বাংলাদেশে ১০,০০০–১৫,০০০ টাকায় স্যামসাং ফোন ২০২৫

কেন ১০–১৫ হাজার টাকার স্যামসাং?

আমি যখন বাজেট ফোন দেখি, প্রথমেই ধরি—বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড, দীর্ঘমেয়াদি আপডেট, ব্যাটারি লাইফ, এবং সার্ভিস সাপোর্ট। এই সব দিক থেকেই ১০,০০০–১৫,০০০ টাকায় স্যামসাং ফোন বেশ ব্যালান্সড। ৫,০০০ mAh ব্যাটারি, বড় ডিসপ্লে, স্থিতিশীল সফটওয়্যার, আর ভালো রিসেল ভ্যালু—এই রেঞ্জে ঠিক এ গুলোই সবচেয়ে দরকারি। যারা প্রথম ফোন কিনছেন বা সেকেন্ডারি ফোন চান, তাদের জন্য এটা আদর্শ।

আরেকটা বড় কারণ হলো বাংলাদেশের সার্ভিস নেটওয়ার্ক। অফিশিয়াল ওয়ারেন্টির সুবিধা, সহজে পার্টস পাওয়া—এইসব মিলিয়ে বাংলাদেশে ১০,০০০–১৫,০০০ টাকায় স্যামসাং ফোন ২০২৫ সেগমেন্টটি খুবই সেফ চয়েস। দামের দিক থেকে স্যামসাং মোবাইল প্রাইস ২০২৫ বাংলাদেশ অনুযায়ী অফার/ডিসকাউন্টে ভালো ডিল পাওয়া যায়।

২০২৫-এ কোন মডেলগুলো ১০–১৫ হাজারে পাওয়া যায়

এই রেঞ্জে আপনি সাধারণত নিচের মডেলগুলো দেখতে পাবেন—Galaxy A05, A04, A04e, M04, F04; কখনও ডিসকাউন্টে A05 এর বেস ভ্যারিয়েন্টও এই বাজেটে চলে আসে। এগুলোই স্যামসাং ১০,০০০ টাকার মধ্যে ফোন বা স্যামসাং ১৫,০০০ টাকার মধ্যে মোবাইল খোঁজার সময় সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। আমি নিচে প্রতিটা মডেল নিয়ে আলাদা করে বলছি।

দামের ওঠানামা, অফিশিয়াল/আন-অফিশিয়াল স্টক, আর RAM/স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের কারণে ‘রেঞ্জ’ হিসাবেই ভাবা নিরাপদ। তাই কেনার আগে দোকান/ই-কমার্সের বর্তমান দাম মিলিয়ে নিন। এটা আপনার স্যামসাং বাজেট স্মার্টফোন ২০২৫ কেনার সিদ্ধান্তকে আরো স্মার্ট করবে।

Samsung Galaxy A05 – রিভিউ

Galaxy A05 আমার কাছে সবচেয়ে ব্যালান্সড অপশনগুলোর একটা। Helio G85 চিপসেট, ৬.৭” HD+ ডিসপ্লে, ৫০MP ক্যামেরা, ৫,০০০ mAh ব্যাটারি—সব মিলিয়ে ডেইলি ইউজ, সোশ্যাল মিডিয়া, হালকা গেমিং—সবই ভালো চলে। অনেকে ৬/১২৮GB ভ্যারিয়েন্টে যায়, তবে ৪/৬৪GB-ই বাজেটে ভালো ভ্যালু দেয়। অফার পেলে ১০,০০০–১৫,০০০ টাকায় স্যামসাং ফোন তালিকায় A05 সহজেই ঢুকে পড়ে।

দামের কথা বললে, বেস ভ্যারিয়েন্ট অনেক দোকানে ১৪ হাজারের আশেপাশে দেখা যায়, আবার ৬/১২৮GB অফিশিয়াল ভ্যারিয়েন্ট একটু বেশি পড়ে। তাই বাজেটে রাখতে চাইলে বেস ভ্যারিয়েন্ট + মাইক্রোএসডি কার্ডে যান।

কেন কিনব

G85-এর পারফরম্যান্স ডেইলি টাস্কে স্মুথ, বড় ব্যাটারি, ৫০MP মেইন ক্যামেরা—এই দামে ভ্যালু বেশ শক্ত। ভবিষ্যতে সফটওয়্যার আপডেটও যথেষ্ট পাবেন, তাই লং-টার্ম ইউজে মানসিক শান্তি থাকে।

