্লোন ও রিকন্ডিশন্ড সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে এমন ফোন কিনে প্রতারিত হয়েছেন। তাই ফোনের সাথে থাকা ডকুমেন্ট ও এর আইএমইআই নাম্বার যাচাই করে ফোনটি ক্লোন ও রিকন্ডিশন্ড কি-না তা দেখে নিন। প্রয়োজনে [www.iphoneimei.info] ও IMEIdedective.com] এর মত ওয়েবসাইটগুলোর সহায়তা নিতে পারেন।
ফোনের ক্যামেরা ঠিক আছে কি-না তা ভালোভাবে নিশ্চিত হন
অনেক মডেলের ফোন রয়েছে যেগুলো কিছুদিন ব্যবহার করার পর ক্যামেরাতে ধুলোবালি ও অন্যান্য সুক্ষ জিনিস প্রবেশ করার কারণে এর ক্যামেরা পারফরম্যান্স অনেক খারাপ হয়ে যায়। এসব ধুলাবালি প্রবেশ করার কারণে ক্যামেরা ঘোলাটে দেখা যায় এবং ছবি অনেক খারাপ আসে। তাই ফোনের ক্যামেরা পরীক্ষা করে নেওয়া অনেক জরুরি।
পুরাতন ফোন কেনার আগে অনলাইন ফিচার ও দাম যাচাই
আপনি যে মডেলের পুরাতন ফোনটি কিনতে যাচ্ছেন, তার ফিচার ও দাম অনলাইনে পরীক্ষা করুন। এরপরে বিক্রেতার সাথে ফোনের দামের ব্যাপারে আলোচনা করুন। অন্যথায় প্রতারিত হতে পারেন। আজকাল ফোনের দাম দেখা অনেক সহজ। শুধু ফোনটির মডেল নাম্বার লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই এর দাম ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাবেন।
যেভাবে করবেন?
ধাপ ১: অনলাইনে ফিচার ও দাম যাচাই করুন:
- মডেল নাম্বার সার্চ করুন: ফোনটির মডেল নাম্বার লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিন। এটি করলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফোনটির ফিচার ও দাম সম্পর্কে তথ্য পাবেন।
- বিশ্লেষণ করুন: বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করুন। ফোনের স্পেসিফিকেশন, ইউজার রিভিউ এবং অন্যান্য বিবরণ পড়ে দেখুন।
ধাপ ২: বিক্রেতার সাথে দরদাম করুন:
অনলাইনে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিক্রেতার সাথে ফোনের দামের ব্যাপারে আলোচনা করুন।
- তুলনামূলক মূল্য: অনলাইনে পাওয়া দামের সাথে বিক্রেতার দেওয়া দাম তুলনা করুন।
- দরদাম করুন: যদি বিক্রেতার দাম বেশি হয়, তাহলে দরদাম করে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন।
ধাপ ৩: প্রতারণা থেকে বাঁচুন:
অনলাইনে ফিচার ও দাম যাচাই করে আপনি প্রতারণা থেকে বাঁচতে পারবেন।
- সঠিক তথ্য: সঠিক তথ্য জেনে আপনি বিক্রেতার প্রতারণা থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।
- ন্যায্য মূল্য: সঠিক মূল্য জানার ফলে আপনি ন্যায্য দামে ফোনটি কিনতে পারবেন।
এই ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি একটি ভালো মানের ফোন সঠিক দামে কিনতে পারবেন এবং প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।
ফোন কেনার আগে কিছুক্ষণ চালিয়ে নিন
পুরাতন ফোন কেনার সময় শুধুমাত্র ফোনের অবস্থা যাচাই করাই যথেষ্ট নয়; বিক্রেতার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট এবং ওয়ারেন্টি সংগ্রহ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হল যা আপনার কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করবে।
সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন:
পুরাতন ফোন কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন।
- ক্রয় রসিদ নিন: পুরাতন ফোনের ক্ষেত্রে ক্রয় রসিদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার কেনাকাটার প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে এবং ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হতে পারে।