কেন নয়

ফুল HD ডিসপ্লে না হওয়ায় ভিডিওতে ডিটেইল কম লাগতে পারে। নাইট ফটোগ্রাফিতে সীমাবদ্ধতা আছে। ৬/১২৮GB ভ্যারিয়েন্ট নিলে দাম ১৫ হাজার পেরিয়ে যেতে পারে।

Samsung Galaxy A04 – রিভিউ

Galaxy A04 হলো সরল, নির্ভরযোগ্য বাজেট ফোন। Helio P35, ৬.৫” ডিসপ্লে, ৫০MP মেইন ক্যামেরা—ডেইলি ইউজ, অনলাইন ক্লাস/মিটিং, হালকা ফটোগ্রাফি—সবকিছু ঠিকঠাক চলে। দাম সাধারণত ১৪–১৫ হাজারের মধ্যে ওঠানামা করে, তাই ১৫,০০০ টাকায় স্যামসাং ফোন বাংলাদেশ খোঁজলে এটা তালিকায় থাকতেই পারে।

আমি নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য A04-কে ‘সেফ স্টার্ট’ বলি। UI সহজ, ব্যাটারি টিকে, আর সার্ভিস সাপোর্ট ভালো। যারা ব্র্যান্ড-ফোকাসড আর স্ট্যাবল ডিভাইস চান, তাদের জন্য ভালো পছন্দ।

কেন কিনব

সরল অভিজ্ঞতা, বড় ব্যাটারি, ক্যামেরা কোয়ালিটি এই দামে গ্রহণযোগ্য। বাচ্চাদের অনলাইন ক্লাস বা বয়স্ক ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ।

কেন নয়

গেমিং-এ সীমাবদ্ধতা আছে। ডিসপ্লে HD+, তাই মিডিয়া কনজাম্পশনে ডিটেইল কম লাগতে পারে।

Samsung Galaxy A04e – রিভিউ

A04e হলো A04-এর আরও সাশ্রয়ী ভার্সন। ৩/৪GB RAM, ৩২–১২৮GB স্টোরেজ—বেসিক ইউজ, কল, ফেসবুক, ইউটিউব—এইসবের জন্য যথেষ্ট। দাম দোকানভেদে ১৩–১৫.৭ হাজারের মধ্যে ওঠানামা করে, অফারে নেমে আসে—তাই স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোন প্রাইস বাংলাদেশ ধরতে হলে বিভিন্ন স্টোর দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আমি যাদের খুব লো বাজেট, কিন্তু ব্র্যান্ড ও ওয়ারেন্টি দরকার—তাদের A04e সাজেস্ট করি।

কেন কিনব

এন্ট্রি-লেভেল ইউজে স্মুথ, ব্যাটারি টিকে, অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়।

কেন নয়

পারফরম্যান্স গেমিং-এর জন্য নয়। স্টোরেজ ৩২GB হলে মাইক্রোএসডি লাগবে।

Samsung Galaxy M04 – রিভিউ

M04 অনলাইনে বেশ পপুলার। ৪/৬৪ বা ৪/১২৮ ভ্যারিয়েন্ট, ৫,০০০ mAh ব্যাটারি—ডেইলি ইউজে স্টেবল। অনেকে বলে এইটা নাকি ‘অনলাইন-এক্সক্লুসিভ ভ্যালু’—আমি একমত। দাম ১২–১৫ হাজারে ওঠানামা করে, অফিশিয়াল স্টক পেলে একেবারে যথার্থ ডিল।

ক্যামেরা ও পারফরম্যান্স—দুইটাই কনসিসটেন্ট, কিন্তু গেমিং-এ বড় প্রত্যাশা না রাখাই ভালো।

কেন কিনব

অনলাইন ডিল, বড় ব্যাটারি, লাইটওয়েট UI—ডেইলি ইউজে টেনশান-ফ্রি।

কেন নয়

P35 চিপসেটের সীমাবদ্ধতা আছে, তাই হাই-এন্ড গেমিং নয়।

Samsung Galaxy F04 – রিভিউ

F04-ও অনলাইন-ফোকাসড মডেল। ৪/৬৪, ৫,০০০ mAh ব্যাটারি, বেসিক ক্যামেরা সেটআপ—ডেইলি ইউজে কোনো সমস্যা নেই। দাম সাধারণত ১১–১৪ হাজারে ঘোরে, তাই ১০,০০০ টাকায় স্যামসাং মোবাইল খুঁজলে এটাও লিস্টে রাখবেন।

আমি নতুন ইউজারদের বলি—ফোনে গেমিং কম, ব্রাউজিং/অফিস/স্টাডি বেশি? F04 বেটার।

কেন কিনব

ভালো ব্যাটারি, স্টেবল সফটওয়্যার, কম দামে নির্ভরতা।

কেন নয়

ক্যামেরা বেসিক, হাই FPS গেমিং উপযোগী নয়।

পুরোনো কিন্তু ভ্যালু: Galaxy A03 / A03 Core

পুরোনো হলেও A03/A03 Core এখনো অনেক শপে স্টক থাকে। A03-এ ৪৮MP ক্যামেরা, বড় ব্যাটারি; Core ভার্সনটা আরও সাশ্রয়ী। অফার পেলে ১০–১৪ হাজারে ভালো কনফিগ পেয়ে যাবেন।

তবে আমি সবসময় বলি—স্টক পুরোনো হলে ব্যাটারির হেলথ দেখে নিন, আর ওয়ারেন্টি ট্যাগ নিশ্চিত করুন।

কেন কিনব

ডিসকাউন্টে দাম কমে, বেসিক ইউজে যথেষ্ট, রিসেল ভ্যালুও ঠিক থাকে।

কেন নয়

পুরোনো চিপসেট ও ক্যামেরা প্রসেসিং—নতুন মডেলের মতো স্মার্ট নয়।

স্পেসিফিকেশন ও দামের তুলনা (রেঞ্জ)

নিচের টেবিলে আমি ২০২৫-এর বাজার দেখে আনুমানিক রেঞ্জ দিয়েছি। দোকান, ভ্যারিয়েন্ট ও অফারের কারণে পরিবর্তন হতে পারে।

ক্যামেরা, গেমিং ও ব্যাটারি—কি আশা করবেন

এই বাজেটে আমি সাধারণত ‘স্টেবল ডেইলি ইউজ’কে অগ্রাধিকার দিই। ক্যামেরা ডে-লাইটে ভালো কাজ করে, নাইটে লিমিটেশন থাকে। গেমিং-এ Free Fire বা Asphalt 8 মিডিয়াম সেটিংসে যায়; PUBG/CoD-এ গ্রাফিক্স কমাতে হবে। বেশিরভাগ মডেলে ৫,০০০ mAh ব্যাটারি, তাই ফুল ডে ইউজ পাওয়া যায়।

ডিসপ্লে সাধারণত HD+, তবু বড় স্ক্রিনে ইউটিউব/ফেসবুক দেখা আরামদায়ক। চার্জিং ১৫–২৫W; অরিজিনাল চার্জারই ব্যবহার করুন।

সফটওয়্যার আপডেট ও ওয়ারেন্টি

স্যামসাংয়ের One UI Core ভার্সনও স্থিতিশীল। বাজেট সেগমেন্টে ২ জেনারেশন OS আপডেট/সিকিউরিটি প্যাচ সাধারণ—তাই আমি ব্র্যান্ডেড ফোনে বেশি ভরসা করি।

ওয়ারেন্টি ক্লেইম সহজ—বক্সের স্টিকার, রশিদ, IMEI—সব মিলিয়ে রাখুন।

কেনার গাইড: কোথায়, কিভাবে, কী দেখে কিনব

আমি সাধারণত বিশ্বস্ত রিটেইলার/ই-কমার্স (Aponhut, ব্র্যান্ড শপ, বড় রিটেইলার) থেকে কিনি। অনলাইনে তুলনা করে দোকানে গিয়ে হ্যান্ডস-অন—এটাই বেস্ট ফ্লো।

চেকলিস্ট: ডিসপ্লে ডেড-পিক্সেল, ক্যামেরা ফোকাস, স্পিকার/ইয়ারপিস, চার্জিং পোর্ট, সেন্সর—সব টেস্ট করুন। বক্সে কি কি আছে মিলিয়ে নিন।