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি একটি নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত পুরাতন ফোন কেনার অভিজ্ঞতা পাবেন, এবং আপনার ফোনটি অনেকদিন ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
ফোন কেনার আগে ভালো করে ব্যবহার করে দেখুন:
মোবাইল ফোন একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি থাকতে পারে। তাই ফোন কেনার আগে এটি কিছুক্ষণ ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। আসুন, জানি কেন এবং কিভাবে এই পদ্ধতি আপনাকে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
পুরাতন ফোন কেনার আগে এটি কিছুক্ষণ ব্যবহার করলে আপনি ফোনটির পারফরম্যান্স ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন। এতে করে আপনি একটি সুসংগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং আপনার টাকাটা পানিতে যাচ্ছে নাকি সঠিক জায়গাতে যাচ্ছে তা বুঝতে পারবেন।
কমপক্ষে ২ জিবি RAM বা তার বেশি নিন
যখন আপনি পুরাতন কোন ফোন কেনার কথা ভাবছেন, তখন অবশ্যই এটাও ভেবে নিন যে কমপক্ষে ২ জিবি র্যামের ফোন কিনবেন। বর্তমানে বিভিন্ন অ্যাপস, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সফটওয়্যার ইত্যাদির ব্যবহারের কারণে কম র্যামের ফোনগুলোতে প্রতিনিয়তই অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়।
র্যামের গুরুত্ব কি?
1. স্মুথ পারফরম্যান্স: উচ্চ র্যামের ফোনে অ্যাপ্লিকেশনগুলো দ্রুত এবং সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করে। কোনো ল্যাগ বা হ্যাং হওয়ার সমস্যায় পড়তে হয় না।
2. মাল্টিটাস্কিং সুবিধা: র্যাম বেশি হলে আপনি একসাথে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারবেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে মাল্টিটাস্কিং করতে পারবেন।
3. ইন্টারনেট ব্রাউজিং: ব্রাউজারে একাধিক ট্যাব খোলা থাকলেও ফোন ধীর গতির হয়ে যায় না, ফলে সহজেই ওয়েব পেজ লোড হয়।
4. গেমিং পারফরম্যান্স: উচ্চ র্যামের ফোনে গেমিং এর সময় কোনো সমস্যা হয় না, ফলে গেম খেলাও হয় মসৃণ ও আনন্দদায়ক।
র্যাম যাচাই করবেন কিভাবে?
1. ফোনের স্পেসিফিকেশন চেক করুন: ফোনের সেটিংসে গিয়ে 'অ্যাবাউট ফোন' সেকশনে র্যামের পরিমাণ দেখুন।
2. অ্যাপ্লিকেশন চালিয়ে দেখুন: ফোনের পারফরম্যান্স পরীক্ষার জন্য কিছু হাই-মেমোরি অ্যাপ্লিকেশন চালিয়ে দেখুন। কোনো ল্যাগ বা স্লো হওয়ার সমস্যায় পড়ছেন কিনা যাচাই করুন।
3. মাল্টিটাস্কিং পরীক্ষা: একসাথে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন চালিয়ে দেখুন। ফোনের রেসপন্স টাইম এবং পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করুন।
এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আপনি পুরাতন ফোন কেনার ক্ষেত্রে একটি সঠিক এবং বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। উচ্চ র্যামের ফোন কেনার মাধ্যমে আপনি পাবেন উন্নত পারফরম্যান্স, দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার এবং সমস্যা-মুক্ত অভিজ্ঞতা।
সর্বশেষ কথা:-
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা নির্ভয়ে একটি পুরাতন মোবাইল ক্রয় করতে চান তারা Aponhut.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রয়- বিক্রয় করতে পারবেন। এটি ১০০% নিরাপদ একটি ওয়েবসাইট।