২০২৫-এ নতুন ট্রেন্ড ও খবর

এই বছরে বাজেট সেগমেন্টে ব্যাটারির ধারাবাহিকতা আর সফটওয়্যার স্ট্যাবিলিটিতে জোর—এই ট্রেন্ডটা দেখছি। অফিশিয়াল/অনলাইন ডিল মিলিয়ে স্যামসাং স্মার্টফোন লো বাজেট ২০২৫ খুঁজলে আগের চেয়ে ভ্যালু বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

কিছু দোকানে পুরোনো স্টকের প্রাইস ড্রপও হয়েছে, তাই স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোন প্রাইস বাংলাদেশ রিয়েল-টাইমে চেক করলেই লাভ।

প্রশ্নোত্তর (FAQ)

১) ১০–১৫ হাজারে কোন স্যামসাং মডেলগুলো ‘সেফ বেট’?

আমার লিস্টে A05 (বেস), A04, A04e, M04, F04 সবই সেফ বেট। এগুলোর ব্যাটারি ৫,০০০ mAh, ডিসপ্লে বড়, আর সফটওয়্যার স্থিতিশীল। দোকানভেদে দাম বদলায়, তাই একাধিক দোকানের আপডেটেড প্রাইস মিলিয়ে নিলে আরও ভালো ডিল পাওয়া যায়।

২) গেমিংয়ের জন্য কোনটা নেব?

এই বাজেটে আমি Helio G85 (A05) কে অগ্রাধিকার দিই। মিডিয়াম সেটিংসে জনপ্রিয় গেম খেলা যাবে। তবে অতিরিক্ত হাই FPS বা আল্ট্রা গ্রাফিক্স মাথায় রেখে কিনতে চাইলে বাজেট বাড়াতে হবে।

৩) অফিশিয়াল বনাম আন-অফিশিয়াল—কোনটা ভাল?

অফিশিয়াল মানে আপনি ওয়ারেন্টি-কভারেজ পাচ্ছেন—এটা আমার প্রথম পছন্দ। আন-অফিশিয়াল হলে দাম কমতে পারে, কিন্তু ব্যাটারি/চার্জার/কন্ডিশন আরও ভালো করে টেস্ট করতে হবে।

৪) ৩/৩২GB কি যথেষ্ট?

বেসিক ইউজ (কল, সোশ্যাল, ইউটিউব, ব্যাংকিং) এর জন্য ৩/৩২GB চলবে, কিন্তু ২০২৫-এ আমি ৪/৬৪GB বা ৪/১২৮GB সাজেস্ট করি। এতে ফোন দীর্ঘদিন স্মুথ থাকবে, অ্যাপ আপডেটের জায়গা নিয়েও চিন্তা কম হবে।

৫) ২০২৫-এ ডিসপ্লে HD+ হলেই চলবে?

এই বাজেটে HD+-ই কমন। ইউটিউব/ফেসবুক/ব্রাউজিং-এ অভিজ্ঞতা ঠিক থাকে। যদি নিয়মিত মুভি/সিরিজ দেখেন, FHD+ বড় ফারাক দেবে—তখন বাজেট একটু বাড়ানো যুক্তিযুক্ত।

এখনই সিদ্ধান্ত নিন

যদি আপনি স্যামসাং ১০,০০০ টাকার মধ্যে ফোন বা স্যামসাং ১৫,০০০ টাকার মধ্যে মোবাইল খুঁজে থাকেন—উপরে দেয়া লিস্ট, টেবিল আর টিপস দেখে আপনার জন্য পারফেক্ট মডেলটা বেছে নিন।

Aponhut এ নতুন ডিল/অফার চেক করে অর্ডার করুন।

সারসংক্ষেপ ও Key Takeaways

১০–১৫ হাজার টাকার বাজেটে আমি স্থিতিশীল সফটওয়্যার, বড় ব্যাটারি, আর বিশ্বস্ত ওয়ারেন্টি—এগুলোকে অগ্রাধিকার দিই। এই চিন্তা থেকেই A05/A04/A04e/M04/F04/A03 সিরিজকে ‘সেফ বেট’ বলেছি।

• ভ্যালু: A05 (বেস) সেরা পারফরম্যান্স-টু-প্রাইস।
• সেফ স্টার্টার: A04 / A04e নতুন ইউজারের জন্য ভালো।
• অনলাইন ভ্যালু: M04/F04 প্রায়ই ডিসকাউন্টে থাকে।
• ডিল: উৎসবে দাম কমে—রেঞ্জ ধরে দরাদরি করুন।